জানেন শিবলিঙ্গে দুধ কেন ঢালা হয়? দুধ না ঢেলে অন্য কিছু ঢাললে কি হবে জানেন?

জানেন শিবলিঙ্গে দুধ কেন ঢালা হয়? দুধ না ঢেলে অন্য কিছু ঢাললে কি হবে জানেন?

জানেন শিবলিঙ্গে
দুধ কেন ঢালা হয়?

দুধ না ঢেলে অন্য কিছু ঢাললে
কি হবে জানেন?

কিভাবে শুরু হল এই প্রথা?
কে প্রথম এই প্রথা চালু করেন?

বিজ্ঞানও জেনে গিয়েছে
শিবলিঙ্গ জল ঢালার কারণ!

শিবলিঙ্গে জল ঢালা খুবই পবিত্র। এতে মহাদেব ভীষণ খুশি হন। শিবলিঙ্গে দুধ না ঢাললে নাকি মহাদেবের পুজো সম্পূর্ন হয় না। দুধ দিয়ে শিবলিঙ্গ স্নান করালে ভক্তের কল্যাণ হয়। ভক্তিভাবে জাগ্রত হয়। ভোলানাথের অশেষ কৃপায় লাভ হয়। সাধারণ জল কিংবা ডাবের জলে সন্তুষ্ট হন না মহাদেব। কিন্তু জানেন কি, শিবলিঙ্গকে দুধ দিয়েই কেন স্নান করানো হয়? কেন জল কিংবা অন্য কোনো কিছু দিয়ে নিয়ে? শাস্ত্র হোক বা অন্য কোন ধর্মীয় বিধান সবেতেই দুধ দিয়ে শিবলিঙ্গ স্নান করানোর লেখা রয়েছে। এর পিছনে দু রকমের ব্যাখ্যা রয়েছে। যা শুনলে অবাক হবেন।

প্রথম ব্যাখ্যাটি হল পৌরাণিক –

পুরান মতে, একবার দেবতা ও অসুরদের মধ্যে বীভৎস যুদ্ধ বাঁধে। সেই সময় উভয়েই মন্দার নাম একটি পর্বতের মাধ্যমে সমুদ্র মন্থন শুরু করে। সমুদ্র মন্থনের সময় সমুদ্র থেকে একের পর এক ধন দৌলত উঠে আসে। তার সাথে সাথে উঠে আসে বিষ ও অমৃত। এখানেই লুকিয়ে রয়েছে শিবলিঙ্গকে দুধ দিয়ে স্নান করানোর গল্প। সমুদ্র থেকে যখন বিষ উঠে আসে, সেই বিষের ছোবল থেকে গোটা বিশ্বকে বাঁচাতে নিজের গলায় বিষ ধারণ করেন ভগবান শিব। সেই সময় মহাদেব আগুনের মতন গরম হয়ে যান। আর তৎক্ষণাৎ মহাদেবকে সন্তুষ্ট করতে পার্বতী নিজের স্তন পান করান মহাদেবকে। এখান থেকেই মহাদেবকে ঠাণ্ডা করতে চালু হয় দুধ স্নান করানোর রেওয়াজ।

দ্বিতীয়টি হল বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা –

বিজ্ঞান দাবি করে যে, বর্ষাকালে গরুর দুধে ভাইরাস থাকে। কারণ এই সময় গরু নানা রকম ক্ষতিকারক জীবাণু খাবারের সাথে খেয়ে ফেলে, যা দুধের মধ্যে দিয়ে মানব দেহে প্রবেশ করে। তাই এই সময় হিন্দুরা গরুর দুধ না খেয়ে মহাদেবকে অর্পন করে।