ইডির বাজেয়াপ্ত টাকা কোথায় যায়? কারা পায় এই সম্পত্তিগুলো? বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

ইডির বাজেয়াপ্ত টাকা কোথায় যায়? কারা পায় এই সম্পত্তিগুলো? বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

ইডির বাজেয়াপ্ত টাকা
কোথায় যায়?

কারা পায় এই সম্পত্তিগুলো?
কারা পায় মালিকানা?

উদ্ধার করা কোটি
কি কি কাজে লাগে?

অনেকেই জানেন না
দেখুন সেই তথ্য

রাজ্যের দুর্নীতির গপ্পো এখন সকলের জানা! বিগত এক বছর ধরে একাধিক দুর্নীতি দমনের অভিযানে কাড়ি কাড়ি টাকা আর স্বর্ণের পাহাড় দেখেছে রাজ্যবাসী। কখনোও পার্থ অর্পিতার লাক্সারিয়াস ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়েছে টাকার বস্তা, কখনোও আবার টিএমসি নেতা শান্তনু ব্যানার্জীর বাড়ি থেকে পাওয়া গিয়েছে অগাধ ধন সম্পত্তি। সম্প্রতি আলোচনায় রয়েছে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। যিনি রেশন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। তার বাড়ি থেকেও উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকার নোটের বান্ডিল। এই সব দেখে প্রশ্ন জাগে ইডির হাতে বাজেয়াপ্ত হওয়া এই কোটি কোটি টাকার সম্পত্তিগুলোর কি হয়? কার কাছে যায় এই সম্পত্তিগুলো? এগুলো কি ইডির কাছে রেখে দেওয়া হয়? নাকি অন্য কিছু করা হয়? আজকের প্রতিবেদনে জানাব সেই তথ্য।

এক নজরে দেখুন দুর্নীতি কাণ্ডে বাজেয়াপ্ত সম্পত্তিগুলোর সাথে কি কি ঘটে –

এক, প্রথমেই বাজেয়াপ্ত সমস্ত সম্পত্তি ও নথির একটি লিস্ট তৈরি করা হয়।

দুই, এরপর বাজেয়াপ্ত নোটগুলোর মধ্যে প্রত্যেকটি নোট ভালোভাবে মার্কিং করা হয়। এ টু জেট সমস্ত তথ্য লিপিবদ্ধ করা হয়।

তিন, এরপর দুর্নীতিতে বাজেয়াপ্ত সমস্ত ব্যাংক একাউন্ট আদালতের অনুমতি নিয়ে খোলা হয়। আদালতের অনুমতি নিয়েই ব্যাংক একাউন্টগুলোর সমস্ত খুঁটি নাটি তথ্য সংগ্রহ করেন ইডি আধিকারিকেরা।

চার, তদন্তের স্বার্থে ৪ মাস এই সমস্ত নথি নিজেদের কাছে রাখতে পারেন তদন্ত আধিকারিকেরা। যদি তদন্তে প্রমাণিত হয় যে বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি অবৈধ সেক্ষেত্রে সেই সমস্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা পড়ে যায়। কিভাবে জমা পরে জানেন? প্রথমে বাজেয়াপ্ত বেআইনী অর্থ সিল করে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার যে কোনো ব্রাঞ্চে যে কোনো একজন তদন্ত আধিকারিকদের নামে একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলে সেখানেই সমস্ত টাকা রেখে দেওয়া হয়। এরপর বিচার চলাকালীন আদালতে সমস্ত অর্থের হিসেব দাখিল করতে হয়। এবার বাজেয়াপ্ত অর্থ অবৈধ প্রমাণিত হলে সরকারি কোষাগারে যায়। অন্যদিকে যদি প্রমাণিত না হয় সেক্ষেত্রে সুদ সমেত সমস্ত অর্থ ফেরত দিতে হয় ব্যাংকে।

পাঁচ, দুর্নীতিতে বাজেয়াপ্ত কোনও অর্থ ইডি আধিকারিক কিংবা অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারেন না। জানিয়ে রাখি গত ৬ বছরে ইডির তরফে ২৬০০টি দুর্নীতি অভিযান সম্পন্ন হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *