রতন টাটা

রতন টাটাকে কে না চেনেন! আমাদের দেশের সফল উদ্যোগপতিদের তালিকা প্রকাশিত হলে সবার প্রথমেই উঠে আসবে রতন নাভাল টাটার নাম। সাফল্যের শিখরে থেকেও কীভাবে মাটির কাছাকাছি থাকতে হয় তা শেখা উচিত তাঁকে দেখেই।অসংখ্য মানুষের অনুপ্রেরণা তিনি। তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও তা জনপ্রিয়তা রয়েছে আকাশছোঁয়া। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সাফল্য লাভের পাশাপাশি রতন টাটা অত্যন্ত ভালো একজন মানুষ।প্রত্যেক মাসেই তিনি নিজের উপার্জনের একটি বড় অংশ দেশের মানুষের জন্য দা করে দেন। আর ঠিক সেই কারণে হয়তো তিনি দেশের সফল শিল্পপতি হলেও হতে পারেননি ভারতের সেরা ধনকুবের।

বহুদিন ধরেই রতন টাটা এই যুক্ত রয়েছেন আমাদের দেশের একাধিক সমাজ সেবামূলক কাজের সাথে। লকডাউনের সময় অন্যান্য সংস্থার যখন কর্মী ছাঁটাইয়ের মতন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তখন একমাত্র রতন টাটাই জানিয়েছিলেন এটা সঠিক পদ্ধতি নয়। তিনি মনে করেন আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। তা

দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে গোটা বিশ্বে রয়েছে রতন টাটার জনপ্রিয়তা। কিন্তু এত বড় মাপের শিল্পপতি হয়েও অহংকার শব্দটা আজ পর্যন্ত ছুঁতে পারেনি তাঁকে। তাই বিলাসিতা নয় তাই বরাবরই সহজ সরল এবং অনাড়ম্বর জীবনযাপনই পছন্দ করেন রতন টাটা। তবে সারা ভারত জুড়ে এখন রতন টাটার যে সাম্রাজ্য, তা কিন্তু একদিনে তৈরি হয়নি। তার জন্য প্রতিনিয়ত তিল তিল করে পরিশ্রম করেছেন তিনি। তবে পরিশ্রমের সাথে নিজেকে সুস্থ রাখার জন্যও তিনি মেনে চলেন তাঁর নির্দিষ্ট খাদ্যভাসও।

জানলে অবাক হবেন এত টাকার মালিক হয়েও প্রায় কিছুই খেতে পারেন না রতন টাটা। প্রতিদিন তিনি নির্দিষ্ট পরিমাণের খাবার খান যদিও সেটা স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই বাইরের তেল-মশলার খাবার একেবারেই না-পসন্দ টাটার। তাঁর রোজকারের খাদ্য তালিকায় থাকে একেবারে ঘরোয়া খাবার। রতন টাটার পছন্দের খাবার তালিকায় রয়েছে মোট পাঁচটি খাবার।

তার মধ্যে পার্সি খাবার অন্যতম।তালিকায় রয়েছে ধানসাক, আকুরি এবং চিকেন ফারচার মতো খাবার। এছাড়াও তিনি পোলাও এবং মাটন খেতেও পছন্দ করেন। আর বাইরের খাবারের মধ্যে তিনি নিউইয়র্কের সিপ্রিয়ানি রেস্টুরেন্টের খাবার খেতে পছন্দ করেন। আর পানীয়ের মধ্যে রতন টাটার পছন্দ ব্ল্যাক কফি। এছাড়া মিষ্টির প্রতিও রয়েছে অগাধ ভালোবাসা। তাঁর পছন্দের মিষ্টির তালিকায় রয়েছে কাস্টার্ড।

Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *