জানেন মেঘে ঠিক কত পরিমাণ জল থাকতে পারে? তুলোর মতো ভাসমান এই মেঘের কি আদৌ ভারী হয়? জানেন একফালি মেঘের কত ওজন হয়? পরিমাণ শুনলে চোখ কপালে উঠবে আপনারও।
বৃষ্টি এখন প্রায় বারোমাস। বছরের যে কোনো ঋতুতেই এখন বৃষ্টি হয়। কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, আবার কখনও বৃষ্টি নামে মুষলধারায়। ছোটবেলার বিজ্ঞান কিংবা ভূগোল বইতেও কমবেশি আমরা সকলেই পড়েছি বৃষ্টি হওয়ার প্রক্রিয়া৷ কিন্তু, কখনও ভেবে দেখেছেন, হাওয়ায় ভেসে বেড়ানো ওই এক টুকরো মেঘে কতটা জল থাকতে পারে? মেঘের ওজনই বা কত হতে পারেআকাশে ভাসমান মেঘ কি সত্যিই হালকা? নাকি তারও বেশ ওজন রয়েছে? গবেষণা বলছে আকাশে ভাসমান মেঘে যযে পরিমাণ জল থাকে তা একটা ছোট খাটো শহরে বন্যা ডেকে আনার জন্য যথেষ্ট।
মেঘকে দেখতে হালকা লাগলেও আসলে কিন্তু হাল্কা নয় একেবারেই। আকাশে মূলত তিন ধরনের ভাসমান মেঘ দেখা যায়৷ সিরাস, কিউমুলাস এবং স্ট্র্যাটাস৷ ভূ-পৃষ্ঠ থেকে সর্বোচ্চ উচ্চতায় যে মেঘ থাকে, তাকে সাধারাণত, সিরাস বলে৷ এই ধরনের মেঘ বরফকণা দিয়ে তৈরি হয়৷
কিউমুলাস মানে স্তম্ভ। পেঁজা তুলো একের পর এক সাজয়ে রাখলের যেমন দেখতে হয় এই মেঘ তেমনই দেখতে লাগে। কালো কিউমুলাস মেঘকে কিউমুলোনিম্বাস বলে। এই মেঘ থেকে বৃষ্টি কিংবা শিলাবৃষ্টি হয়। এই ধরনের মেঘে প্রায় ৫ লক্ষ টন জল থাকে৷
বিজ্ঞানীদের মতে, একটি কিউমুলাস মেঘের গড় ওজন ১.১ মিলিয়ন পাউন্ড৷ যা ১০০টা হাতির ওজনের সমান৷ সকলেই জানেন মেঘের মধ্যে জমে রয়েছে জল। সকলেই জানেন জলের ওজনও অনেক বেশী হয়। তাই প্রশ্ন ওঠে অত ভারী জিনিসটা আকাশে ভেসে থাকে কীভাবে? প্রসঙ্গত ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১৫ কিলোমিটার উচ্চতায় থাকা মেঘ থেকে হঠাৎই ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হলে তাকে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিও বলা হয়৷ এক্ষেত্রে, ঘণ্টায় ১০০ মিমি বৃষ্টি হতে পারে৷
আসলে প্রতি কিউবিক মিটার মেঘে ০.৫ থেকে ১ গ্রাম জল থাকে। অর্থাত্ যদি কোনও মেঘ লম্বায় ১ কিমি, চওড়ায় ১ কিমি আর পুরু ১ কিমি হয়, তাহলে তাতে জল থাকবে ৫০০ মিলিয়ন গ্রাম। অর্থাত্ ৫৫১ টন জল! যা প্রায় ১০০ টা হাতির সমান ওজনের হয়। তার বেশি হলেও কম হবে না। তাই আকাশে ভসমান মেঘ তুলোর মতো দেখতে হলেও এর ওজন কোনও অংশে কম নয়। একটি কিউমুলাস মেঘের গড় ওজন ১.১ মিলিয়ন পাউন্ড। অর্থাৎ একটি কিউমুলাস মেঘের গড় ওজন এবং ১০০টা হাতির ওজন প্রায় সমান।
শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এটাই সত্যি! অনেকের মনেই প্রশ্ন আসে ১০০টা হাতির সমান ওজনের মেঘ মাথার উপর ভাসে কীভাবে? কারণটা খুব সহজ। মেঘ অনেকটা জায়গায় ছড়িয়ে থাকে।
Leave a Reply