ভারতেই এই মন্দিরে রয়েছে জীবন্ত নন্দী দেব, প্রতিদিন বেড়ে ওঠে পাথরের মূর্তি
ভারতেই এই মন্দিরে রয়েছে
জীবন্ত নন্দী দেব
প্রতিদিন বেড়ে ওঠে পাথরের মূর্তি
এই মন্দিরের ধারে কাছে
ঘেষতে পারে না কোনও কাক
কোনও অশুভ শক্তি
এই মন্দিরে নাকি এখনও ঘুরে বেড়ায়
স্বয়ং ঋষি অগস্তর আত্মা!
এখানে মানত করলেই
পূর্ণ হয় সকল মনোস্কামনা!
কীভাবে ঘটে এমন কাণ্ড!
উত্তর খুঁজে পাচ্ছে না বিজ্ঞানীরা!
ভারতবর্ষের কোথায় অবস্থিত
এই মন্দির ?
কি নাম ?
কথায় আছে, বিশ্বাসে মেলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। আবার এমনও বলা হয়, যা রটে তা কিছু হলেও ঘটে। আসলে যখনই কিছু বৈজ্ঞানিক সূত্রের বাইরে গিয়ে ঘটে, তখনই তা আমদের কাছে হয়ে ওঠে অদ্ভূত বা অলৌকিক। অর্থাৎ এক কথায় যার ব্যাখ্যা বিজ্ঞান দিতে পারেনা। তবে দেখা যায়, পৃথিবীতে নানান সময়ই ঘটে থাকে এমন নানান ঘটনা যার কোনো ব্যাখ্যা সম্ভব নয়।
বেশিরভাগ সময়ই এই অলৌকিক ঘটনাগুলি ঘটে, কোন না কোন মন্দিরকে কেন্দ্র করে। আর ভারতবর্ষ তো হলো এমনি মন্দিরের দেশ। এর আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে নানান আলৌকিক স্থান। তেমনই একটি হল অন্ধ্রপ্রদেশের যগন্তী উমা মহেশ্বরা মন্দির। জাগ্রত এই মন্দির নানান অলৌকিক ঘটনার সাক্ষী। অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুল জেলায় অবস্থিত এই মন্দিরের মাহাত্ম্য সকলেরই জানা।
বলা হয়, এই মন্দিরে থাকা পাথরের নন্দী মূর্তি নাকি জীবন্ত। সময়ের সাথে সাথে প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে এর আকৃতি। একটু একটু করে আয়তনে বড় হচ্ছে এই পাথরের মূর্তি। স্থানীয়দের মতে, আজ থেকে বছর ৫০ আগে এত বড় ছিল না এই মূর্তি। কিন্তু দৈবিক শক্তিতেই আজ বাড়ছে নন্দী। তাই এই জাগ্রত মূর্তিকে দেখতে দূর দূরান্ত থেকে ঘটে মানুষের সমাগম। এই নিয়ে জনৈক এক ঋষি বলেন, কলিযুগেই নাকি মূর্তিটি জীবন্ত হয়ে উঠবে ও ধর্ম স্থাপন করবে ।
তবে, এই নিয়ে ভারতের আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার মত কিছুটা ভিন্ন। তারা নন্দীর মূর্তিটি পরীক্ষা করেছিল এটা প্রমাণ করতে যে বিশ্বাসের সঙ্গে বাস্তবের সত্যিই কোনো সামঞ্জস্য রয়েছে কি না! তবে গবেষণার পর তারা জানায়, “যে পাথরটি খোদাই করে নন্দীর মূর্তিটি তৈরি হয়েছে, সেই পাথর স্বভাবজাতভাবেই আয়তনে বাড়ে।” তবে মূর্তি বৃদ্ধি পাবার ব্যাপারটি সত্যি প্রমাণিত হয়। তারা জানান, “গত বিশ বছরে মূর্তিটি সত্যিই আকারে এক ইঞ্চি বৃদ্ধি পেয়েছে।” এই কারনেই সম্প্রতি মূর্তিটির সঙ্গে লাগোয়া একটি পাথরের স্তম্ভ ভেঙে ফেলা হয়েছে। ফলে দর্শনার্থীদের পূজা দেয়ার সময় নন্দীর চারিদিকে প্রদক্ষীণ করতেও সুবিধা হয়।
এ ছাড়াও এই মন্দিরে রয়েছে, আরও এক রহস্য ত হল এ চত্বরে কোনো কাক দেখা যায় না। এর পেছনেও রয়েছে এই অবাক করা কাহিনী। জানা যায়, ঋষি অগস্ত একবার প্রায়শ্চিত্ত করছিলেন। সেই সময় কাকের দল তাকে বিরক্ত করেছিল। তখন ঋষি অভিশাপ দিয়েছিলেন, মন্দির চত্বরে যেন আর কখনো কাকেরা প্রবেশ করতে না পারে। সেই থেকেই নাকি কাকেরা আর প্রবেশ করতে পারে না এই মন্দির চত্বরে। এই মন্দিরের এক প্রান্তেই রয়েছে অগস্ত গুহা। স্থানীয়দের মতে, এখানেই নাকি শিবের আরাধনায় ধ্যানমগ্ন ছিলেন ঋষি।
আজও মন্দিরের ভেতরে পুকুরে সারা বছরই জল থাকে। মনে করা হয়, নন্দীর মুখ থেকেই নাকি এই জল নির্গত হয় এবং সারাবছর ধারাবাহিকভাবে তা বয়ে চলেছে।
Leave a Reply