চন্দ্রযান, গগনযান অতীত! এবার অন্য একটি গ্রহে পাড়ি জমাচ্ছে ইসরো, শুনলেও চমকে যাবেন

চন্দ্রযান, গগনযান অতীত! এবার অন্য একটি গ্রহে পাড়ি জমাচ্ছে ইসরো, শুনলেও চমকে যাবেন

চন্দ্রযান, গগনযান অতীত!
এবার অন্য একটি গ্রহে পাড়ি জমাচ্ছে
ইসরো !

অসাধ্যকে সাধ্যের পথে ভারত!
কেউ ভাবেনি এমন পরিকল্পনা!

কোন গ্রহে যাচ্ছে ভারত?
কতটা চ্যালেঞ্জিং এই অভিযান?

সম্প্রতি চাঁদে পা রেখেছ ভারত। চন্দ্রযান-৩র সেই সাফল্য এখনও বিভর দেশবাসী। তার মধ্যেই আবার সূর্যের উদ্দেশ্যও রকেট পাঠিয়েছে ইসরো। এককথায় যেন থামতেই চাইছে না ইসরো। আর
এইসবের মধ্যেই তাদের পরবর্তী ঘোষণা ‘মিশন ভেনাস’। অর্থাৎ এবারে শুক্র গ্রহের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেবে ইসরোর স্যাটেলাইট। হ্যাঁ সৌরজগতের সবচেয়ে উজ্জ্বল গ্রহই এখন ইসরোর মিশন। মিশন মার্সের পর ফের একবার কোনো গ্রহের উদ্দেশ্য মিশন করছে ইসরো। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই উচ্ছসিত দেশবাসী।

প্রসঙ্গত এই শুক্র গ্রহ একটু আলাদা অন্যান্য গ্রহগুলো থেকে। এটি সৌরজগতের সূর্যের কাছাকাছি থাকা দ্বিতীয় গ্রহ। এছাড়াও এই গ্রহকে পৃথিবীর যমজ গ্রহও বলা হয়। কারন আকৃতিতে এই গ্রহ অনেকটা পৃথিবীরই মতন। তবে পৃথিবীর তুলনায় এই গ্রহের চাপ প্রায় ১০০ গুণ বেশি। এর বায়ুমণ্ডল ভর্তি অ্যাসিড ও সারফেসে। তাই এই গ্রহে যাওয়া এক কথায় যথেষ্ট চ্যালেঞ্জ সাপেক্ষ। এদিন এই নিয়ে বিরাট ঘোষণা করেন ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ। দিল্লিতে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যকাদেমির একটি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়েই তিনি এই বিষয়ে বিস্তারিত জানান।

এদিন এই বিষয়ে তার বক্তব্য ছিল – “ভেনাস বা শুক্র বেশ ইন্টারেস্টিং গ্রহ। তবে শুক্রের আবহাওয়াও বেশ অদ্ভুত, এর বায়ুমণ্ডলটাও বেশ ঘন। এখানে বায়ুর চাপ পৃথিবীর থেকে প্রায় ১০০ গুণ বেশি। পুরো অ্যাসিডে ভর্তি। এই সারফেসের মধ্যে প্রবেশ করা বেশ কষ্টকর। এই সারফেসটা শক্ত নাকি নরম সেটাও ঠিকঠাক জানা নেই”। এরপরই তিনি সতর্কতার সুরে বলেন “কেন আমাদের শুক্রকে বুঝতে হবে জানেন? কারণ একদিন পৃথিবীও শুক্র গ্রহের মতো হয়ে যেতে পারে। হয়তো ১০,০০০ বছর পরে আমাদের গ্রহের চরিত্রগতভাবে বদল হতে পারে। দেখুন পৃথিবী আগে এমনটা ছিল না। বহু বছর আগে এখানে থাকার মতো পরিস্থিতি ছিল না।” অর্থাৎ এক কথায় দূর ভবিষ্যতের কথা ভেবেই যে এই যাত্রা তা ইসরো একপ্রকার স্পষ্ট।

প্রসঙ্গত এর আগেও অনেক উন্নত দেশ করেছে এই ভেনাস মিশন। ২০১৬ সালে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি এই ভেনাস মিশন শুরু করেছিল। নাম দেওয়া হয়েছিল ভেনাস এক্সপ্রেস। এদের এই মিশন চলেছিল ২০০৬ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত । অন্যদিকে প্রায় একই সময় জাপানের পক্ষ থেকেও শুরু করা হয়েছিল এমন একটি মিশন। তবে এর আগে নাসাও একাধিকবার শুক্র অভিযান করেছে। ২০২২ সালে তারা ঘোষণা করেছিল ২০২১ সালের ফ্লাইবাই মিশনের দ্বারা তারা শুক্রের ছবি ধরে ফেলেছে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *