Focus
ব্যক্তিগত সমস্যায় জর্জরিত
ছিল রনবীরের ছেলেবেলা।
বাবা মায়ের মধ্যে ছিল না ভালো সম্পর্ক!
ছিল না সুস্থ শৈশব
অশান্ত ছেলেবেলাই কি তৈরি করেছিল
আজকের প্লে বয় রনবীর কাপুরকে।
তার অভিনয় জীবনের উত্থান -পতনও
হার মানাবে অনেক কে।
জন্মদিনে জানুন, রণবীরের
জীবনের নানান অজানা তথ্য……
Body:- বর্তমান প্রজন্মের যে সকল অভিনেতা মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে তার মধ্যে একজন রণবীর কাপুর। তার চকলেট বয় লুকে ফিদা নারী-মহল। তিনি হাজার হাজার মেয়ের ক্রাশ, হার্টথ্রব। বাণিজ্যিক ছবি থেকে আর্ট ফিল্ম সবেতেই নজর কেড়েছেন তিনি। তার আরেকটি পরিচয় তিনি সুপারস্টার ঋষি কাপুর ও নীতু কাপুরের সন্তান।
তবে তার বেড়ে ওঠা মোটেই সহজ ছিল না। ছোট থেকে আলোর মধ্যে বেড়ে উঠলেও তার জীবনেও ছিল এক অন্ধকারময় অধ্যায়। ছোট থেকেই বাবা-মার খারাপ সম্পর্ক বারবার বিব্রত করে ছোট্ট রণবীরকে। এক সাক্ষাৎকারে, তিনি জানান ” সারারাত এমনকি ভোর পর্যন্ত সিঁড়িতে বসে থাকতেন রণবীর। দুই হাঁটুর মধ্যে মুখ গুঁজে। অপেক্ষা করতেন কখন বাবা-মায়ের ঝগড়া থামবে।” ছেলেবেলা থেকেই পড়াশোনা করতে ভালো লাগত না রনবীরের। খেলতে ভালোবাসতেন রনবীর, বিশেষ করে ফুটবল। ছোট থেকেই মায়ের প্রিয় ছিল রনবীর। তবে রুপোলি পর্দায় হাতেখড়ি বাবার হাত ধরেই।
স্কুলজীবন শেষ করে বাবার সঙ্গেই সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। কলেজ শেষে নিউইয়র্কে পড়াশোনা করতে যান রণবীর। সেখানে তিনি ফিল্ম নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। সেই সময়ে দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবিও পরিচালনা করে সে। যদিও বা একবার রনবীরের বক্তব্য ছিল এই বিদ্যা তার বিশেষ কাজে লাগে নি। এরপর পড়া শেষ করেই মুম্বইতে ফিরে আসেন রণবীর। প্রথম ব্ল্যাক (Black) ছবিতে ‘সঞ্জয় লীলা বনসালির’ সঙ্গে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন রণবীর। ২০০৭ সালে সোনম কপূরের বিপরীতে ‘সাঁওয়ারিয়া’ ছবির হাত ধরে বলিউড ডেবিউ হয় তাঁর। এই ছবিতে তার কাজ প্রশংসিত হলেও, বক্তঅফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে ‘সাঁওয়ারিয়া’। তবে এরপরে ‘বাঁচনা অ্যায় হাসিনো’, ‘ বরফি’, ‘ ইয়ে জওয়ানি হ্যা দিওয়ানি’ একের পর এক হিট ছবি তিনি উপহার দেন । ‘ওয়েক আপ সিড’-এ কঙ্গনা সেনশর্মার বিপরীতে তার অভিনয় আজও সবার মনে রয়েছে। শেষ ছবি ব্রহ্মাস্ত্র তেও তার অভিনয় ছিল অনবদ্য।
তবে, এই অভিনেতার ব্যক্তিগত জীবনে এসেছে একাধিক নারী। নানান সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। তার প্রেমিকার সংখ্যা হার মানাবে অনেককেই। ক্যাটরিনা থেকে দীপিকা সকলেই হাবুডুবু খেয়েছিল তার প্রেমে। তার এই বার – বার সম্পর্ক ভাঙার কারণ হিসেবে তার ছেলেবেলাকেই দায়ী করা হয়। তবে পরিশেষে তিনি বেঁচে নেন আলিয়া ভাটকে। বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন দুজনে। আজ তিনি এক সন্তানের পিতাও।
আর আজ এই বিশেষ মানুষটি পা দিয়েছেন তার ৪১তম জন্মদিনে। তার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানায় টিম বাংলা হান্ট।
End
Leave a Reply