ছাত্রছাত্রীরাই হলেন আমাদের দেশের উজ্বল ভবিষ্যৎ। তাই আগামী প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীদের জন্য দুর্দান্ত একটি স্কলারশিপ এনেছে দেশের সবচেয়ে বিশ্বস্ত টাটা গ্রুপ। অর্থ যাতে মেধাবী পড়ুয়াদের পড়াশোনায় বাধা না হয় তার জন্যই টাটা পাঙ্খ স্কলারশিপ নামের একটি স্কলারশিপ এনেছে টাটা ক্যাপিটাল। বর্তমানে ২০২৩ এর শিক্ষাবর্ষের জন্য এই টাটা স্কলারশিপ -এর আবেদন চলছে! এই স্কলারশিপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এই প্রতিবেদনে।
টাটা স্কলারশিপ কি?
টাটা গ্রুপের বিশেষ একটি আর্থিক পরিষেবার শাখা হল টাটা ক্যাপিটাল। এই গ্রূপের তরফ থেকে চলতি বছরের জন্য যে স্কলারশিপ দেওয়া হচ্ছে তার নাম টাটা ক্যাপিটাল পান্খ স্কলারশিপ। এই স্কিমের উদ্দেশ্য হল দেশের দুস্থ অথচ মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের আর্থিকভাবে সাহায্য করা।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাশ এবং আন্ডারগ্রাজুয়েট জেনারেল কলেজের স্টুডেন্টরা অর্থনৈতিক দিক থেকে বেশ কিছুটা সাপোর্ট পাবে এই স্কলারশিপের মাধ্যমে।
আবেদনের যোগ্যতা
১) এই স্কলারশিপে আবেদন করতে গেলে শিক্ষার্থীকে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে এবংপরিবারের বার্ষিক আয় ৪ লক্ষ টাকার বেশি হলে চলবে না।
২) ডিসট্যান্স কোর্সে পড়াশোনা করলে হবে না। ছাত্র ছাত্রীকে ফুল টাইম সরকারি বা প্রাইভেট স্কুল-কলেজে পাঠরত হতে হতে হবে।
৩) পূর্ববর্তী পরীক্ষায় অন্তত ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে।
আবেদনকারীদের একটি ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে। যারা টেলিফোনিক ইন্টারভিউ ক্লিয়ার করবে, তাদের চূড়ান্ত কমিটির রাউন্ডের জন্য বাছাই করা হবে।
কোন ছাত্র ছাত্রীরা আবেদন করতে পারবেন?
এই স্কলারশিপ পেতে গেলে পড়ুয়াদের অবশ্যই মাধ্যমিক পাশ করতে হবে। এছাড়া একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণী বা সাধারণ আন্ডার গ্রাজুয়েট কোর্স (বিএ, বিএসসি, বিকম,) এবং ডিপ্লোমাতে পাঠরত ছাত্র ছাত্রীরাও আবেদন করতে পারবেন।
কী কী ডকুমেন্ট লাগবে?
১. স্কুল পড়ুয়াদের জন্য আগের পরীক্ষার মার্কশীট, আর কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের ক্ষেত্রে গ্রেড কার্ডের কপি। ২. টিউশন ফি এর পেমেন্টের রশিদ বা কোনো একাডেমিক সার্টিফিকেট অথবা স্কুল বা কলেজের আইডি কার্ড। ৩. ভারতীয় নাগরিক হওয়ার প্রমাণপত্র হিসেবে আধার কার্ড,ভোটার কার্ড আর প্যান কার্ডের কপি। ৪. পরিবারের বার্ষিক আয়ের সার্টিফিকেটের কপি। ৫. ব্যাঙ্কের পাসবুকের প্রথম পাতার কপি। (৬) পাসপোর্ট সাইজের একটি রঙিন ছবি।
অনলাইনে কিভাবে আবেদন করবেন ?
টাটা পাঙ্খ স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য আবেদন করতে প্রথমেই টাটা গ্রুপ এবং buddy4study সাইটে যেতে হবে, সেখান থেকেই ধাপে ধাপে সমস্ত আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হবে।
এরপর ক্যাটেগরি সিলেক্ট করে Apply Now” বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস আপলোড করে ফর্মটি সঠিকভাবে পূরণ হয়েছে কিনা সেটি একবার চেক করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে।
শেষ তারিখ: আগামী ১৫ নভেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন পত্র জমা দেওয়া যাবে।
আবেদনপত্র সাবমিট হওয়ার পর ইমেইল আইডিতে একটি অ্যাপলিকেশন নম্বর পাঠানো হবে। এই নম্বরটিই পরবর্তীতে স্কলারশিপের স্ট্যাটাস জানতে সাহায্য করবে।
Leave a Reply