ভারতবর্ষ মানে বৈচিত্রের সমাহার। আমাদের দেশের এক এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে পা রাখলেই বদলে যায় মানুষের ভাষা-সংস্কৃতি, পোশাক-আশাক থেকে রুচি, খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাস সবকিছুই। তারপরেও প্রত্যেক ভারতবাসী মিলেমিশে এক হয়ে থাকেন। তাই এখানে একতাই শক্তি। আমাদের দেশে এমন কিছু অদ্ভুত গ্রাম আছে যার কোথাও মানুষ কখনো জুতো পড়ে না. আবার কোথাও মানুষের সাথে বাস করে সাপের মতো বিষাক্ত প্রাণী। আমাদের দেশের এমনই কয়েকটি অদ্ভুত গ্রাম সম্পর্কে হয়তো জানেন না অনেকেই। আজকের প্রতিবেদনে থাকল ভারতের বুকে অবস্থিত এমনই সব আজব গ্রামের নাম।
গ্রামের বাচ্চারাও সাপ নিয়ে খেলে
মহারাষ্ট্রের সোলাপুরের একটা ছোটো গ্রাম হল শেতফল। বলা হয় নাগ দেবতার আশীর্বাদ ধন্য এই গ্রামের রাস্তা-ঘাট, ঘর-বাড়িতে ঘুরে বেড়ায় সাপ। নিয়ম মেনে এই গ্রামের প্রত্যেক বাড়িতে একটি করে কেউটে বা চন্দ্রবোড়া থাকে। ছোটো ছেলে মেয়েরাও সাপ নিয়ে খেলে। কিন্তু কারও ক্ষতি করে না। মানুষের বিশ্বাস নাগ দেবতার আশীর্বাদেই সাপেরা গ্রাম পাহারা দেয়।
জুতো পরা বারণ
তামিলনাড়ুর কোডাইকানাল হিল স্টেশনের কাছে অবস্থিত ভেল্লাগাভি গ্রামে জুতো পরা নিষেধ। এই গ্রামে অনেক মন্দির রয়েছে। তাই বাইরের কেউ এই গ্রামে এসে জুতো পরলে, তাঁকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়।
দুই দেশের মধ্যবর্তী একটি গ্রাম
নাগাল্যান্ডের একটি মনোরম শহর ছিল মোন। এই মোনের লংওয়া গ্রামে এমন একটি বাড়ি আছে যার অর্ধেক ভারতে আর বাকি অর্ধেক রয়েছে মায়ানমারে। ব্রিটিশ মানচিত্রকাররা ভারতে এই সীমান্ত তৈরি করেছিলেন। এটি লংওয়া গ্রাম প্রধানের বাড়ি। মজার ব্যাপার হল, এই বাড়ির সদস্যরা মায়ানমারে খায় আর ভারতে ঘুমায়।
৫০ বছরে কোনও বিয়ে হয়নি এই গ্রামে
বিহারের একটি ব্যাচেলার গ্রাম হল বড়ওয়া কলা। আজব এই গ্রামে গত ৫০ বছরে কেউ বিয়ে করেনি। এটাই এই গ্রামের বৈশিষ্ট্য। প্রায় ৫০ বছর পর ২০১৭ সালে এখানে প্রথম বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছিল। প্রায় ১০ কিলোমিটা পথ পায়ে হেঁটে এই গ্রামে পৌঁছোনো যায়।
পরিযায়ী পাখিরা আত্মহত্যা করে
অসমের একটি রহস্যময় গ্রাম হল জাটিঙ্গা। যা গণ আত্মহত্যার জন্য বিখ্যাত। এই গ্রামে পরিযায়ী পাখিরা ঝাঁকে ঝাঁকে আত্মহত্যা করে। তথ্যসূত্র অনুযায়ী প্রতি বছর, এই গ্রামে এসে প্রায় এক হাজার পাখির মৃত্যু হয়। প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে পাখিদের এই কান্ড দেখতে হাজির হন বহু পর্যটক।
Leave a Reply