গান্ধীজি মন্দির

আজ অর্থাৎ ২ অক্টোবর গোটা দেশজুড়ে ধুমধাম করে পালিত হচ্ছে গান্ধী জয়ন্তী। ‘জাতির জনক’ মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন আজ। তাই এই বিশেষ দিনে গান্ধীজির অবদানকে শ্রদ্ধা জানিয়ে নানান ধরনের সমাজসেবামূলক কর্মসূচি পালিত হয় দেশজুড়ে।১৮৬৯ সালের ২ অক্টোবর গুজরাতের পোরবন্দরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারত মাতার অন্যান্য বীর সন্তানদের মতই বিরাট অবদান ছিল তাঁর। যা আজও ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে উজ্জ্বল হয়ে আছে।

ভক্তদের অনেকের কাছেই গান্ধীজি হলেন ভগবানের সমান। দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও অসংখ্য ভক্ত রয়েছেন গান্ধীজির। কিন্তু জানলে অবাক হবেন আমাদের দেশেই এমন একটি মন্দির রয়েছে যেখানে দেবতা জ্ঞানে পূজিত হন স্বয়ং গান্ধীজি। শুনতে অবাক লাগলেও ভারতে সত্যিই রয়েছে এমন মন্দির। যা অবস্থিত কর্নাটকের ম্যাঙ্গালোরে ।

কর্নাটকের ম্যাঙ্গালোরের গারোডিতে শ্রী ব্রহ্মা বৈদরকাল এলাকায় এমন একটি মন্দির রয়েছে, যা গান্ধীজির উদ্দেশ্যেই নিবেদিত। এই মন্দিরের আরাধ্য দেবতা হলেন বাপু। ভগবান হিসাবে দিনে তিন বার এখানে পুজো করা হয় বাপুজির। প্রথম পুজো হয় সকাল ৬টায় তারপর বেলা ১২টায় একবার এবং শেষে সন্ধে ৭.৩০ টায় পুজো করা হয় গান্ধীজির। পুজোর সাথেই প্রতিদিন গান্ধীজির মূর্তির সামনে একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখা হয়।

গান্ধী জয়ন্তীর বিশেষ পুজো
প্রতি বছর গান্ধী জয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয় এই মন্দিরে। ফল ও মিষ্টি ছাড়াও বাপুকে এখানো কালো কফি নিবেদন করা হয়। কারণ কালো কফি ছিল তাঁর অত্যন্ত প্রিয়। তাই এই কালো কফিই ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ হিসাবে বিতরণ করা হয় এখনও।

দেশ স্বাধীন হওয়ার ঠিক পরের বছরেই ১৯৪৮ সালে এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। প্রথমে এখানে একটি মাটির মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল। এখানে গান্ধীজির ভক্তরা আসেন এবং তাঁর দেখানো সত্য ও অহিংসার পথে জীবনে চলার শপথ গ্রহণ করেন।

গান্ধী জয়ন্তীর এই বিশেষ দিনে, অসুন দেখে নেওয়া যাক গান্ধীজীর কয়েকটি মূল্যবান উপদেশ:
পাপকে ঘৃণা করো পাপীকে নয়।
আসল শিক্ষা সেটাই, যা আমরা কষ্ট করে লাভ করি।
ভয় শরীরের অসুখ নয়, এটি মনের অসুখ। যা আমাদের আত্মাকে মেরে ফেলে।
পোশাক দিয়ে নয়, একজন মানুষের পরিচয় নির্ধারিত হয় তাঁর চরিত্র দিয়ে।
আজ তুমি যা করবে, তার দ্বারা তোমার ভবিষ্যত্‍ নির্ধারিত হবে। তুমি যা কাল করেছ, তার দ্বারা নয়।
ভুল করার স্বাধীনতা না থাকলে, স্বাধীনতা লাভের অর্থ মিথ্যে হয়ে যায়।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *