জানেন শুধুমাত্র বাংলার বিরিয়ানিতেই আলু থাকে কেন? নেপথ্যে আছে বড়সড় দুটি কারণ
জানেন শুধুমাত্র বাংলার বিরিয়ানিতেই
আলু থাকে কেন?
হাজী বিরিয়ানি থেকে দাদা বৌদি
সবেতেই হাজির আলু!
আলু ছাড়া তৈরি হয় না
বাংলার বিরিয়ানি!
ভারতবর্ষের আর কোথাও
বিরিয়ানিতে মেলে না আলু!
কিভাবে বাংলার বিরিয়ানিতে
ঢুকে পড়ল আলু?
বিরিয়ানি ভালোবাসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ওয়াজেদ আলি শাহর হাত ধরে বাংলায় প্রথম বিরিয়ানির সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। সরু সরু লম্বা চালের ভাত, তুলতুলে নরম মাংসের পিস সঙ্গে গরম গরম এক খানা আলু। একেবারে স্বর্গীয় আহার। জিভে জল এনে দেয়। কিন্তু আপনারা কি জানেন বিরিয়ানিতে যে নরম গরম আলু আপনারা পান সেটা কেবল বাংলাতেই সীমাবদ্ধ। অর্থাৎ বাংলার বিরিয়ানিতেই কেবল পাওয়া যায় এই সুস্বাদু আলু। আপনি আর কোথাও পাবেন না এমন আলু। বাংলার বাইরে অন্য কোথাও বিরিয়ানিতে আলু দেওয়া হয় না। আপনারা কি জানেন বাংলার বিরিয়ানিতে আলু কিভাবে এলো?
এর পিছনে দুটো গল্প রয়েছে। প্রথম গল্পটি হল –
ওয়াজেদ আলী শাহ যখন বাংলায় বিরিয়ানির পদ চালু করেন তখন তার হাতে তেমন অর্থ ছিল না। কিন্তু তিনি বড্ড দিলদরিয়া মানুষ ছিলেন। মানুষকে খাওয়াতে তিনি খুব ভালোবাসতেন। তাই আর্থিক অনটনের মধ্যেও মানুষের পেট ভরাতে আলু দিয়ে বিরিয়ানি রান্না পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। সেই থেকেই নাকি বিরিয়ানিতে আলুর প্রবেশ।
দ্বিতীয় গল্পটি হল –
লোকমুখে শোনা যায় বিরিয়ানি প্রথম রান্না হয় শ্রমিকদের জন্য। সেই সময় বাংলায় আওয়াধের নবাব আসফ-উদ-দৌলার রাজ, বড়া ইমামবড়া তৈরির কাজ শুরু হয়। সেই কাজে নিযুক্ত ছিল হাজার হাজার শ্রমিক। তাদেরকে ভরপেট খাওয়াতেই ভাত, আলু, মাংস একসাথে রেঁধে অল্প সময়ে পরিবেশন করতেই বিরিয়ানির আবির্ভাব।
এভাবেই নাকি বিরিয়ানিতে আলুর প্রবেশ। তবে বিরিয়ানিতে আলুর প্রবেশ যেভাবে ঘটুক না কেন, বিরিয়ানির সঙ্গে আলু এটাই আজ ট্রাডিশন। হাজী বিরিয়ানি থেকে ডিবাপি কিংবা দাদা বৌদির বিরিয়ানি আলু না পেলেই চটে যাই বিরিয়ানি লাভার বাঙালি।
Leave a Reply