ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানির বিলাসবহুল জীবনের দিকে তাকিয়ে থাকে গোটা বিশ্ব। রাজপ্রাসাদের মত বাড়ি থেকে নামী দামী গাড়ি কিম্বা কোটি কোটি কোটি টাকার সম্পতি, কি নেই মুকেশ আম্বানির কাছে! ফোর্সের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মুকেশ আম্বানি হলেন বিশ্বের সপ্তম ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম। বর্তমানে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১০১ বিলিয়ন। বিশ্বের ধনীতম শিল্পপতিদের মধ্যে অন্যতম মুকেশ আম্বানি। তাঁর বিলাসবহুল জীবন বরাবরই চর্চায় থাকে। কে না জানে ধনী ব্যক্তিদের শত্রুর অভাব নেই। ইতিপূর্বে প্রাণনাশের হুমকিও পেয়েছেন তিনি। বছর খানেক আগে ২০২২ সালে এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি আম্বানির বাড়ির ল্যান্ড লাইনে ফোন করে নাশকতার হুমকি দিয়েছিল। পরে যদিও পুলিশের সাহায্য নিয়ে সেই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
ভারতের অর্থনীতি মজবুত করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে মুকেশ আম্বানির। তাই তাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও থাকে জোরদার। মুকেশ আম্বানির নিরাপত্তায় ব্যবহার করা হয় এক বিশেষ ধরনের বন্দুক। যার ট্রিগার চাপলেই গল্প শেষ। চলতি বছরেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে মুকেশ আম্বানি আর তাঁর গোটা পরিবারকে দেওয়া হয়েছে দেশের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা। যদিও এই জেড প্লাস নিরাপত্তার জন্য মুকেশ আম্বানিকে ৩৩ লক্ষ টাকা দিতে হয়।
তবে শুধু দেশেই নয় আম্বানিরা এই নিরাপত্তা বিদেশে গিয়েও পান। এই জেড প্লাস নিরাপত্তার অধীনে মুকেশ আম্বানি সহ তাঁর গোটা পরিবারের সদস্যরা দশজনের বেশি এনএসডি কমান্ডো এবং পুলিশকর্মী সহ ৫৫ জন কর্মীর সুরক্ষা পান। এছাড়াও আম্বানিদের আছে অত্যন্ত হাইটেক প্রাইভেট সিকিউরিটি ব্যবস্থা। বাইরে গেলে অম্বানিদের গাড়ির কনভয়ে একাধিক বুলেটপ্রুফ গাড়ি থাকে। তাঁদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় রয়েছে একাধিক স্তর, যেমন কমান্ডো, সিআরপিএফ, আর পুলিশ এছাড়াও থাকে তাঁদের ব্যক্তিগত রক্ষী।
তবে আম্বানিদের নিরাপত্তা রক্ষীদের কাছে যে বন্দুক থাকে তা পৃথিবী বিখ্যাত। এই বন্দুকের একাধিক ফিচার রয়েছে। তাঁদের কাছে বন্দুক থাকে তা আসলে জার্মানিতে তৈরি হেকলার অ্যান্ড কোচ MP5 সাব-মেশিনগান। এই বন্দুক এক মিনিটে ৮০০ রাউন্ড ফায়ার করতে পারে। ১৯৬০ সালে তৈরি এই বন্দুকটি এখন বিশ্বের ৭০ টি বেশি দেশের নিরাপত্তা কর্মীরা ব্যবহার করেন। সারা বিশ্বে এই বন্দুকের শতাধিক ডিজাইন রয়েছে। ২.৫৪ কেজি ওজনের এই বন্দুকের দৈর্ঘ্য মাত্র ২৭ ইঞ্চি। এই বন্দুক থেকে ছোঁড়া গুলি ২৫ সেকেন্ডে ৪০০ মিটার বেগে এগিয়ে যায় লক্ষ্যের দিকে। অর্থাৎ ট্রিগারে চাপ দিলেই খেল খতম।
Leave a Reply