দামি গাড়ির মালিক

বিশ্ব বিখ্যাত ধনকুবেরদের তালিকার প্রথমেই নাম আসে ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানি থেকে শুরু করে গৌতম আদানির নাম।  যাদের বিলাসবহুল জীবনযাপন এবং সম্পত্তি চোখ ধাঁধিয়ে দেয় আমজনতাদের। রাজপ্রাসাদের মতো বাড়ি থেকে শুরু বিশাল ধনসম্পত্তি কি নেই রিলায়েন্স গোষ্ঠীর কর্ণধার মুকেশ আম্বানির কাছে। ভারতের সফল এই উদ্যোগপতির রয়েছে দুর্দান্ত গাড়ির কালেকশনও।  কিন্তু জানলে অবাক হবেন আমাদের দেশের সবচেয়ে দামি গাড়ির মালিক ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানি কিংবা অন্য কোন ধনী ব্যবসায়ী নন। ভারতীয় কোটিপতিরা বিলাসবহুল রোলস রয়েস চড়তে ভালোবাসেন ঠিকই কিন্তু, ভারতের সবচেয়ে দামি গাড়ির মালিক হলেন একজন চিকিৎসক।

এই মুহূর্তে আমাদের দেশের সবথেকে দামি ও বিলাসবহুল গাড়ি হল Bentley Mulsanne EWB Centenary এডিশন। ভারতীয় বাজারে যার দাম ১৪ কোটি টাকা।  যা হয়তো বহু সাধারণ মানুষের সারা জীবনেরও সঞ্চয় হতে পারে না। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে এই গাড়ির মালিক হলেন একজন চিকিৎসক।  জানেন ভারতের সবচেয়ে দামি গাড়ির মালিক ওই চিকিৎসক কি নামে পরিচিত? ‘প্রোটিন ম্যান অফ ইন্ডিয়া’ বলে পরিচিত  ওই বিখ্যাত চিকিৎসকের নাম হলো ভি এস রেড্ডি। যিনি আসলে ব্রিটিশ বায়োলজিকালস’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রতিষ্ঠাতা।  ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিতএই কোম্পানিটির সদর দফতর রয়েছে কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে।

বেন্টলে ভারতে বিভিন্ন ধরনের নামি-দামি গাড়ি লঞ্চ করে। যার মধ্যে সবথেকে দামি গাড়িটি হলো ফ্ল্যাগশিপ মডেল Mulsanne. সুপার লাক্সারি এই গাড়িটি একেবারেই আলাদা। যা কোনো পাঁচ তারা হোটেলের থেকে কোনো অংশে কম নয়। কিন্তু ব্রিটিশ সংস্থা গাড়িটি পরে বন্ধ করে দিয়েছিল। ভারতে তখন স্ট্যান্ডার্ড মডেলের দাম ছিল ৬ কোটি টাকা। সারা বিশ্বে এই গাড়ির  মাত্র কয়েকটি ইউনিট উপলব্ধ রয়েছে। তাই সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে এই  গাড়ি শুধু বিলাসবহুল নয়, বিরলও বটে।

শতবর্ষ উপলক্ষে বেন্টলে এই স্পেশাল এডিশন প্রকাশ্যে এনেছিল। সেসময় ১০০টি ইউনিট উৎপাদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বেন্টলে। এই গাড়ির ডিজাইন ছিল খুবই রংচংয়ে। ৬.৫ লিটার V8 ইঞ্জিন বিশিষ্ট এই গাড়ি ৫০৬ হর্সপাওয়ার এবং ১০২০ এনএম টর্ক তৈরি করতে পারে। এর সঙ্গে আছে ৮ স্পিড অটোমেটিক ZF ট্রান্সমিশন। মাত্র ৫.৫ সেকেন্ডে গাড়িটি ১০০ কিমি যেতে পারে  এবং এর সর্বোচ্চ গতি ২৯৬ কিমি প্রতি ঘণ্টা। এমনই একাধিক সুবিধাযুক্ত এই গাড়িটির যাত্রীদের আরাম অনুযায়ী হিটিং, কুলিংয়ের সুবিধার পাশাপাশি নতুন ধাঁচের গ্রিল, কারুকার্য করা পিকনিক টেবিল এবং পিছনে সেন্টার কনসোল। ভিএস রেড্ডি ২০১৯ সালে এই গাড়িটি কিনেছিলেন।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *