হিন্দু বিবাহিত মহিলারা শাঁখা পলা পড়েন কেন জানেন? খুবই শক্তিশালী হয় এই শাঁখা পলা, স্বীকার করেছে বিজ্ঞানও

হিন্দু বিবাহিত মহিলারা শাঁখা পলা পড়েন কেন জানেন? খুবই শক্তিশালী হয় এই শাঁখা পলা, স্বীকার করেছে বিজ্ঞানও

হিন্দু বিবাহিত মহিলারা শাঁখা পলা
পড়েন কেন জানেন?

কেন হিন্দু বিবাহিত মহিলাদের
শাঁখা পলা পরা বাধ্যতামূলক?

খুবই শক্তিশালী এই শাঁখা পলা!
বিজ্ঞান থেকে শাস্ত্র সবাই মেনেছে এই কথা!

হাতের শাঁখা পলা খুলে ফেললে
স্বামীর সঙ্গে কি ঘটে আছে কোনও ধারণা?

মোট ৫ টি কারণে
হিন্দু নারীদের শাঁখা পলা পরতে হয়!
যা অধিকাংশ হিন্দু নারীরই অজানা

হিন্দু ধর্মে বিবাহিত মহিলাদের হাতে শাঁখা পলা পরতে দেখা যায়। হিন্দু শাস্ত্রে শাঁখা পলার গুরুত্ব অনেক। বলা হয়ে থাকে যে, শাঁখা পলা ছাড়া বিবাহ সম্পূর্ণ হয় না। স্ত্রীর হাতের শাঁখা পলা স্বামীর জীবন বাঁচায়। হাতে পরা শাঁখা পলা বিবাহিত নারীর জন্য অত্যন্ত শুভ ও মাঙ্গলিক বস্তু। বিয়ের প্রথম দিন স্ত্রীর হাতে ব্রাক্ষ্মণকে দিয়ে শাঁখা পলা পরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর স্বামী যখন শরীর ত্যাগ করে তখন সেই শাঁখা পলা ভেঙে জলে বিসর্জন দেওয়া হয়। হিন্দু শাস্ত্র মতে, বিবাহিত নারীরা এমনি এমনি শাঁখা পলা পরে না। এর পিছনে বৈজ্ঞানিক যুক্তি থেকে শাস্ত্রীয় যুক্তি সবই রয়েছে। মূলত ৫ টি কারণে মহিলারা হাতে শাঁখা, পলা পরেন। এক নজরে দেখুন কারণগুলো –

এক, স্বামীর মঙ্গল কামনা – হিন্দু শাস্ত্র মতে বিবাহিত নারীর হাতে থাকা শাঁখা পলা স্বামীর মঙ্গল ডেকে আনে। স্বামীর প্রাণ লুকিয়ে থাকে স্ত্রীর হাতের শাঁখা, পলাতে। তাই হিন্দু নারীরা হাতে শাঁখা, পলা পরিধান করে থাকেন।

দুই, লক্ষ্মীকে সন্তুষ্ট করা – শাঁখা পলা লক্ষ্মী দেবীর অত্যন্ত প্রিয়। আয়স্থি নারীদের হাতে শাঁখা পলা পরা দেখলে মা লক্ষ্মী অত্যন্ত প্রসন্ন হন।

তিন, সংসারের শ্রী বৃদ্ধি – জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে স্ত্রীর হাতের শাঁখা, পলা সংসারের শ্রী বৃদ্ধি ঘটায়। তাই বিবাহিত নারীদের হাতে শাঁখা পলা পরা খুবই উত্তম কাজ বলে মনে করে জ্যোতিষ শাস্ত্র।

চার, স্বামীর সৌভাগ্য বয়ে আনা – হিন্দু ধর্মে প্রচলিত ধারণা, স্ত্রী জাতি হয়ে শাঁখা পলা পড়লে স্বামীর সৌভাগ্য অটুট থাকে। স্বামীর আয় উন্নতি বাড়ে।

পাঁচ, স্বাস্থ্য ভালো রাখে – শাঁখা পড়ার পিছনে ধর্মীয় ব্যাখ্যা তো শুনলেন এবার শুনুন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা। আজকাল মেয়েরা নানা ধরনের চুড়ি পরে, কাচের চুড়ি, পালস্টিকের চুড়ি নানা রকম চুড়ি। কিন্তু সেই সময় এত ধরনের চুড়ি ছিল না। তখনকার দিনের মেয়েরা জল শঙ্খ কেটে চুড়ি বানিয়ে হাতে পড়ত। যা হাতের স্কিনের জন্যও ভালো , কোনও ক্ষতি করত না। সেখান থেকেও শাঁখা পড়ার একটা চল শুরু হয়। বিজ্ঞানীরা চুড়ি হিসেবে জলশঙ্খের তৈরি চুড়িকে অনেক বেশি স্বাস্থ্যক বলে দাবি করেছেন।।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *