FIR কী ?

FIR কী ?

পুলিশ প্রশাসনের নিয়ম অনুযায়ী সিআরপিসির ১৫৪ ধারার অধীনে নথিভুক্ত তথ্যই ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট বা FIR নামে পরিচিত। ১৫৪ ধারা অনুযায়ী অপরাধ সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য  অভিযোগকারী মৌখিকভাবে থানার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকক  জানানোর পর তা যদি সরাসরি অপরাধ হিসাবে লিপিবদ্ধ হয় তাহলে তা তথ্য প্রদানকারীকে তা পড়ে শোনাতে হয়। তাছাড়া  অভিযোগকারীর স্বাক্ষর নিয়ে তা সরকারি নির্দেশিত ফর্মে নথিভুক্ত করতে হয়। এছাড়াও, নথিভুক্ত তথ্যের একটি অনুলিপিও অবিলম্বে এবং নিখরচায় অভিযোগকারীকে দিতে হয়। এটাই এফআইআর বা প্রাথমিক তথ্য বিবরণী নামে পরিচিত। তবে FIR শব্দটির কোনো সংজ্ঞা নেই ভারতীয় দণ্ডবিধি (আইপিসি), ফৌজদারি কার্যবিধি (সিআরপিসি), ১৯৭৩ বা অন্য কোনও আইনে।

সবসময় যে অপরাধের শিকার হওয়া ব্যক্তিই অভিযোগ জানায় তা কিন্তু নয়, অনেক সময় প্রত্যক্ষদর্শী  কিংবা যার মনে হয়েছে ঘটনাটা  একটা অপরাধ তিনি অভিযোগ জানাতে পারেন। অনেক সময় সাধারণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ FIR নিতে চায় না। তখন পুলিশকে FIR নিতে বাধ্য করার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হওয়া যায়।

জিরো এফআইআর কি?

সাধারণত যে থানার আওতায় অপরাধ সংঘটিত হয়েছে সেই থানাতেই FIR করেন অভিযোগকারী। কিন্তু অনেক সময় যে এলাকায় অপরাধ হয়েছে সেই এলাকার থানায় অভিযোগ জানানো সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে তাঁর নিকটবর্তী কোনও থানায় FIR দায়ের করা হলে FIR নম্বর ‘জিরো’ রাখা হয়। তখন সেই থানার পুলিশ আধিকারিকরাই অভিযোগটি সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। তবে জিরো এফআইআর-এর সুবিধা হল এরফলে তখনই সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ জানানো সম্ভব না হলেও এফআইআর দায়ের করতে দেরি হয় না।

FIR ও NCR এর মধ্যে পার্থক্য কি?

কোন কিছু চুরি হলে IPC ৩৭৯ ধারা অনুযায়ী  FIR দাখিল করা যায়। কিন্তু কোন জিনিস হারিয়ে গেলে থানায় গিয়ে NCR করা যায়। যার   পুরো নাম হল Non Cognizable Report। অর্থাৎ যে ঘটনাটি আপনার অজান্তেই হয়েছে।

যদি পুলিশ এফআইআর নথিভুক্ত করতে অস্বীকার করে?

১৫৪ (৩) সিআরপিসি ধারার অধীনে যদি কোনো কর্তব্যরত অফিসার এফআইআর নথিভুক্ত না করেন তবে অভিযোগকারী সরাসরি পুলিশ সুপার/ডিসিপির কাছে অভিযোগ পাঠাতে পারেন। সেই পুলিশ কর্তা সেটিকে আমলযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করে ঘটনার তদন্ত করার নির্দেশ দিতে পারেন।

এফআইআর দায়ের করার পরে কী হয়?

FIR হলো সেই প্রথম অভিযোগপত্র যার ভিত্তিতেই পুলিশ পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে সাক্ষীদের বক্তব্য বা অন্যান্য বৈজ্ঞানিক উপকরণসহ পুলিশ মামলাটির তদন্ত করবে। তারপর আইন অনুযায়ী অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হয়।

 


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *