পরীক্ষামূলক মেসেজ

শুক্রবার বেলা ১২ টার পর থেকে বিকট আওয়াজ করে কেঁপে উঠেছে সবার মোবাইল ফোন। সাইরেনের মতো শব্দ করে ফোন বেজে ওঠার সাথে সাথেই  ব্যাপক জোরে কয়েকবার ভাইব্রেটও করেছে ফোন। সেই সাথে মোবাইলের স্ক্রিনের ভেসে উঠেছে একটি মেসেজ। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় দেশবাসীকে সতর্ক করার জন্য ভারত সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের তরফ থেকে বিশেষ প্রযুক্তির এই এমার্জেন্সি এলার্ট সিস্টেম (EAS) পাঠানো হয়েছে প্রত্যেকের মোবাইল ফোনে। আসলে এটি একটি পরীক্ষামূলক মেসেজ।

জরুরী এই মেসেজে লেখা ছিল ‘এটি ভারত সরকারের টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের সেল ব্রডকাস্টিং সিস্টেমের মাধ্যমে পাঠানো একটি নমুনা পরীক্ষামূলক বার্তা। অনুগ্রহ করে এই বার্তাটি উপেক্ষা করুন কারণ আপনার পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপের প্রয়োজন নেই। এই বার্তাটি জাতীয় বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ দ্বারা প্রয়োগ করা প্যান-ইন্ডিয়া ইমার্জেন্সি অ্যালার্ট সিস্টেম পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হয়েছে। এটির লক্ষ্য জন সাধারণের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা এবং জরুরি পরিস্থিতিতে সময়মত সতর্কতা প্রদান করা। টাইমস্ট্যাম্প: 27-10-202313:06 PM 22’.

তবে মেসেজের অ্যালার্ট পদ্ধতি দেখে অনেকেই ঘাবড়ে গিয়েছেন। কিন্তু এই মেসেজ দেখে ঘাবড়ে যাওয়ার মত কিছু নেই। কারণ এটি সম্পূর্ণভাবে পরীক্ষামূলক একটি মেসেজ। এর সাথে সাইবার অপরাধ বা হ্যাকিংয়ের কোন যোগাযোগ নেই। এটি সম্পূর্ণ একটি সরকারি প্রকল্প। কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রক ছাড়া কেউই এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মেসেজ এই মেসেজ পাঠাতে পারবে না। গতকাল জরুরি এই টেক্সট মেসেজ স্মার্ট ফোন,স্মার্ট ওয়াচ সহ বিভিন্ন ডিভাইসে পাঠানো হয়েছিল।

সাধারণত কোনও ফোনে কোনও SMS পাঠালে তা মেসেজ বক্সে চলে যায়। সেই  মেসেজ রিসিভ হয়েছে বোঝা গেলেও গ্রহীতা তা খুলে পড়েছেন কি না সেটা জানা যায় না। সবাই ম্যাসাজ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা পড়েনও না। তাই এই সমস্যার সমাধান করতেই তৈরি করা হয়েছে অত্যাধুনিক  EAS প্রযুক্তি। যার জন্য প্রয়োজন নেই কোনো  ইন্টারনেট কানেকশন। SMS-এর মতোই  এই মেসেজ পাবেন গ্রাহক। কিন্তু সবাই যাতে মেসেজটি পড়েন তা নিশ্চিত করতেই সাইরেনের মতো বিকট আওয়াজ আর ভাইব্রেশনের সাথে পাঠানো হচ্ছে এই মেসেজ। পরীক্ষামূলক এই মেসেজ দেখার পর ওকে বটন টিপে বন্ধ করে দিতে হবে। তবে এই  মেসেজ যাবে না মেসেজ বক্সে।

চলতি বছরের জুলাই মাস থেকেই টেলি যোগাযোগ বিভাগ জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি কর্মসূচি শুরু করেছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য হল, জরুরি অবস্থার সময়ে দেশের নাগরিকদের সহজেই অ্যালার্ট করা। তবে ব্যবহারকারীরা এই মেসেজ কিন্তু এই প্রথম পাননি। চলতি বছরের জুলাই মাস থেকেই এই মেসেজ পাঠানো হচ্ছে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *