পুজোর আগেই ভয়ংকর তাণ্ডব! কড়াকড়ি লাল সতর্কতা দিল নবান্ন, চোখ রাঙ্গাবে মারাত্নক বিপর্যয়

পুজোর আগেই ভয়ংকর তাণ্ডব! কড়াকড়ি লাল সতর্কতা দিল নবান্ন, চোখ রাঙ্গাবে মারাত্নক বিপর্যয়

পুজোর আগেই ভয়ংকর তাণ্ডব!
কড়াকড়ি লাল সতর্কতা দিল নবান্ন!

চোখ রাঙ্গাবে মারাত্নক বিপর্যয়!
চরম বিপদের মুখে ৭ জেলা!

প্যান্ডেল হপিং এ হুঁশিয়ারি!
বাড়ি থেকেই বেরোলেই সর্বনাশ!

ঠিক কি জানিয়েছে নবান্ন!
কোন বিপদে পড়তে চলেছে বাংলা?

এই রোদ এই জল। বাংলার আকাশের মুড সুইংয়ে নাজেহাল বঙ্গবাসী। শেষ ইনিংসে বর্ষার ছক্কা হাকানো যেন থামছেই না। তবে, এবারে আরও বড় সর্বনাশের কথা শোনালো নবান্ন। ফের পুজোতে অসুরের ভূমিকায় বৃষ্টি। পুজোর সময়তে বন্যায় ভাসতে পারে ৭ জেলা। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

আসলে বেশ কয়েকদিন ধরেই লাগাতার বৃষ্টি চলছে ঝাড়খণ্ডের পাহাড়ি এলাকায়। বৃষ্টির পরিমাণ ক্রমশই বেড়ে চলেছে দিন দিন। আর এরফলেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে নবান্ন। মূলত রাঢ়বঙ্গের জেলাগুলোই ভাসতে পারে বন্যায়। পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি ও হাওড়া জেলায় তৈরি হতে পারে বন্যা পরিস্থিতি।

এই নিয়ে দ্রুত জেলার উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব। প্রয়োজনীয় সমস্ত সতর্কতা নিতে নির্দেশ দেন তিনি। দ্রুত বাঁধসহ এলাকা
পর্যবেক্ষণের পরামর্শও দেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন “ভারতের আবহাওয়া দফতর আইএমডির পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামিকাল অর্থাত্‍ মঙ্গলবার থেকে ভারি বৃষ্টি হতে পারে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত। নিম্নচাপ ঘনাচ্ছে ঝাড়খণ্ডের ওপর। প্রবল বৃষ্টির কারণে বাঁধগুলিতে জলের চাপ বাড়বে। জল ছাড়ার পরিমাণও বাড়াতে পারে প্রতিবেশী রাজ্য। তাই সতর্ক থাকতে হবে আমাদের। ১ অক্টোবর অর্থাত্‍ রবিবারই ঝাড়খণ্ডের একাধিক এলাকায় ৫০ মিলিমিটারও বেশি বৃষ্টি হয়েছে।”

এরপর থেকেই কোমর বেঁধে নেমে পড়ে প্রশাসন। জেলায় জেলায় পুলিশ-প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয় এলাকায় বাঁধের সুরক্ষার উপর জোর দিতে। মজুত করা হচ্ছে পর্যাপ্ত ত্রান ,ত্রিপল, জল ও শুকনো খাবার।
এই নিয়ে সাবধানবাণী এসেছে নবান্নের তরফেও সেখানে বলা হয়েছে, “অস্বাভাবিকভাবে বেশি বৃষ্টিপাত হলে জেলা প্রশাসনকে জানাতে হবে কারণ জল ছাড়ার ক্ষেত্রে নিম্নাঞ্চলের বৃষ্টিপাতকেও বিবেচনা করতে হবে। সেচ ও নৌপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীরা এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখবেন। প্রয়োজনে জনগণকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থাসহ ওইসব এলাকায় মাইকিং করা হবে। সব বিষয়ে সেচ ও জলপথ বিভাগ DVC এবং ঝাড়খণ্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতির উপর ঘনিষ্ঠ নজর রাখবে।”

এদিনের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সেচ ও জলপথ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের আধিকারিক এবং এডিজিরাও।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *