সিলিং ফ্যান

অফিস, দোকান  হোক কিংবা বাড়ি  প্রচন্ড গরমের হাত থেকে বাঁচতে প্রত্যেকের ভরসাই এখন মাথার উপর অনবরত ঘুরতে থাকা সিলিং ফ্যান। গরমের হাত থেকে সাময়িক নিস্তার পেতে বৈদ্যুতিক  এই পাখার ঠান্ডা হাওয়ার জুড়ি মেলা ভার। এখনকার এয়ার কন্ডিশনারের (এসি) যুগেও বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এই বৈদ্যুতিক ফ্যানগুলির।  কিন্তু বৈদ্যুতিক এই ফ্যানগুলির জন্য প্রতি মাসের শেষে বিদ্যুতের বিল দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হয়  আমজনতার। সারা মাস জুড়ে কষ্ট করে উপার্জন করা অর্থের অনেকটাই চলে যায় এই বৈদ্যুতিক বিলের পিছনে।

একেবারে মাসের শুরুতেই কড়কড়ে নোটগুলো ইলেকট্রিক অফিসের দিয়ে আসতে  কারই  বা মন চায়? কিন্তু অনেকেরই সঠিক ধারণা নেই সারাক্ষণ মাথার উপর ঘুরতে থাকা এই বৈদ্যুতিক ফ্যান গুলি চালানোর জন্য সারা মাসে কত টাকা বিল আসতে পারে। গ্রাহকদের নানান অসভধানতার কারণেই মূলত চড়চড়িয়ে বাড়তে থাকে বিদ্যুৎ বিল। একটু ভেবে চিন্তে বিদ্যুৎ খরচ করলেই  কিন্তু মাসের শেষে বিদ্যুতের বিল অনেকটাই সাশ্রয় হয়।

তেমনি একটু ঠান্ডা মাথায় ভাবলেই বোঝা যাবে একটি ফ্যানের জন্য প্রতি মাসে কত টাকা বিদ্যুৎ বিল আসতে পারে? মাসের শেষে বিদ্যুতের বিলের বোঝা কমাতে এক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। সাধারণত নানা ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির মতোই একটি সিলিং ফ্যান থেকেও যথেষ্ট পরিমাণে বিদ্যুৎ খরচ হয়ে থাকে। প্রত্যেক বাড়িতেই যে সিলিং ফ্যান থাকে সেগুলি সারাদিন ধরেই  একটানা চলতে থাকে। সে কথা ভেবেই কোম্পানিগুলো আগে থেকেই বেশি পাওয়ার যুক্ত সিলিং ফ্যান তৈরি করে রাখেন। স্বাভাবিকভাবে একটি সিলিং ফ্যান ৭০ ওয়াট থেকে ১০০ ওয়াটের হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে একটি হিসেব করলেই খুব সহজে জানা যেতে পারে প্রতিমাসে এই সিলিং ফ্যান থেকে ইলেকট্রিক বিলের জন্য অতিরিক্ত কত টাকা যোগ হচ্ছে?

তাই হিসাব করলে  দেখা যাবে, একটি  ৭০ ওয়াটের সিলিং ফ্যান যদি এক ঘণ্টায় ৭০ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করে, তাহলে দিনেএকটি ফ্যান ১০ ঘণ্টা চললে  ১০×৭০ = ৭০০ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হবে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বিদ্যুৎ বিল প্রতি ইউনিট যদি হয় ৭ টাকা ৫০ পয়সা হয় তাহলে ১০ ঘণ্টায় দিনে ০.৭ ওয়াট × ৭.৫০ = ৫.২৫ টাকা খরচ হবে। অর্থাৎ একদিনে একটি ফ্যানের জন্য খরচ হবে ৫.২৫ টাকা। তাহলে এক মাসে খরচ হবে ৫.২৫×৩০= ১৫৭.৫ টাকা অর্থাৎ প্রায় ১৫৮ টাকা।

আর  যদি  কোনো ১০০ ওয়াটের ফ্যান প্রতিদিন  ১০ ঘণ্টা করে চলে তাহলে হিসাব অনুযায়ী মাসে ওই ফ্যান মোট ১০×৩০ = ৩০০ ঘণ্টা চলবে। সেক্ষেত্রে মোট বিদ্যুৎ খরচ হবে, ১০০×৩০০ =৩০,০০০ ওয়াট। ৩০,০০০÷১০০০ ইউনিট=৩০ ইউনিট। উল্লেখ্য বিদ্যুৎ বিল যদি প্রতি ইউনিট ৭ টাকা ৫০ পয়সা হয় তাহলে ওই সিলিং ফ্যানের জন্য এক মাসে খরচ হবে ৩০×৭.৫০ = ২২৫ টাকা। কিন্তু এটি সম্পূর্ণই ফ্যানের পাওয়ার এবং বিদ্যুতের ইউনিটের উপর নির্ভর করবে। ইদানিং  বাজারে বহু কম পাওয়ারের ফ্যানও বিক্রি হচ্ছে  যা কিনলে তাতে খরচ আরও কম হবে।

 


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *