বলিউডের দামি সেট

এখনকার দিনে সিনেমা মানেই বিরাট ব্যবসা। আর বলিউডের সিনেমাগুলিতে এই ব্যবসার মূল ভীত দাঁড়িয়ে থাকে সিনেমা সেটের ওপর।  তাই যে কোনো  সিনেমা দর্শকদের কাছে আরও বেশি চিত্রাকর্ষক করে তুলতে সিনেমার প্রযোজক পরিচালকরা অনেক বেশি পরিমাণে টাকা ব্যয় করে থাকেন সিনেমাটির সেট নির্মাণের ক্ষেত্রে। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এমন অনেক সেট রয়েছে যা দেখলেই আসল নকল পার্থক্য করা দায় হবে দর্শকদের। আসুন দেখে নেয়া যাক বলিউডের এমনই বেশ কিছু জনপ্রিয় সিনেমার বড় সেট গুলির তালিকা।

মুঘল-এ-আজম: বলিউডের অন্যতম ক্লাসিক সিনেমা মুঘল-এ-আজম। তখনকার দিনে এই সিনেমার ‘প্যায়ার কিয়া তো ডরনা কিয়া গানে’র যে সেটটি দেখানো হয়েছিল তা তৈরি করতেই খরচা হয়েছিল প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। এই শিসমহল তৈরি করতে কাঁচ আনা হয়েছিল সুদূর বেলজিয়াম থেকে। এই দামি শিসমহল তৈরি করতে সময় লেগে গিয়েছিল ২ বছর।

কভি খুশি কভি গম: এই সিনেমায় দিল্লির যে চাঁদনি চক দেখানো হয়েছে তা কিন্তু আসলে মুম্বইয়ের একটি ফিল্ম স্টুডিও। যা সিনেমায় হবহু ফুটিয়ে তুলেছিলেন শিল্প নির্দেশকেরা। এই সিনেমার জন্য ১৮ থেকে ১৯ টি সেট তৈরি করেছিলেন শিল্প নির্দেশক শর্মিষ্ঠা রায়।

দেবদাস: সঞ্জয় লীলা বানশালির বিগ বাজেটের সিনেমার মূল ইউএসপি হল তাঁর সিনেমার সেট। সিনেমার সেট নির্মাণে তাঁকে টেক্কা দেওয়া সত্যিই মুশকিল।  ‘দেবদাস’ সিনেমায় পারোর যে ঘরটি দেখা গিয়েছে তা সাজানো হয়েছিল প্রায় ১২ কোটি ২০ লক্ষেরও বেশি কাচ দিয়ে। আর চন্দ্রমুখীর কোঠায় তৈরি করা হয়েছিল আস্ত একটা দিঘি।

জোধা আকবর: হৃত্বিক রোশন এবং ঐশ্বর্য রাই অভিনীত বিখ্যাত এই বলিউড সিনেমায় সকলের নজর কেড়েছিল এই সিনেমার সেট। নিতীন চন্দ্রকান্ত দেশাই নির্মিত সেটটি নির্মাণ করতে খরচ হয়েছিল ৭০ কোটি টাকার কাছাকাছি।

বম্বে ভেলভেট: এই সিনেমায় পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ ১৯৬০ সালের বম্বের ছবি ফুটিয়ে তুলেছিলেন। শ্রীলঙ্কায় কলম্বোতে মোট ৯.৫ একর জায়গা জুড়ে নির্মাণ করা হয়েছিল এই সেটটি। প্রায় ১ বছর সময় লেগে গিয়েছিল বলিউডের এই দামি সেটটি নির্মাণ করতে।

বাজিরাও মস্তানি: সঞ্জয় লীলা বানশালির সিনেমার সেট মানেই রাজপ্রাসাদ। যার অন্যতম উদাহরণ হল ‘বাজীরাও মস্তানি’। শাহু দরবার থেকে শুরু থেকে কাশীবাঈ-এর বাড়ি এই সবটাই বড়পর্দায় একেবারে নিখুঁতভাবে তুলে ধরেছিলেন তিনি। প্রায় ২৫ দিন ধরে নির্মাণ করা হয়েছিল কাশীবাঈ-এর বাড়ি। শাহু দরবারেই ছিল ৫০ ফুটেরও বড় বড় পিলার। প্রায় ৪০০০ টি আয়না দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল আয়নামহল। ১৩ জনেরও বেশি শিল্প নির্দেশক মিলে তৈরী করেছিলেন ‘বাজিরাও মস্তানি’র  সেট।

বাহুবলী ২: দ্য কনক্লুশন: সাউথের এই বিখ্যাত সিনেমায় মহীশমতীর রাজ্য তৈরি করেছিলেন প্রোডাকশন ডিজাইনার সাবু সিরিল। যার জন্য প্রায় ১৫০০ টিরও বেশি স্কেচ তৈরি করেছিলেন তিনি। হায়দরাবাদের রামোজি ফিল্ম সিটিতে প্রায় ১০০ একর জমিতে এই বিশাল সেট তৈরী করা হয়েছিল। সিনেমায় বল্লালদেবের ১২৫ ফুট লম্বা মূর্তিটির ওজন ছিল ৮ হাজার কেজি। যা নির্মাণ করেছিলেন ২০০ জন স্কাল্পচারিস্ট। মূর্তিটি সরাতে কমপক্ষে ৪টি ক্রেন ব্যবহার করা হয়।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *