বিশেষ এই ৫ উপায়ে বাঁচুন হার্ট অ্যাটাক থেকে ! জানুন বিস্তারিত…

বিশেষ এই ৫ উপায়ে বাঁচুন হার্ট অ্যাটাক থেকে ! জানুন বিস্তারিত…

Focus

হঠাৎ
হার্ট অ্যাটাক !

শরীরে অস্বস্তি
-ক্লান্তি ভাব !

নিশ্বাস নিতে
কষ্ট হচ্ছে !

কি করবেন বুঝতে
পারছেন না ?

বিশেষ এই ৫ উপায়ে
বাঁচুন
হার্ট অ্যাটাক থেকে !

জানেন,
হার্ট অ্যাটাকের কি কি লক্ষণ ?
হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হলেই বা কি করবেন ?

জানুন বিস্তারিত…

Body:- মানবদেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হৃৎপিণ্ড। কথায় বলে হৃদয় না চললে শরীর চলে না। হৃৎপিণ্ড শরীরের মূল চালিকাশক্তি। অথচ বর্তমান সময়ে দূষণের কারণে এই হৃৎপিণ্ডতেই সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে। অবৈজ্ঞানিক জীবন- যাপন ও শরীরের ওপর অত্যাধিক চাপ পভাব ফেলে হৃৎপিণ্ডের ওপর। আর সেই কারণেই হৃৎপিন্ড এর রক্তের আটকে ঘটে বিপত্তি। হঠাৎ করেই হয় হার্ট অ্যাটাকেআক্রান্ত হয় ।

তবে কয়েকটি জিনিস হার্ট অ্যাটাকের সঙ্গে সঙ্গে করলেই প্রাণ বাঁচবে আপনার। এমনকি এগুলো জেনে রাখলে আপনার কাছের কেউ এই রোগে আক্রান্ত হলেও আপনি প্রাণে বাঁচাতে পারবেন তাকে।
তবে তার আগে আপনার জানা উচিৎ হার্ট অ্যাটাকের এই লক্ষণগুলি সম্পর্কে। আসুন প্রথমে এক নজরে জেনে নিই হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলি সম্পর্কে।

সাধারণ বুকে ব্যথা,
বুকের মধ্যেখানে চরম চাপা ব্যাথা,
অস্বস্তি বা চাপের উপসর্গ ছাড়াও,
ঘন- ঘন বদহজম
বমি বমি ভাব,
চরম ক্লান্তি,
শ্বাসকষ্ট ও অসুস্থ বোধ করা ইত্যাদি।

উপরোক্ত এই সব লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হয়ে যান। আর সময় নস্ট করবেন না কারন হার্ট অ্যাটাকের পর প্রতিটা সেকেন্ড গুরুত্বপূর্ণ। এখানে যত তাড়াতাড়ি আপনি রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে পারবেন তত ভালো। তবে তার আগে কিছু কাজ করতে হবে আপনাকে যার ফলে রক্ষা পাবে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত ব্যাক্তির প্রাণ। দেখুন কি কি করবেন ..

১. দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন
সর্বপ্রথম যদি কোনো চেনা চিকিৎসক থাকে তাকে ফোন করে উপদেশ চান। তার কথা মতন কাজ করুন রোগীকে হাসপাতাল নিয়ে যাবার আগে অবধি।

২. অ্যাম্বুলেন্সে কল করুন
চিকিৎসকদের মতে, রোগীর মধ্যে কোনো অশ্ববাভিকতা দেখলেই তৎক্ষণাৎ আর সময় নষ্ট করবেন না। অনেক রোগী তাদের উপসর্গগুলো উপেক্ষা করেন। ফলে হাসপাতালে যেতে যেতেই তাদের হার্টের পেশি মারা যায়। এই সময় যত দ্রুত সম্ভব অ্যাম্বুলেন্সে কল করুন এবং রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যান। আপনি যত দ্রুত হাসপাতালে যাবেন তত তাড়াতাড়ি ডাক্তাররা বন্ধ অবরুদ্ধ করোনারি ধমনী খুলে দিতে পারেন। এর ফলে মৃত্যুঝুঁকি কমবে রোগীর। দ্রুত সুস্থ হবে সে।

3.আপৎকালীন অবস্থা হলে তৎক্ষণাৎ CPR
যদি দেখেন হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস পড়ছে না কিংবা আপনি আক্রান্ত ব্যাক্তির নাড়ি খুঁজে পাচ্ছেন না। তখন রক্ত প্রবাহিত রাখতে CPR (কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন) শুরু করতে হবে। এই সিপিআরের রয়েছে বিশেষ পদ্ধতি। এর জন্য আপনাকে ব্যক্তির বুকের মাঝখানে দ্রুত ছন্দে জোরে জোরে পুষ দিতে হবে, যতক্ষণ না প্যারামেডিকরা আসেন ততক্ষণ পর্যন্ত। প্রতি মিনিটে প্রায় ১০০-২০০ কম্প্রেশন দিতে হবে। এর ফলে কিছুটা হলেও শুশ্রূষা হবে রোগীর।

৪.অ্যাসপিরিনের বিকল্প নেই
বিশেষ এই ৩২৫ মিলিগ্রামের অ্যাসপিরিন ডোজের বিকল্প নেই। হার্ট অ্যাটাকের সময় ধমনীতে রক্ত প্রবাহ ব্লক হয়ে যায়। আর এই অ্যাসপিরিন গ্রহণ করার ফলে ধমনীতে রক্তের জমাট বাঁধা কিছু অংশ ভেঙে দিতে সাহায্য করে এই। মেডিসিন। এই অ্যাসপিরিন গিলে খাবার বদলে চিবিয়ে খেলে এটি দ্রুত কাজ করে।

৫. হাসপাতালে একা যাবেন না

যদি মনে করেন আপনার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে, তাহলে ভুলেও নিজে হাসপাতালে যাবেন না। তেমন হলে একটি অ্যাম্বুলেন্স কল করুন। সবচেয়ে বেস্ট নিজের কাওকে খবর দিন। তার সাথে যান হাসপাতালে। নয়তো সমস্যার পড়তে পারেন আপনি।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *