কেন এত ধীর গতিতে এগোচ্ছে নিয়োগ দুর্নীতির মামলা? বেরিয়ে এলো ভয়ংকর ৩টি কারণ

কেন এত ধীর গতিতে এগোচ্ছে নিয়োগ দুর্নীতির মামলা?
বেরিয়ে এলো ভয়ংকর ৩টি কারণ

কেন এত ধীর গতিতে এগোচ্ছে
নিয়োগ দুর্নীতির মামলা?

কবে ফয়সালা হবে
পার্থ অর্পিতার?

কোনদিন সুবিচার পাবে চাকরিপ্রার্থীরা?
কবে আসবে সেই দিন?

কি কি কারণে
বিশ বাঁও জলে চাকরি দুর্নীতির কেস?

এবার বেরিয়ে এলো
ভয়ংকর ৩টি কারণ

মনে পড়ে ২০২২ সালের ২৩ জুলাইয়ের কথা! দিনটি গোটা বাংলার জন্য স্মরণীয়। কারণ এই দিনটিতে প্রথমবার সামনে চলে আসে পশ্চিম বঙ্গের নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়টি। গত বছর এই দিন গ্রেফতার হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। টাকা দিয়ে চাকরি বিক্রি, সেই কালো টাকা দিয়ে বিপুল সাম্রাজ্য তৈরির অভিযোগে গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যেখানে বাংলার ছেলে মেয়েরা যোগ্যতা থাকা স্বত্বেও চাকরি পাচ্ছে না, বেকারত্বের যন্ত্রণা কাঁধে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে চাকরি নিয়োগের অন্তরালে ঘটে চলা এই কালো অধ্যায় সামনে চলে আসায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে গোটা বাংলা। গর্জে ওঠে গোটা যুব সমাজ। সেদিন থেকেই দুর্নীতির কালো হাত ভাঙতে মাঠে নামে ইডি ও সিবিআই আধিকারিকেরা। একে একে গ্রেফতার হতে থাকে তৃণমূল সমর্থক একাধিক বিধায়ক থেকে শুরু করে শিক্ষা দফতরের বহু হেভিওয়েট নেতা। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে চার্জশিটের পাহাড়। তথ্য সূত্রে জানা যাচ্ছে এই মুহূর্তে নিয়োগ দুর্নীতির মোট ৫টি মামলা চলছে। কিন্তু রাজ্যের প্রত্যেক মানুষই আশাবাদী যে দ্রুত নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় মামলার অবসান ঘটবে। সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে যোগ্যরা তাদের প্রাপ্য বুঝে নেবে, অপরাধীরা সাজা পাবে। কিন্তু রাজ্যবাসীদের মনোবাসনা পূরণের কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

একে বারে ধিমে তালে এগোচ্ছে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলা। কোনো তৎপরতা নেই। বহু মানুষ এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, অনেকেরই জিজ্ঞাস্য কেন এত ধীরে সুস্থে এত বড় মামলা চালানো হচ্ছে! দিনের পর দিন না খেয়ে ধর্নায় বসে আছে একাধিক চাকরি প্রার্থী, যারা দুর্নীতির চক্করে নিজেদের প্রাপ্য চাকরি থেকে বঞ্চিত। আজকের প্রতিবেদনে আপনাদের জানাব কেন এত দেরী হচ্ছে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায়। এর পিছনে রয়েছে ৩ টি কারণ –

১, এই মুহূর্তে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মোট ৫ টি মামলা রয়েছে। এই ৫টি মামলা চালানোর জন্য দক্ষ অফিসারের অভাব রয়েছে।

২, এই ৫ টি তদন্ত পরিচালিত হচ্ছে ৫ জন সিবিআই এর একটি ইউনিটের মাধ্যমে। এই ৫ জন সিবিআই এর পক্ষে নিয়োগ দুর্নীতির মামলাগুলো সামাল দেওয়া কঠিন। ম্যান পাওয়ারের অভাব রয়েছে।।

৩, এছাড়াও সম্পূর্ন নিয়োগ দুর্নীতির মামলাটি সম্পূর্ন করতে তদন্ত কমিটি থেকে ল্যাবরেটরি অর্থাৎ বিভিন্ন বিভাগে যে পরিমাণ অফিসার দরকার সে পরিমাণ নেই, যার ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির মামলা গতি হারাচ্ছে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *