রাস্তার মেয়েকে লাখ টাকার শপিং করে দিয়েছিলেন নীতা আম্বানি!
একবার মুকেশ আম্বানির স্ত্রী মুম্বাইয়ের বিলাসবহুল একটি শপিং মলে গিয়েছিলেন কেনাকাটা করতে। আপনারা সকলেই জানেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ধনীদের মধ্যে এগিয়ে নীতা আম্বানি। আর তিনি শপিং মলে যাচ্ছেন মানে বিষয়টা একেবারেই কোনও ছোট খাটো নয়। মুম্বাইয়ের একেবারে আলিশান মলেই গিয়েছিলেন মুকেশ পত্নী। মলে ঢোকার মুখেই নীতা আম্বানি একটি মেয়েকে দেখতে পায়। এরপর নীতা আম্বানি সোজা মলের ভিতরে চলে যায়। দামী দামী সমস্ত পোশাক কিনে নেন নীতা আম্বানি। পোশাকের তালিকায় ছিল বিশ্বের বড় বড় সমস্ত ব্র্যান্ডের জামা কাপড়।
শপিং শেষ হতেই নীতা আম্বানি মলের বাইরে বেরিয়ে আসেন। বেরিয়ে আসতেই তিনি আবার মেয়েটিকে দেখতে পান। তিনি লক্ষ্য করেন মেয়েটি অপলক দৃষ্টিতে তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে। মেয়েটি নীতা আম্বানির শপিং ব্যাগের দিকে মায়া ভরা চোখ নিয়ে তাকিয়েছিল। বিষয়টি নীতা আম্বানির মনে মেয়েটির সাথে পরিচিত হওয়ার আগ্রহ তৈরি করে।
আর ঠিক তারপরেই নীতা আম্বানি মেয়েটির কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেন মেয়েটি সেখানে কি করছে? তখন মেয়েটি নীতা আম্বানিকে জানায় যে সে প্রার্থনা করছিল ভগবান যেন তাঁকে ভালো কিছু পোশাক কেনার মতন সুযোগ করে দেয়। কারণ তার কাছে কোনো ভালো পোশাক নেই। অত্যন্ত দরিদ্র হওয়ায় তার পরিবার তাকে জামা কাপড় কিনে দিতে ব্যার্থ। এই কথা শুনেই চোখ ছলছল করে ওঠে নীতার। এরপর তিনি দেরী না করেই মেয়েটির হাত ধরে আবারও চলে যান শপিং মলের ভিতরে। এরপর মেয়েটির যা যা পছন্দ হয়েছে সমস্ত পোশাক কিনে দেন নীতা। মেয়েটি তখন নীতা আম্বানিকে বলে – আমি ভগবানের কাছে কাপড় চেয়েছিলাম, আপনি কি সেই ভগবান, যিনি মানুষ রূপে আমাকে এত জামা কাপড় কিনে দিয়েছে?
মেয়েটির এমন প্রশ্নে আবেগে ফেটে পড়েন নীতা। আসলে এই ঘটনা থেকে নীতা আম্বানির উচ্চ মানসিকতার প্রমাণ। আসলে তিনি যে শুধু অর্থের দিক থেকেই ধনী এমনটা নয়, মনের দিক থেকে অনেক অনেক ধনী নীতা আম্বানি।
Leave a Reply