বাপ বাপ করে পালাবে ডেঙ্গুর মশা! ঘরে রাখুন শুধুমাত্র ৭টি জিনিস
বাপ বাপ করে পালাবে ডেঙ্গুর মশা!
ঘরে রাখুন শুধুমাত্র ৭টি জিনিস!
যার কাছে চুনোপুঁটি
মশার কয়েল থেকে মশারি!
এই জিনিসগুলো রাখলেই
ধারে কাছেও ঘেঁষবে না একটিও মশা!
আর ছড়াবে না ডেঙ্গুর
বিষাক্ত ভাইরাস!
কি এই ৭টি জিনিস?
যা এত শক্তিশালী?
Body:- ডেঙ্গু, এই নামটি শুনলেই এখন ভয়ে চমকে উঠছেন সকলে। আট থেকে আশি সকলেই এখন কাবু এই ভাইরাসের জ্বালায়। প্রতিবছরই এই ডেঙ্গুর জন্য প্রাণ হারান কয়েকশ মানুষ। স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নতি ঘটলেও এই ব্যাপারে আজও অপারগ সকলে। বছরের এই একটা সময়ে প্রতিবারই ডেঙ্গুর কাছে জব্দ হয় সকলে। সচেতন থেকে, পরিষ্কার থেকেও পুরোপুরি বাঁচা যায় না এর থেকে। আর এই ডেঙ্গু ভাইরাসের বাহক হল এক প্রজাতির মশা! যারা দিনের বেলা আপনার অজান্তেই হুল ফোটাবে আপনার শরীরে। আর এর পর দুই দিনের মধ্যেই জ্বর হয়ে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন আপনি। তারপরেই সঠিক চিকিৎসা না হলে খেল খতম আপনার। তাই সকলেই বাঁচতে চায় এই মশা থেকে। ব্যাবহার করেন মশারি, কয়েল, স্প্রে ইত্যাদি। তবে এতকিছুর পরেও নিস্তার পাওয়া যায় না এই মশার থেকে। কিন্তু জানলে অবাক হবেন, আপনার ঘরেই রয়েছে এমন কিছু উপকরণ যেগুলির দ্বারা জব্দ হবে এই মশা। হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন ! তাই আর দেরি না করে এক্ষুনি এক নজরে জেনে নিন সেই সকল উপকরণের নাম…
১. তুলসী গাছ
বিশেষ এই গাছের গুণ আমাদের সকলেরই জানা। ধার্মিক দিক থেকেও এই গাছের গুরুত্ব বিরাট মাপের। এছাড়া নানান ভেষজ ওষুধে তো এই গাছ এক অপরিহার্য উপাদান। তবে জানলে অবাক হবেন মশা তাড়াতেও এই গাছ বিরাট ভূমিকা নেয়। বাড়িতে এই গাছ থাকলে এর ধারে কাছে আসতে পারে না কোনো মশা।
২. কর্পূর
বিশেষ এই বস্তুটি বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। পুজার্চনা থেকে মশা তাড়ানো সবেতেই ব্যবহৃত হয় এই বস্তুটি। কর্পূরের ট্যাবলেট অথবা গুঁড়ো নিয়ে এসে যদি প্রতি সন্ধ্যেবেলা দিতে পারেন। তাহলে শুধু মশাই নয়, বাড়ি ছেড়ে পালাবে অন্যান্য কীট-পতঙ্গও।
৩. চা পাতা
নামটা শুনে খানিকটা অদ্ভুত লাগলেও এটিই সত্যি। চা আমাদের বাড়ির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমাদের সকলের বাড়িতেই আমরা সকাল বিকল চা পান করি। তবে চা খাবার পর এর পাতাটিরও রয়েছে এক বিশেষ গুণ। এই চা পাতা না ফেলে শুকিয়ে যদি প্রতিদিন এর ধুপ জ্বালানো যায় তবেই দেখতে পাবেন ম্যাজিক। বাড়ি থেকে পালাবে মশার দল।
৪. লেবু আর লবঙ্গ
এই দুটি বস্তুরই রয়েছে নানান গুনাগুন। তেমনই এই দুই বস্তু মশা তাড়াতেও নেয় বিশেষ ভূমিকা। প্রথমে একটি লেবু মাঝখান থেকে কেটে তাতে অনেকগুলি লবঙ্গ গেঁথে দিন। এরপর লেবুর টুকরা গুলি একটি প্লেটে ঘরের কোনায় রেখে দিন। ব্যাস! আপনার বাড়ি থেকে উধাও হবে মশার উৎপাত। ঘরের কোনায় না রেখে আপনি জানলার গ্রিলেও রাখতে পারেন। কিছুদিন পরপর লেবু গুলি বদলে নিতে হবে না হলে ভালো ফল পাবেন না।
৫. পুদিনা
গ্যাস অম্বলের জন্য কিংবা রান্নায় ব্যবহৃত এই পাতার রয়েছে আরও এক বিশেষ গুণ। এই পাতাও দুর করতে সক্ষম ক্ষতিকারক পোকামাকড়দের। প্রথমে আপনাকে গ্লাসে একটু জল নিতে হবে। এরপর তাতে যদি কয়েকটি পুদিনা রেখে দিতে পারেন খাবারের টেবিলে তাহলেই হাতেনাতে পেয়ে যাবেন ফল।
৬. সাদা বা কালো জামা
শুনলে খানিকটা অদ্ভুত লাগলেও জামার রঙের ওপরেও অনেকটা নির্ভর করে মশার আক্রমণ। সাধারনত উজ্জ্বল রঙের জামা দেখলে বেশি আকর্ষিত হয় মশারা। তাই সাদা ও কালো জামা পড়ে রাস্তাঘাটে বেরলে অনেকটাই সুরক্ষিত থাকবেন আপনি।
৭. সুগন্ধি পারফিউম বা লোশন
সাধারণত মশা সুগন্ধি স্থান পছন্দ করে না। সেই কারণেই রাতে কোনো লোশন বা পারফিউম জাতীয় কিছু মেখে ঘুমোলে সুরক্ষিত থাকবেন আপনি।
Leave a Reply