পাকিস্তানের নিয়ম

এক দেশ থেকে আর এক দেশে পা বাড়ালেই বদলে যায় সেখানকার মানুষের জীবন-যাপন,পোশাক-আশাক, ভাষা কিংবা রুচি। তেমনি পৃথিবীর প্রত্যেক দেশের আইন কানুনও হয়ে থাকে আলাদা আলাদা। আমাদের দেশ ভারতবর্ষ বরাবরই অত্যন্ত ধর্মনিরপেক্ষ একটি দেশ।  সকল ধর্মের মানুষের সহাবস্থান ভারতবর্ষে। অন্যদিকে  ভারতেরই এক প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের একেবারে  উল্টোপুরান। এই নিয়মগুলোর ভারতে কোনও যৌক্তিকতা না  থাকলেও তা স্বীকৃতি পেয়েছে পাকিস্তানের সংবিধানেও। আজকের একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও সেদেশে এমন কিছু নিয়ম রয়েছে যা শুনলে অবাক হবেন গোটা বিশ্ববাসী। আসুন জানা যাক পাকিস্তানের এমনই বেশ কিছু অদ্ভুত আইন সম্পর্কে।

শিক্ষা-  শুনলে আবাক হবেন পাকিস্তানে শিক্ষার উপরেও  কর বসানো হয়েছে। রীতিমতো  আইন করে বলা হয়েছে, শিক্ষাক্ষেত্রে বছরে ২ লক্ষ টাকার বেশি  খরচ হলে  ৫ শতাংশ কর দিতে হবে। তা সে  বই কেনার জন্য হোক কিংবা শিক্ষা সংক্রান্ত  অন্যান্য খাতে। এই ভয়েই  অনেকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে চান না। এই আইনের জন্যই পাকিস্তানে বাড়ছে  স্কুলছুটের সংখ্যাও।

ছেলে-মেয়েদের মেলামেশা- পাকিস্তানের ছেলে-মেয়েরা কথা বলার সময় ধরা পড়লে তা আইনত অপরাধ বলে বিবেচিত হয়। এদেশের আইন অনুসারে ছেলে-মেয়েরা বন্ধু হতে পারে না। হতে পারে জেলও।

ফোন ব্যবহার- পাকিস্তানে অনুমতি না নিয়ে কারও ফোনে হাত দিলে তা আইনবিরুদ্ধ কাজ বলে বিবেচিত হয়। ভুল করেও  কারও ফোন ধরলে  শাস্তি পেতে হয়। হতে পারে ছয় মাস পর্যন্ত  জেল আর জরিমানা।

ইংরেজি অনুবাদ:  পাকিস্তানে বেশ কিছু শব্দ ইংরেজিতে অনুবাদ করার অনুমতি নেই। আল্লাহ, মসজিদ, রাসুন ও নবী- এই সকল আরবি শব্দের ইংরেজি অনুবাদ করা পাকিস্তানে অপরাধ। পাক সংবিধানের অমান্য করে এই সমস্ত আরবি শব্দ ইংরেজিতে তর্জমা করলে  কঠোর শাস্তি পেতে হয়।

ইজরায়েল- পাকিস্তানিদের জন্য ইজরায়েল একটি নিষিদ্ধ দেশ। এই  দেশে যাওয়ার কোনো অনুমতি নেই পাক নাগরিকদের। বিশ্বের প্রতিটি দেশ ইজরায়েলকে  হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও পাকিস্তানিদের জন্য রয়েছে অন্য নিয়ম। পাকিস্তানের ভিসাতেও  লেখা আছে ইজরায়েল ছাড়া পৃথিবীর যে কোনও দেশে যাওয়া যাবে ।

রূপান্তরকামী- অন্যান্য দেশের তুলনায় পাকিস্তানে  রূপান্তরকামীদের সংখ্যা অনেক বেশি। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে যোগ দিলেও পাকিস্তানের  সেনাবাহিনীতে কোনো জায়গা নেই তাঁদের।

স্প্যাম মেল- ইন্টারনেট ব্যবহারেও বেশ কড়াকড়ি রয়েছে পাকিস্তান। সেদেশে  স্প্যাম মেল পাঠানো আইনবিরুদ্ধ  কাজ। এক্ষেত্রে  অভিযুক্তর গুরুতর সাজা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *