জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ট বন্ধু বাকিবুর! অগাধ সম্পত্তির মালিক, যার কাছে চুনোপুঁটি পার্থ – অর্পিতাও
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের
খুবই ঘনিষ্ট বন্ধু বাকিবুর!
অত্যন্ত প্রভাবশালী এক ব্যক্তি!
কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক!
রয়েছে চালকল, আটাকল, পানশালা!
যার কাছে চুনোপুঁটি পার্থ – অর্পিতাও!
আসলে কে এই বাকিবুর?
কিভাবেই বা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর
সাথে জড়িয়ে গেল তার নাম ?
রেশন দুর্নীতিতে কি তারও
হাত রয়েছে?
সামনে এলো বাকিবুরের
হাড়হিম করা পরিচয়
Body:- রাজ্যে ফের দুর্নীতির খোঁজ। এবারে দুর্নীতির সঙ্গে নাম জড়ালো প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী ও বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। সারদা-নারদা ও SSC স্ক্যামের পর এবারে রেশন নিয়েও বড় দুর্নীতি। ইতিমধ্যেই ইডির স্ক্যানারে জ্যোতিপ্রিয়। আর যার বয়ানের ওপর ভিত্তি করে এই তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়, তিনি হলেন বাকিবুর রহমান।
কিন্তু অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে কে এই বাকিবুর রহমান? কতটাই বা তার প্রভাব যে তার বয়ানের ওপর ভিত্তি করে গোটা একটা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি একটি তদন্ত চালাচ্ছে। তার জন্য প্রথমে আপনাদের জানতে হবে এর উত্থান সম্পর্কে। জানা যায়, একদা এই বাকিবুরের মামা সিরাজ যুক্ত ছিলেন রেশনের ব্যবসায়। পরবর্তীতে মামার হাত ধরেই এই ব্যবসায় নামেন বাকিবুর। ২০০৪ সালে খাদ্য দফতরের খাদ্য পরিবহণের কাজে শুরু করে সে । তখন বাকিবুরের কাছে ছিল মাত্র চারটি লরি। জানা যায়, তৎকালীন বাম আমলে খাদ্য দফতরে DDPS আধিকারিকের সহায়তায় খুব অল্প দিনের মধ্যেই নিজের মতো করে ব্যবসা শুরু করে সে। এরপর ২০১১ সালে সরকার পরিবর্তন হলেও খুব একটা পরিবর্তন হয় না তার ব্যবসায়। উল্টে ঝড়ের গতিতে বৃদ্ধি পায় তার সম্পত্তির পরিমাণ।
পরবর্তীতে বাকিবুর নিজের একটি রাইস মিল তৈরি করেছিল। ওপর মহলে লম্বা হাত ছিল বাকিবুরের। জানা যায়, এরপর ২০১১ সালেও একটি আটার মিল তৈরি করে বাকিবুর। একটা সময় তার জালিয়াতির পরিমাণ মাত্রা ছড়ায়। প্রথমে প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় খাদ্য দফতরের কোয়ালিটি কন্ট্রোলের ল্যাবরেটরিতে জালিয়াতি করা। এরপর সেই সুযোগ নিয়ে খারাপ মানের আটা ভাল বলে টেস্ট রিপোর্ট তৈরি করে বিল করানো। তার সবচেয়ে বড় অপরাধ হল সে, খাদ্য দফতরের ট্যাগ থাকা রাইস মিলের বা আটা মিলে বেশিরভাগটাই খাদ্য দফতরকে সরবরাহ করতেন না। তার বদলে চড়া দামে সেগুলিকে বাইরে বিক্রি করতেন বাকিবুর।
এবারে নতুন এই দুর্নীতির জল কতদূর গড়ায় তার উত্তর দেবে সময়ই।
Leave a Reply