Bidhayak

ফের বেসুরো তৃণমূলের এক বিধায়ক !

পঞ্চায়েত নির্বাচন কাটলেও কাটছে না তৃণমূলের অস্বস্তি! তৃণমূলের নতুন বিপদ বিধায়ক ইদ্রিস আলী!

দলের বিরুদ্ধেই টাকার বিনিময় পদ বিক্রি করার অভিযোগ।

বিরোধীদের পর এবার স্বয়ং তৃণমূলী স্বীকার করছে টাকার বদলে হয়েছে পথ বিক্রি

হুমায়ুন কবিরের পর এবার দলের বিরুদ্ধে সরব বিধায়ক ইদ্রিস আলী

 

পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল বলছে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে গ্রাম বাংলা নিজেদের নামে করেছে রাজ্যে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বিপুল ভোট পেয়ে নিজেদের ঝান্ডা গাড়তে সফল হয়েছে তারা। হাজার হাজার ভোটের মার্জিন নিয়ে জিতেছে তৃণমূল প্রার্থীরা। তবে এই জয়ের পেছনে কারসাজি রয়েছে সেই নিয়ে বারংবার সরব হয়েছে বিরোধীদল। ভোটে কারচুপি হয়েছে এমন দাবি তুলেছেন তারা বারংবার। এবার স্বয়ং তৃণমূল নিজেরই দলের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে হলো সরব। ভগবানগোলার ২ এর বিধায়ক ইদ্রিস আলির অভিযোগ পঞ্চায়েত ভোটে টাকার বদলে বিক্রি করা হয়েছে পদ। যাকে ছন্দ মিলিয়ে তিনি বলেছেন ফ্যালো করি পাও পদ। ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকায় পদ বিক্রি হয়েছে।

 

ভগবানগোলার ব্লকের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে টাকার বদলে পথ বিক্রি করার মতন গুরুতর অভিযোগ এনেছেন তিনি। তিনি বলেন দলের উপর তলা থেকে নাম আসে। তারপর শেষ সিদ্ধান্ত নেয় বিধায়ক এবং ব্লক সভাপতি।পরবর্তীকালে দেখা যায় কর্মাধ্যক্ষের নাম বদলে গিয়েছে। অভিযোগ টাকার বদলে বদলে গিয়েছে নাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দোপাধ্যায় পদক্ষেপ নিচ্ছেন তবে । যারা এভাবে পদ পেয়েছে তাদের সরিয়ে দেয়া উচিত।

 

প্রসঙ্গত এর আগেও একাধিক তৃণমূল বিধায়ককে দেখা যায় দলের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিতে।বিরোধীদলের সাথে শত্রুতার আগে নিজের দলের সাথেই গোষ্ঠী কোন্দলে ভিড়ে গিয়েছে তারা । যদিও এই সমস্ত ঘটনাকে শীর্ষ নেতৃত্বরা গুরুত্ব দিতে নারাজ। অন্যদিকে পঞ্চায়েত ভোট অতিক্রান্ত হওয়ার পর যখন বারংবার ভোটে কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা ঠিক সেই মুহূর্তেই পঞ্চায়েত ভোটে পদ বিক্রি নিয়ে দলের বিরুদ্ধেই সরব হয়েছেন বিধায়ক ইদ্রিস আলী।

 

তবে এই বিষয় নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নয় তৃণমূল। তাদের দাবি আর যাই হোক তৃণমূলে এসমস্ত হয় না। ওটা বিজেপির কালচার। তবে বিধায়ক ইদ্রিস আলীর এই বক্তব্য যে তৃণমূলের জন্য একেবারেই সমস্যা সৃষ্টি করবে না একেবারেই মিথ্যে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *