ট্রেন

অন্যান্য বারের তুলনায় এবারের পুজোটা বেশ আলাদা। শহর কিংবা শহরতলীর পুজো দেখতে মহালয়ার দিন থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে উপচে পড়েছে মানুষের ভীড়। শহরের রাজপথ থেকে অলিগলি সর্বত্র ঢল নেমেছে মানুষের। প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক এই মানুষকে স্বাচ্ছন্দে এবং নিরাপত্তার সঙ্গেযাত্রীকে দ্রুত দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ভারতীয় রেলের জুড়ি মেলা ভার।

উৎসবের মরশুমে অন্যান্য গণ পরিবহনের মতো কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায় ভারতীয় রেলের পরিষেবাও। পুজোর দিনগুলিতে হাওড়া কিংবা শিয়ালদহ ডিভিশনে সারা রাত লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালানো হয়। প্রত্যেক স্টেশনেই দাঁড় করানো হয় ট্রেন। তাই প্রত্যেক বারের মতো এবারও এই উৎসবের মরশুমে পোয়া বারো ভারতীয় রেলের।

পুজোর মরশুমে ভিড় সামলাতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। চালু করা হয়েছে পুজো  স্পেশাল লোকাল ট্রেন। পঞ্চমী থেকেই এই  পরিষেবা চালু হয়ে গিয়েছে। শিয়ালদা ডিভিশনে মোট আঠারোটি অতিরিক্ত ট্রেন চালানো হচ্ছে পুজোর দিনগুলিতে।  এছাড়া হাওড়া ডিভিশনেও অতিরিক্ত ৮টি স্পেশাল লোকাল ট্রেন চালানো হচ্ছে ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত। পাশাপাশি আসানসোল ডিভিশনে চারটি পুজো স্পেশাল মেমু ট্রেন চালানো হচ্ছে।

 

প্রত্যেক বছর সাধারণত  ষষ্ঠী থেকেই  পুজো স্পেশাল লোকাল ট্রেন চালানো হয়। কিন্তু এবছর মহালয়া থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্যান্ডেল হপিং। যা নবমীতে গিয়ে তৈরী করেছে জন জোয়ার। তাই এবছর পঞ্চমী থেকে রেলের এই বিশেষ পরিষেবা শুরু হয়েছে। যা চতুর্থীর দিনেই  সমস্ত রেকর্ড একেবারে ভেঙে দিয়েছে। পুজোর একদিনেই রেলের যে রোজগার হয়েছে তার রীতিমতো  চমকে দিয়েছে সবাইকে ।

এই বিষয়ে রেলের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, এবছর চাতুর্থীতেই  পূর্ব রেলের শিয়ালদা ডিভিশনে ১৯ লক্ষ ৭৬ হাজারের বেশি যাত্রী ট্রেনে চড়েছিলেন। ওই দিন কেবলমাত্র শিয়ালদা ডিভিশন থেকে রেলের আয়  হয়েছে ১ কোটি ৮০ লক্ষ ৬৪ হাজার ৩৩৫ টাকা। অর্থাৎ প্রায় দু’কোটি টাকা। চতুর্থীর দিনে শিয়ালদহ ডিভিশনের এই আয় সমস্ত হিসাবকে বদলে দিয়েছে।

বিশেষ করে গত কয়েক বছরের রেকর্ডকে কার্যত ভেঙে দিয়েছে বলেই দাবি ভারতীয় রেলের।পরিসংখ্যান বলছে গতবছর অর্থাৎ ২০২২সালের চতুর্থীতে শিয়ালদা ডিভিশনের প্রায় ১৭ লাখ  যাত্রী টেনের টিকিট কেটেছিলেন। যা থেকে শিয়ালদা ডিভিশনের আয় হয়েছিল দেড় কোটির কিছু বেশি।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *