Pratarana

ধর্মীয় বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে দিনের পর দিন প্রতারণা

সোনার ঠাকুর বিক্রির লোভ দেখিয়ে গরীব মানুষের পকেট কাটা

নিজের জালেই ধরা পরল গোটা রেকেট এর মূল মাথা

পুলিশের এক চালই কুপোকাত দীর্ঘদিনের র‍্যাকেট

 

ঠিক যেন সিনেমা!

 

 

সুন্দরবনের মোট জনবসতির মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই পেশায় মৎস্যজীবী। মাছ চাষ করে খাওয়াই তাদের কাজ। আর এই মাছ সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করতে গিয়ে বহুবার বাঘের মুখে পড়তে হয়েছে বাড়ির পুরুষদের। সেই বিপদের হাত থেকে বাঁচতেই এক বিশেষ দেবতার পূজা অর্চনা করেন সুন্দরবনের মানুষ। মানুষের সেই ধর্মীয় বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে সুন্দরবনের জ্বাল বিস্তার করেছে একদল দুষ্কৃতী । তাদের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষকে সর্ব শান্ত করা

তারা জানত মানুষকে একমাত্র বোকা বানানোর সম্ভব ধর্ম ব্যবহার করলেই। সেই বিশ্বাসকে পুঁজি করেই সোশাল মিডিযায় মাধ্যমে সম্পর্ক তৈরি করে তাদের সোনার ঠাকুর বিক্রি করার প্রলোভন দেখানো হত। তাদের বিশ্বাস অর্জন করার জন্য ঠাকুরের হাত তাদেরকে দেওয়া হত যা সোনার হত। সেই হাত তারা কোনো সোনার দোকানে গিয়ে দেখিয়ে পরীক্ষা করালে তাদের আরও বিশ্বাস জন্মাতো। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে বেড়ে উঠছিল বিশ্বাস আর ক্রমাগত মানুষের চোখে এই দুষ্কৃতির দল পরিয়ে দিচ্ছিল কালো কাপড় সেই সুযোগ নিয়েই মোটা টাকায় সোনার ঠাকুর বিক্রির প্রলোভন দেওয়া হত। বিশ্বাস জন্মে যাওযায় নিজের সর্বস্ব দিয়ে অনেকেই এই ঠাকুর কিনতে রাজী হতেন। তারপর নির্দিষ্ট জায়গায় যখন তারা প্রতিমা নেওয়ার জন্য হাজির হতেন তখন তাদের সর্বস্ব লুঠ করে পালিয়ে যেত দুষ্কৃতিরা।

 

পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে ২০২১ সালের আগে এই ধরণের প্রতারণা চক্রের বাড়বাড়ন্ত দেখা দিয়েছিল এই এলাকায়। তখন পুলিশ অভিযান চালিয়ে এই চক্রে জড়িত থাকায় মোট ২৮ জনকে গ্রেফতার করে। তারপর এই প্রতারণা চক্র কিছুদিন বন্ধ থাকলেও সম্প্রতি ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।

Byte

 

তবে অবাক হয়ে যাবেন ঠিক কিভাবে রণকৌশল তৈরি করে খানিক সিনেমার কায়দায় জালে ধরা পড়লো দুষ্কৃতীরা ধরা পড়লো প্রধান অভিযুক্ত তালিমুল।

 

 

জানা যাচ্ছে এদিন পুলিশ প্রশাসন নিজেদের গ্রাহক বলে ফোন করে । তারপর নির্দিষ্ট জায়গায় ডাকা হয় তাদের বলা হয় তারা কিনতে চান সোনার মূর্তি। তারপর সেই স্থানে দুষ্কৃতীরা উপস্থিত হলেই একেবারে সুকৌশলে ধরা হয় তাদের।

 

 

 


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *