স্বয়ং মহাদেবের মুখ দিয়ে বলা একটি মন্ত্র! যা জপলেই স্বপ্নে আসেন মহাদেব

স্বয়ং মহাদেবের মুখ দিয়ে বলা একটি মন্ত্র! যা জপলেই স্বপ্নে আসেন মহাদেব

স্বয়ং মহাদেবের
মুখ দিয়ে বলা একটি মন্ত্র!

যা হাজার মন্ত্রের সমান!
যা জপলেই মেলে
শত জন্মের পুণ্যফল!

একবার উচ্চারণ করলেই
খুলে যায় ভোলেবাবার ত্রিনয়ন!
ঝরে পড়ে আশীর্বাদ!

নিমেষে মুছে যায় সমস্ত পাপ!
দূর হয় অভাব দারিদ্র্য!

কি সেই মন্ত্র?
যা জপলেই স্বপ্নে আসেন ভোলানাথ?

কথায় বলা হয়, হিন্দুদের পূজিত দেব – দেবীর সংখা ৩৩ কোটি। কিন্তু এর মধ্যেও যে ত্রি-দেবকে সবচেয়ে বেশি মানেন সকলে তাদের মধ্যে একজন হলেন মহাদেব। কারোর কাছে তিনি শিব আবার কারোর কাছে ভোলেবাবা । এই মহাদেব একদিকে যেমন শান্ত ও সৌন্দর্যতার প্রতীক। তেমনি অন্যদিকে আবার ত্যাগ ও ধ্বংসেরও প্রতীক। তার শান্তরুপ ও রুদ্ররূপ উভয়ই মায়াবী। রাক্ষস থেকে যক্ষ, মানুষ থেকে দেবতা সকলেই ভক্ত তার। তাইতো তার আরেক নাম দেবাদিদেব অর্থাৎ দেবতাদের দেবতা।

পুরান ও শাস্ত্রে এই মহাদেবের নানান আলৌকিক ঘটনার উল্লেখ রয়েছে। নানান যুগে নানান বিপদের সময় তিনি অবতীর্ণ হয়েছেন রক্ষাকর্তা হিসেবে। সমুদ্রমন্থনের সময় যখন সকল দেবতা অমৃত পান করে, তখন মহাদেবই একমাত্র ছিলেন যিনি নিজের কন্ঠে ধারণ করেছিলেন বিষাক্ত বিষ। তাইতো তার আরেক নাম নীলকন্ঠ। তবে এই মহাদেব নিজের ভক্তদের জন্যই সৃষ্ঠি করেছিলেন এক বিশেষ মন্ত্র। মহাদেব সৃষ্ট এই মন্ত্র আজও সমান ভাবে কার্যকরী। আসুন জেনে নিই সেই মন্ত্র সম্পর্কে।

জানা যায়, বিশেষ এই মন্ত্র জপ করলে এক নিমেষেই কেটে যাবে আপনার সব দুঃখ দুর্দশা। সমাধান হবে সকল সমস্যার, কৃপা দৃষ্টি পড়বে মহাদেবের। এমনকি যারা ভগবান মানেন না তারাও যদি এই মন্ত্র জপ করেন তাহলেও পাবেন সুফল। এই মন্ত্রর এক উচ্চারণেই আপনার ত্রি – সীমানায় ঘেঁষতে পারবে না কোনো শত্রু। শাস্ত্র মতে, স্বয়ং রাবনও নাকি এই মন্ত্র জপ করেই ত্রি-ভুবন জয় করেছিল। এই মন্ত্রের আশ্চর্য ক্ষমতা সত্যি অবাক করে দেয়।

শিবপুরাণ মতে, বিশেষ এই মন্ত্রকে বলা হয় মহাকাল মন্ত্র। এই মন্ত্র প্রতি রাতে ঘুমোতে যাবার আগে জপ করলেই মেলে সুফল। বিশেষ এই মন্ত্রটি হল
” ওং এং হ্রীং
ক্রিং নমঃ শিবায়”।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *