বাঙালিরা শুধু দেখতেই মিষ্টি হয় না খেতেও ভালবাসেন মিষ্টি! দুর্গাপূজো মিটতেই বিজয় দশমীর পর থেকে মিষ্টি খাওয়ার ধুম গিয়েছে দ্বিগুণ বেড়ে। কিন্তু এই মিষ্টিই সঙ্গে করে নিয়ে আসে স্থূলতা, ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিংবা হৃদ্রোগের মতো সমস্যা। এই কারণেই বছরভর রোগ-ভোগের সমস্যায় একেবারে জর্জরিত এই মিষ্টি প্রিয় জাতি। তাই শরীর সুস্থ রাখতেই চিকিৎসকরাও পরামর্শ দেন খাদ্য তালিকা থেকে মিষ্টি বাদ দেওয়ার জন্য।
তবে শুধু শরীর সুস্থ রাখতেই নয় অনেকে সুন্দর ফিগার ধরে রাখতে অর্থাৎ রোগা হওয়ার জন্যও মিষ্টি খাওয়া ছেড়ে দেন। তাই ডায়েটিশিয়ানদের পরামর্শ মেনে অনেকেই সচেতনভাবে চিনি ছাড়ার চেষ্টা করছেন। তাহলে কেমন হবে যদি এক মাসের জন্য মিষ্টি খাওয়া একদম ছেড়ে দেন? এতে কি প্রভাব পড়বে শরীরের ওপর? তাতে কি সুবিধা হবে আর কিইবা অসুবিধা হতে পারে?
১) দু্র্গাপুজোয় ডায়েট ভুলে মিষ্টি খেয়েই এক ধাক্কায় বেড়ে গিয়েছে ওজন? তাহলে ওজন কমাতে আজ থেকেই আগামী এক মাস চিনি খাওয়া ছেড়ে দিন। অতিরিক্ত মিষ্টি খেলে শরীরে ক্যালোরি বেড়ে যায়, যা ওজন বাড়ার কারণ। চিনি খাওয়া বন্ধ করলেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন নিজেই।
২) চিনি কম খেলে ঘুম ভাল হয়। তাই চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিলে অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়।
৩) চিনি খাওয়া বন্ধ করলে কাজের প্রতি অনীহা দূর হবে। এক মাস চিনি খাওয়া ছেড়ে দিলেই দেখবেন কর্মক্ষমতাও বেড়ে যাবে ।
৪) অতিরিক্ত চিনি খেলে দেহের বিভিন্ন অঙ্গের চারপাশে চর্বি জমতে শুরু করে। যার ফলে হার্ট এবং লিভারের রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই রোগ ঠেকাতে চিনি খাওয়া বন্ধ করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
৫) গবেষণায় দেখা গিয়েছে , চিনি খেলেই গাঁটে গাঁটে ব্যাথা বাড়ে, তাই বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে এক মাস চিনি খাওয়া বন্ধ করলেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
৬) মিষ্টি খাওয়া ছেড়ে দিলেদাঁতের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। ঝুঁকি কমে যায় মাড়ির রোগ এবং ক্যাভিটিও।
Leave a Reply