Godor

কার জীবনী থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি গদর ?

সানি দেওয়ালের হিট ছবি গদর ছবির আসল হিরো কে?

 

কার গল্প শুনে দুর্দান্ত অভিনয় করতে পেরেছিলেন সানি?

 

বুকা সিং আসলে কে ছিলেন?

তার গল্প শুনলে চোখে জল আসবে আপনার

গল্প নয় একেবারে সত্যি

 

 

সানি দেওয়াল, হিন্দি সিনেমা জগতের অন্যতম পরিচিত মুখ । ধর্মেন্দ্র পুত্র সানি দেওয়াল একসময় হিন্দি সিনেমা জগতে তাবর তাবর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। পেয়েছেন চূড়ান্ত সাফল্য । তার অন্যতম সফল ছবিগুলির মধ্যে প্রথমেই যে নাম আসে তা হল গাদার। ইতিমধ্যেই যে ছবির সিকুয়াল হয়েছে। ২০০১ সালে মুক্তি পাওয়ায় গাদার ছবিতে অভিনয় করেছিল আমিশা পাটেল, সানি দেওয়াল। প্রায় ২২ বছর পর সেই ছবির সিক্যুয়াল তৈরি হল। সেখানেও নায়ক নায়িকার ভূমিকায় দেখা গেল সানি দেওয়াল এবং আমিশা পাটেলকেই। যথারীতি গাদার ১ র মতো গাদার দুইও যথেষ্ট সাফল্য পেয়েছে বক্স অফিসে। বহুদিন পর বড়পর্দায় কাম ব্যাক করে প্রশংসা কুরিয়েছে সানি দেওয়াল ।

 

যারা এই ছবি দেখেছে তারা জানে গদর ছবির চিত্রনাট্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এক সৈনিক এবং তার প্রেমকাহিনী। এক্ষেত্রে অনেকেরই প্রশ্ন এই গল্প আদতে কাল্পনিক, নাকি সত্য ঘটনা অবলম্বনে? আপনারা জানলে অবাক হবেন এই ঘটনা আসলে একজনের জীবন কাহিনী, স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় ভারত পাকিস্তান ভিন্ন হয়ে যাবার সময় এক সৈনিক এবং তার প্রেমের গল্প ।

 

এই ছবিতে সানি দেওয়াল অভিনয় করেছেন বুটা সিং নামক এক সৈনিকের ভূমিকায়। বুটা সিং ছিলেন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সৈনিক।

জানা যায়,দেশভাগের পর যখন হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা চলছিল, তখন বুটা সিং একজন মুসলিম মেয়ের জীবন বাঁচিয়েছিলেন। মেয়েটির নাম জয়নাব। এরপর তারা একে অপরের প্রেমে পড়েন এবং বিয়ে করেন। তাদের একটি কন্যা সন্তানও হয়। এবার যেহেতু জয়নাব পাকিস্তানের নাগরিক ছিলেন তাই বাধ্যতামূলকভাবে চলে যেতে হয়।স

স্ত্রী কে ফিরিয়ে আনতে । তিনি অবৈধভাবে পাকিস্তানে প্রবেশ করেন এবং তার স্ত্রী জয়নাবের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। এদিকে পরিবারের চাপে জয়নাব তার দ্বিতীয় বিয়ে করতে বাধ্য হয় । অন্যদিকে বুটা সিং অবৈধভাবে পাকিস্তানে পাড়ি দেওয়ায় ধরা পড়েন এবং তাকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, জয়নাব তার স্ত্রী এবং তাদের একটি মেয়েও রয়েছে। কিন্তু জয়নাব পারিবারিক চাপে বুটা সিং ও তার কন্যার সাথে যেতে অস্বীকার করেছিলেন।। তখনই বুটা সিং মনের দুঃখে সামনে থেকে আসা ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ দেন। পরবর্তীতে বুটা সিংকে ‘শহীদ-ই-মহব্বত’-এর মর্যাদা দেওয়া হয়। কথিত আছে, জয়নাব এখনো বেঁচে আছেন


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *