বিশ্বকাপ জার্সি

২০১৯ সালের পর ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩। ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের এই মহাযুদ্ধ। যা চলবে আগামী ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত। ক্রিকেট বিশ্বকাপ ১৯৭৫ সাল থেকে শুরু হলেও ভারতীয় ক্রিকেট দল প্রথম রঙিন জার্সি গায়ে চাপিয়েছিল ১৯৯২ সালে।

এর আগে প্রথম তিন সংস্করণে সাদা পোশাক পরে ভারতীয় খেলোয়াড়রা নেমেছিলেন ক্রিকেটের ময়দানে। ১৯৯২ সাল থেকে প্রথম এটি ভারতীয় ক্রিকেটকে আরও  উজ্জল করেছে।হিসাব করলে দেখা যাবে  সেই ১৯৯২ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এই নিয়ে মোট নটি রঙিন জার্সি গায়ে চাপিয়েছে ভারত। চলতি বছরেও অর্থাৎ ২০২৩ এর বিশ্বকাপের জন্যও  ভারতীয় দলের জন্য লঞ্চ করা হয়েছে নতুন জার্সি। আসুন দেখে নেওয়া যাক গত ৩১ বছরের এই বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের রঙিন জার্সিতে কি কি পরিবর্তন এসেছে?

১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড আয়োজিত বিশ্বকাপে ভারতীয় দল প্রথমবারের মতো রঙিন জার্সি পরে নেমেছিল ক্রিকেটের ময়দানে। ভারতের প্রথম রঙিন জার্সি ছিল গাঢ় নীল রঙের। অভিনব এই জার্সির কাঁধের অংশে ছিল  নীল, সবুজ ও লাল রঙের স্ট্রাইপ। এছাড়া জার্সির সামনে ভারত এবং পেছনে খেলোয়াড়ের নাম লেখা ছিল।

২৭ বছর আগে ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপে ভারতীয় ক্রিকেট টিমের জার্সির রঙ বদলে নীলের বদলে আকাশি করা হয়। সেবার এই জার্সিতে আকাশী নীল, নীল এবং হলুদ রঙ ব্যবহার করা হয়েছিল। জার্সির কলার ও বুকের অংশে হলুদ স্ট্রাইপের ওপর ইন্ডিয়া লেখা ছিল।এছাড়াও, একটি রঙিন তীরের মতো ব্যান্ড প্রিন্ট ছিল, যা বুকের এলাকা থেকে সরাসরি বাহু পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।

ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের জার্সির রঙ গতবারের চেয়ে বেশ গাঢ় ছিল। ডিজাইনে বদল এনে বুকের অংশে নিচ থেকে উপর পর্যন্ত তীরের মতো হলুদ রংয়ের স্ট্রাইপ করা হয়েছিল। সেবার জার্সির কলার ছিল হলুদ রংয়ের।

২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে ভারতীয় ক্রিকেট দলের জার্সিতে আসে আমূল পরিবর্তন। অন্যান্য বারের তুলনায়  স্টাইলিশ এই জার্সির বুকের অংশে ছিল জাতীয় পতাকার তিন রঙ। যা নিঃসন্দেহে জার্সিটিকে একটা আলাদা মাত্রা দিয়েছিল। আর জার্সির দুই পাশে ছিল ঘন কালো স্ট্রাইপ। জার্সির মাঝে ইংরেজি হরফে লেখা ইন্ডিয়া শব্দটি  খুবই আকর্ষণীয় লাগছিল।

২০০৭ সালের জার্সি প্রত্যেকবারের থেকে একেবারে আলাদা ছিল। আগের প্রতিটি বিশ্বকাপ থেকে আলাদা ছিল। এই জার্সির ডানদিকের অংশে জাতীয় পতাকার তিন রঙ রাখা হয়েছিল। এবার জার্সির নীল রঙটা ছিল খুব ফ্যাকাশে। পোশাক থেকে মুছে ফেলা হয়েছিল কালো স্ট্রাইপ। INDIA শব্দটিও লেখা হয় একটি নতুন ফন্টে।

২৮ বছর পর বিশ্বকাপের ট্রফি ঘরে আসায় ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ছিল প্রত্যেক ভারতীয়র জন্য এক  ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ভারতে অনুষ্টিত এই বিশ্বকাপে জার্সির রং ছিল নীল। এই জার্সির দুই ধারে আর কলারে ছিল  জাতীয় পতাকার ট্রাই কালার। এ ছাড়া কমলা রঙে লেখা ছিল ভারত।

২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এই বিশ্বকাপে ভারতের জার্সি থেকে জাতীয় পতাকাই সরিয়ে দেওয়া হয়। সাধারণ নীল টি-শার্টের সামনে শুধু কমলা রঙে লেখা ছিল ভারত। সেবারের জার্সিটির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য ছিল এটি পুনর্ব্যবহৃত প্লাস্টিকের বোতল থেকে তৈরী করা হয়েছিল।

২০১৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এই বিশ্বকাপে ভারতীয় ক্রিকেট দলের জার্সিতে উজ্জ্বল নীল আর কমলা রঙ ব্যবহার করা হয়েছিল। কলারটিও ছিল  কমলা রঙের। এই একই  রঙ দিয়েই লেখা ছিল ইন্ডিয়া। ভারতীয় ক্রিকেট তারকা মহেন্দ্র সিং ধোনির এই শেষ বিশ্বকাপে ভারত সেমিফাইনালে পর্যন্ত পৌঁছালেও কাপ অধরা থেকে যায়।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *