Focus
পিতা থাকা সত্বেও
পাননি পিতৃপরিচয়।
বাবা থাকা সত্ত্বেও অবৈধ সন্তানের তকমা পেয়েছিল রেখা!
চাইলেও জানাতে পারেননি বাবার নাম।
রেখার মায়ের ভুলের মাশুল দিতে
হয়েছিল অভিনেত্রী রেখাকে।
মা বাবার সম্পর্কের জন্য নিজেকে বলিদান দিতে হয়েছিল অভিনেত্রী রেখাকে।
জানেন রেখার বাবার পরিচয়?
কেন বাবাকে ছাড়াই কাটাতে হয়েছে তাকে শৈশব?
জানুন বিস্তারিত……..
Body:- বলিউড তারকাদের জীবন সর্বদাই নানান ঘটনায় ঘেরা। তবে বলিউডের পরেই যদি কোনো ইন্ডাস্ট্রি সবথেকে বড় হয়ে থাকে তা হল দক্ষিণী ছবি। এককালে বহু অভিনেত্রীই দক্ষিন থেকে এসে নিজের জায়গা পাকা করেছিলেন বলিউডে। এই তালিকায় রয়েছে রেখা, জয়া প্রদা, শ্রীদেবী, হেমা মালিনী সহ আরও অনেকে। তবে, অনেকেরই অজানা যে এদেরও আগে এই ইন্ডাস্ট্রি কাঁপাতেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী পুষ্পাবল্লী। তার আরেক পরিচয় সে বলিউড অভিনেত্রী রেখার মা। হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন।
তার কাহিনী হার মানাবে যে কোনো সিনেমার গল্পকেও। ইনিই ছিলেন প্রথম অভিনেত্রী যিনি বড় পর্দায় প্রথম সীতার ভূমিকায় অভিনয় করেন। ১৯৩৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সম্পূর্ণ রামায়ণম ছবির হাত ধরেই রূপোলী পর্যায়ে পা দেন পুষ্পাবল্লী । এরপর থেকেই ধীরে ধীরে খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে তার। প্রধান চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন পুষ্পাবল্লী। এরপর ১৯৪০ সালে তিনি বসেন বিয়ের পিঁড়িতে ,তবে স্থায়ী হয়নি এই সংসার। বিচ্ছেদ হয় তার। তবে, এতকিছুর পরেও তার জীবনেঘটে আরেক পুরুষের প্রবেশ । তিনি হলেন জেমিনি গণেশন। সেই সময়কার অন্যতম দক্ষিণী সুপারস্টার। আসলে ১৯৪৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তামিল ছবি ‘মিস মালিনী’-র সময় ঘনিষ্ঠতা আসে দুজনের মধ্যে। এই ছবিতে আবার মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন পুষ্পাবল্লী। এই সময়ের পর থেকেই নামী তারকা হয়ে যান জেমিনি। আর পুষ্পাবল্লীর জনপ্রিয়তায় কিছুটা হলেও ভাটা পড়ে নায়িকার চরিত্রে। তাদের রসায়ন রুপোলি পর্দা থেকে আসে বাস্তবের দুনিয়াতেও। আগে থেকে বিবাহিত হওয়া সত্বেও জেমিনি জড়িয়ে পড়েন এই সম্পর্কে। সেই কারনেই কোনদিনও বৈধতা পায়নি তাদের সম্পর্ক। তবে তাদের সম্পর্কের সাক্ষী রূপে জন্মায় দুই কন্যা।
আর,এই দুই কন্যার মধ্যেই জ্যেষ্ঠকন্যা হলেন বলিউড সুপারস্টার রেখা। যদিও বহু বছর নিজের দুই মেয়ের পিতৃত্বের দায় অস্বীকার করে গিয়েছেন জেমিনি। এই কারণেই সম্পর্কের অবনতি ঘটে জেমিনি ও পুষ্পাবল্লীর মধ্যে। মা-বাবার এহেন সম্পর্কের কারনে চিরকাল মায়ের পরিচয়তেই বড় হয়েছেন রেখা। কখনোই পাননি বাবার আদর কিংবা নাম। তবে সবকিছুকে হারিয়েও আজ তিনি বলিউডের অন্যতম সেরা অভিনেত্রী। মাত্র ১২ বছর বয়সে তেলেগু ছবিতে শিশু শিল্পী হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি।
End
Leave a Reply