বাজারে প্রতিনিয়ত কত জিনিসই না বিক্রি হচ্ছে! কিন্তু তার ক্ষতিকারক প্রভাব সম্পর্কে কতজনই বা খোঁজ রাখেন? কোনোটা ছোটদের অত্যন্ত পছন্দের খাবার তো কোনটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ওষুধ আবার কোনটা জনপ্রিয় নরম একটি পানীয়। আমাদের দেশে এমন বেশ কিছু দ্রব্য রয়েছে যার ক্ষতিকারক প্রভাবের কথা ভেবে পৃথিবীর অন্যান্য একাধিক দেশে এর ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। ভাবছেন তো এমন কোন জিনিস রয়েছে যার ব্যবহার বিদেশে নিষিদ্ধ রমরমিয়ে চলছে ভারতের বাজারে? আসুন দেখে নেওয়া যাক ভারতে ব্যবহৃত এমনই পাঁচটি ক্ষতিকারক দ্রব্যের তালিকা।
লাইফবয় সাবান: ভারতের বাজারে ব্যাপক চাহিদা এই সাবানের। আট থেকে আশি কমবেশি সকলেই এই সাবান ব্যবহার করেন। এই সাবানে ট্রাইক্লোস্যান নামের একধরনের যৌগ থাকে। বিশ্বের একাধিক দেশেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে ওই যৌগ। যা মানবদেহের বিভিন্ন হরমোনের কার্যকারিতা ও অ্যান্টিবায়োটিকের কার্য ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
রেড বুল: ফ্রান্স ও ডেনমার্ক এই দুই দেশে ১৮ বছর বয়সের নীচে কোনও তরুণ-তরুণী এই পানীয় কিনতে পারে না। সেদেশে এই নরম পানীয় বিক্রির উপর বিশেষ নিষেধাজ্ঞা জারিকরে হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে এই পানীয় খেলে নাকি হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা, অবসাদ, কিংবা উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ডিসপ্রিন: এই ওষুধ খেলে নাকি রক্তক্ষরণের সমস্যা বেড়ে যায়। তাই এর ক্ষতিকারক প্রভাবের কথা ভেবেই ইউরোপের একাধিক দেশে এই বেদনানাশক ওষুধের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বেশ কিছু গবেষণাতেও এই ওষুধের একাধিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ভারতীয়রা মাথাব্যথা হলেই এই ওষুধ খেতে শুরু করেন।
কাঁচা দুধ: কাঁচা দুধ থেকেই ব্যাক্টেরিয়া জনিত সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে, তাছাড়াও থাকে খাদ্যে বিষক্রিয়া হওয়ার আশঙ্কাও। পৃথিবীর বহু দেশে কাঁচা দুধ ব্যবহার করার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে । বিদেশে সব সময়েই প্যাকেট দুধ বিক্রি করা হয়। তাই বাইরের দেশে পাস্তুরাইজ়েশন পদ্ধতিতে ব্যাক্টেরিয়ামুক্ত করেই দুধ প্যাকেটজাত করা হয়। যদিও সেসবের ভ্রূক্ষেপ না করেই ভারতের সর্বত্র কাঁচা দুধ বিক্রি করা হয়।
কিনডার জয়: আমাদের দেশের বেশির ভাগ বাচ্চাদের কাছেই অত্যন্ত পছন্দের চকোলেট হল কিনডার জয়। এই চকোলেটের মধ্যে যে ছোট খেলনা থাকে, সেগুলি ছোটদের গলায় আটকে যেতে পারে। যদিও আমেরিকার মতো দেশে ইতিমধ্যেই এই চকোলেটটির ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ।
Leave a Reply