রেশন দুর্নীতি তো কিছুই না আরো বড় দুর্নীতি প্রকাশ্যে আনলেন শুভেন্দু ! হয়েছে শত শত কোটি টাকার নয় ছয়

রেশন দুর্নীতি তো কিছুই না আরো বড় দুর্নীতি প্রকাশ্যে আনলেন শুভেন্দু ! হয়েছে শত শত কোটি টাকার নয় ছয়

রেশন দুর্নীতি তো কিছুই না
আরো বড়সড় দুর্নীতির খোঁজ দিলেন শুভেন্দু !

শত শত কোটি টাকা
নয় ছয় হয়েছে অন্য কোথাও !

আসল দুর্নীতির আঁতুড়ঘর
এখনো সামনেই আসেনি !

বড় বড় নেতার পেটে
গিয়েছে আম আদমির টাকা !

শুভেন্দুর একটিমাত্র বয়ানে
হইচই রাজ্য জুড়ে !

রেশন দুর্নীতিতে তোলপাড় গোটা রাজ্য। নিয়োগ ও পুর দুর্নীতির পরেই বেরিয়ে আসা রেশন দুর্নীতি, রাজনীতির অন্দর মহলে রীতিমত শোরগোল ফেলে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই রেশন কেলেঙ্কারিতে ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। আপাতত ইডির হেফাজতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাকে। রেশন কাণ্ডের তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই খুলে যাচ্ছে দুর্নীতির প্যান্ডোরার বাক্স। এবার রেশন কাণ্ডে আরও বড় চাঞ্চল্য তৈরি করে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমন একটি বয়ান সামনে নিয়ে এলেন যা একদিকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে তদন্ত আধিকারিকদের, অন্যদিকে ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে শাসকদলের। শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, রেশন দুর্নীতি হিমালয়ের একটি চূড়ামাত্র। এই চূড়ার পাহাড় দেখা এখনো বাকি।

এখন প্রশ্ন হল এই হিমশৈলের বাকি অংশটি আসলে কোথায়? রেশন দুর্নীতির থেকেও আরো বড় কোন দুর্নীতি রয়েছে যার দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী? এই প্রশ্নগুলোর উত্তরও দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী নিজেই। তিনি জানিয়েছেন, দুর্নীতির আসল হিমশৈল হল ধান সংগ্রহে কারচুপি। শুভেন্দু অধিকারীর সাফ দাবি ধান সংগ্রহে কারচুপির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। তার মতে ৫০ শতাংশেরও বেশি ধান সংগ্রহে জালিয়াতি করা হয়েছে। আর এর সঙ্গে ওতপ্রোভাবে জড়িত শাসকদলের হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীরা। একেবারে রাখডাক ছাড়াই অকপটে স্বীকারোক্তি শুভেন্দু অধিকারীর।

শুভেন্দু অধিকারীর ভাষায় –

‘ রেশন কেলেঙ্কারি তো হিমশৈলের চূড়া মাত্র। পশ্চিমবঙ্গে আসল দুর্নীতি চলছে ভুয়ো ধান সংগ্রহ করে। যার মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা পাচার হচ্ছে।’ শুভেন্দুর কথায়, “খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগ সেই কৃষকদের নাম নথিভুক্ত করছে যারা অনুমিতভাবে ন্যূনতম সমর্থন মূল্যতে (MSP) তাদের ফসল বিক্রি করতে ইচ্ছুক। ২০১৭-১৭ সালে এই নিবন্ধিত কৃষকের সংখ্যা ছিল ৪,৬৪, ৬১৬ জন। আর ২০২১-২২ সালে সংখ্যা বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়ে সেই সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়ায় ২৮,১৫,১০৭ এ; শুধুমাত্র ওই বছরেই ৫,৪৬,৫৯৮ জন কৃষককে নতুনভাবে যুক্ত করা হয়েছে।”

এদিকে রেশন দুর্নীতির মামলা যত এগোচ্ছে ততই যেন দিশা হারাচ্ছে শাসক দল। অনেকটাই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই খাদ্য দফতরের তরফে বাকিবুর রহমানের সংস্থা NPG রাইসমিল প্রাইভেট লিমিটেডকে হোল্ড করা হয়েছে। বাকিবুর রহমানের এই সংস্থাকে কেন্দ্র করে ইডির হাতে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য রয়েছে। ইডির দাবি, NPG রাইসমিল প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থাটিতে বেহিসেবী উপায়ে ১০ কোটি ৩০ লক্ষ ৯৭ হাজার ১০০ টাকা ঢুকেছিল। কিভাবে , কেন, কি কারণে এত টাকা এই সংস্থায় ঢুকল সেই উত্তর কিন্ত এখনো অধরা তদন্ত আধিকারিকদের কাছে। এই সংস্থাকে ঘিরে ইডির সন্দেহ বাড়ার আরো একটি কারণ হল, বাকিবুর রহমান ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেপ্তারের পর পর এই কোম্পানিকে খাদ্য দপ্তরের তরফে হোল্ড করা হয়। তবে কি দুর্নীতি ধামাচাপা দিতেই উঠে পরে লেগেছে শাসক দল? প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা!


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *