ভারতীয় রেল হল আমাদের দেশের লাইফ লাইন। দেশের বৃহত্তম এই গণপরিবহন ব্যবস্থা প্রত্যেক ভারতবাসীর কাছে গর্বেরও বটে। এককথায় বহু অজানা তথ্যের ভান্ডার এই ভারতীয় রেল। ট্রেনে সফল করলেও যার খুঁটিনাটি অনেক কিছুই জানা থাকে না সাধারণ যাত্রীদের। ট্রেনে সফরকালীন সময়ে যাত্রীদের সমস্ত স্বাচ্ছন্দের কথা ভেবেই বিভিন্ন ধরনের পরিষেবার ব্যবস্থা করে থাকে রেল কর্তৃপক্ষ। ভারতীয় রেলের এমনই একটি পরিষেবা হল এসি কম্পার্টমেন্টের যাত্রীদের জন্য দেওয়া বালিশ,চাদর, গায়ের কম্বল কিংবা তোয়ালে। কিন্তু এমন অনেক যাত্রী আছেন যারা রেলের দেওয়া এই সুবিধার অপব্যবহার করেন।
কিন্তু মনে রাখতে হবে রেলের দেওয়া এই সমস্ত জিনিস যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দে ব্যবহার করতে পারলেও তা কিন্তু যথেচ্ছ ভাবে ব্যবহার করার অনুমতি নেই একেবারেই। কিন্তু একাধিক রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে যে এমন অনেক রেলযাত্রী রয়েছেন যারা এসি কম্পার্টমেন্টে দেওয়া বালিশ, চাদর ইত্যাদি চুপিসারে নিজেদের ব্যাগে ভরে ফেলেন এবং গন্তব্য স্টেশন আসলেই কাউকে কিছু না বলেই কেটে পড়েন।
এই পরিস্থিতিতে একটা সময় ভারতীয় রেলের কিছুই করণীয় ছিল না। কিন্তু এখন এই বিষয়ে বেশ কড়া হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ তাই কেউ যদি রেলের দেওয়া পণ্য চুরি করে তবে তাকে মোটা টাকা তো জরিমানা দিতেই হবে, পাশাপাশি যেতে হবে শ্রী ঘরেও। তাই ভুল করেও এই ভুল করার আগে অবশ্যই রেলের নতুন নির্দেশিকা সম্পর্কে জেনে নেওয়া প্রয়োজন।
রেলের পণ্য চুরি করলে কত বছর জেলে থাকতে হবে জানেন?
আইন লঙ্ঘন করে রেলের সম্পদ চুরি করলে কড়া শাস্তি পেতে হবে। সরকারি জিনিস চুরি করা দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই রেলের তরফে জারি করা নিয়ম অনুযায়ী রেলের যে কোন জিনিস চুরি করলে পাঁচ বছরের জেল এবং জরিমানা হতে পারে মোটা টাকা। এই ধরনের যাত্রীদের বিরুদ্ধে রেলের সম্পত্তি আইন ১৯৬৬ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। এই আইনে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদন্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়।
রেলের লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি:
জেনে রাখা প্রয়োজন কয়েকজন যাত্রীর বদভ্যাসের কারণে প্রতিবছর রেলের লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি হচ্ছে। জানলে অবাক হবেন শুধু চাদর,কম্বল কিংবা তোয়ালে নয় এমন অনেক যাত্রী আছেন যারা রেলের দেওয়া চামচ,কেটলি, কল কিংবা টয়লেট বউল পর্যন্ত চুরি করে নিয়ে যান। আর এইভাবে বারবার জিনিস চুরি হওয়ায় যাত্রীদের জন্য প্রায়ই নতুন জিনিস কিনতে হচ্ছে। এতে বড়সড়ো আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে ভারতীয় রেল।
কোন রুটে বেশি জিনিস চুরি হচ্ছে?
চলতি বছরের জুন মাসেই রেলের তরফ থেকেএকটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। যা থেকে জানা যাচ্ছে ছত্রিশগড়ের বিলাসপুর জোনের ট্রেন থেকেই রেলের পণ্য সব থেকে বেশি চুরি হচ্ছে। বিলাসপুর এবং দুর্গ থেকে চলাচলকারী এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিতে কম্বল, চাদর এবং বালিশের কভার এবং মুখের তোয়ালে ক্রমাগত চুরি যাচ্ছে। ওই রিপোর্ট বলছে প্রায় ৫৬ লক্ষ টাকার চাদর এবং কম্বল চুরি হয়েছে।
Leave a Reply