জানেন হিন্দু ধর্মে রয়েছে ৫ টি বিশেষ শক্তি! যার কাছে হার মেনেছে বড় বড় সায়েন্টিস্ট থেকে ডাক্তার

জানেন হিন্দু ধর্মে রয়েছে ৫ টি বিশেষ শক্তি! যার কাছে হার মেনেছে বড় বড় সায়েন্টিস্ট থেকে ডাক্তার

জানেন হিন্দু ধর্মে রয়েছে
৫ টি বিশেষ শক্তি!

যার কাছে হার মেনেছে
বড় বড় সায়েন্টিস্ট থেকে ডাক্তার!

হিন্দু হোক বা মুসলিম
সবার মাথা নত হয়
এই ৫টি শক্তির সামনে!

দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে অভাব অনটন
সবকিছুই ভ্যানিশ এই ৫ শক্তির বলে!

এই ৫ টি শক্তি কি কি?
যার কাছে জব্দ স্বয়ং যমরাজ!

সনাতন ধর্ম, পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন এই ধর্মে রয়েছে নানান রীতি – নীতি। এই ধর্মে কিছু কিছু নিয়ম যেমন অদ্ভুত তেমনই কিছু কিছু নিয়ম আজকের দিনেও বড্ড প্রাসঙ্গিক। যখন বিজ্ঞান ছিল না, ছিল না যুক্তির ব্যাখ্যা সেই সময় থেকেই চলে আসছে এই সকল নিয়ম। তবে জানলে অবাক হবেন যে এমন কিছু নিয়ম রয়েছে যেগুলির পেছনে রয়েছে বড় বৈজ্ঞানিক যুক্তি। আজকের এই ‘AI’ এর যুগেও সমান ভাবেই প্রাসঙ্গিক এই নিয়মগুলি। ডাক্তার থেকে বিজ্ঞানী সকলেই মেনেছেন এই নিয়মগুলির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা। বলা হয়, যে কোন দেশের যে কোনো ধর্মের মানুষ মানতে পারেন এই নিয়ম। এর ফলে ভালো থাকবে তাদের শরীর ও মন। আসুন এক নজরের দেখেনি সেই সকল রীতিনীতি।

১. ঘণ্টা বাজানো:-
সাধারনত মন্দির অথবা কোন ভক্তিমূলক স্থানে ভক্তি দেখিয়েই আমরা এই ঘন্টা বাজাই। শাস্ত্রমতে পুজোর সময় এই ঘন্টা বাজানো অনিবার্য। এর ফলে তুষ্ট হয় দেবদেবী। তবে এই ঘন্টা বাঁচানোর পেছনে রয়েছে এক বৈজ্ঞানিক যুক্তিও। প্রথমত ঘন্টা বাজানোর ফলে এক শব্দ উৎপন্ন হয় যা কম্পন সৃষ্টি করে। বিশেষ এই কম্পনের জন্যই ধ্বংস হয়ে যায় অনেক ছোটখাটো জীবাণু। এছাড়াও ঘণ্টাধ্বনি আমাদের মস্তিষ্ক পরিষ্কার করে। ঘণ্টা বাজানোর সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মস্তিষ্কের ডান এবং বাম অংশ এক হয়ে যায়। ইকো মোডে ৭ সেকেন্ড পর্যন্ত এই ঘণ্টাধ্বনি বজায় থাকে। এই সাত সেকেন্ডে আমাদের শরীরের সাতটি আরোগ্য কেন্দ্র সক্রিয় হয়। যার ফলস্বরূপ আমাদের মস্তিষ্কের সমস্ত নেগেটিভ চিন্তাধারা মুছে যায় ও আমরা লাভ করি মানসিক শান্তি।

২. শঙ্খ বাজানো:-
শাস্ত্র মতে, শঙ্খ বাজানো এক অতি পবিত্র রীতি। যে কোনো পুজোতেই শঙ্খ বাজানোর নিয়ম রয়েছে হিন্দু ধর্মে। প্রতি গৃহস্থ বাড়িতে সন্ধ্যাবেলায় বাড়ির বউদের শঙ্খ বাজানো এক পবিত্র আচার বলে ধরা হয়। এছাড়াও শঙ্খরা আওয়াজে বাড়ি থেকে পালায় নেগেটিভ শক্তিরা, সংসার ভরে ওঠে পজিটিভ শক্তিতে। তবে বৈজ্ঞানিক মতে এই শঙ্খ বাজানোর ফলে দূর হয় অনেক শারীরিক সমস্যা। জানা যায়, শঙ্খ বাজালে সেরে যায় গ্যাসের সমস্যা। এই শঙ্খ বাজানোর ফলেই মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন হয় সঠিকভাবে। মুক্তি মেলে শ্বাসকষ্ট থেকেও। এছাড়াও এই শঙ্খর জন্য মাঝেমধ্যে ঠিক হয় ফেসিয়াল প্যারালাইসিস এর মতন দুরারোগ্য ব্যাধিও।

৩.) প্রদীপ জ্বালানো:-
হিন্দু ধর্মের অন্যতম একটি পবিত্র নিয়ম হল প্রদীপ জ্বালানো। প্রদীপ মাত্রই পবিত্রতা ও স্নিগ্ধতা। তবে বৈজ্ঞানিকভাবে ভাবেও এই প্রদীপের রয়েছে নানান গুন। বলা হয় ঘী’য়ের প্রদীপ জ্বালানো এক অত্যন্ত শুদ্ধ জিনিস। জ্বলন্ত প্রদীপের জ্বলন্ত ঘী বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। আর এর ফলে ফলে বাতাসে থাকা নানান জীবাণুর ধ্বংস ঘটে।

৪.) তিলক লাগানো :-
হিন্দু ধর্মের এক প্রাচীন রীতি হল কপালে তিলক লাগানো। যে কোনো ভক্তিমূলক স্থানে গেলেই কপালে লাগানো হয় এই তিলক। তবে এই তিলকেরও রয়েছে নানান গুন। বৈজ্ঞানিক মতে এই তিলকে থাকা উপাদানগুলোর মধ্যে অন্যতম হলুদ ত্বকের জন্যে এক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এছাড়াও এই তিলকের সাথে সম্পর্ক রয়েছে মনোবিজ্ঞানের। এই তিলক শীতলতা প্রদান করে মস্তিষ্কে। এছাড়াও এটি মাথার সেরোটোমিনের ক্ষরণ বেশি ঘটায়, যার ফলে মাথা থেকে বেড়ায় নানান ইতিবাচক শক্তি।

৫.) কর্পূরের প্রদীপ জ্বালানো:-
বিশেষ এই কর্পূরের প্রদীপ এক পবিত্র আচার হিন্দু ধর্মের। দেব-দেবীকে পুজো করা হয় এর দ্বারা। আমি বৈজ্ঞানিক মতেও কর্পূরের রয়েছে নানান গুণ। প্রথমত এর ধোঁয়া শুদ্ধ করে বায়ুমণ্ডল। এছাড়াও এর গন্ধে ঠিক হয় ঘাড়ব্যথা, আর্থ্রাইটিস সহ নানান রোগ।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *