Aksathe

একসাথে না থেকেও বাবা কেরামত আলী ছিল সবচেয়ে কাছের।

বাবার এক ডাকেতেই চলে যেত সে মাকে রেখে।

সেদিনও বাবার ডাকেতেই কারখানায় গিয়েছিল রবিউল

হঠাৎ এক শব্দে বদলে গেল সব

0;00-0;26

কোথাও কিছু নেই!

পড়ে রইল শুধু কেরামত এবং তার ছেলে রবিউলের ঝলসানো দেহ

3;22-3:51

স্বামী সন্তান হারিয়ে সর্বস্বান্ত কেরামতের প্রথম স্ত্রী

31-44bon

দত্তপুকুর এর বাজি কারখানার বিস্ফোরণে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে যার নাম উঠে এসেছে সে কেরামত আলী বর্তমানে বাজি বিস্ফোরণে মৃতদের তালিকায় প্রথম তবে তার সাথে সাথেই যে মারা গিয়েছে সে আর কেউ নয় কেরামতের নিজের ছেলে রবিউল। বলাই বাহুল্য প্রথম পক্ষের প্রথম সন্তান।

3;55-4:25

কেরামত আলীর প্রথম পক্ষের স্ত্রী রুবি বিবি। প্রথম পক্ষের স্ত্রী এর রয়েছে এক ছেলে ও এক মেয়ে।সেই ছেলেই রবিউল। যদিও পরবর্তীতে দ্বিতীয় বিয়ে করেন কেরামত। তারপর কেটে গেছে দীর্ঘ কয়েক বছর। স্বামীর সঙ্গে সেভাবে সম্পর্ক না থাকলেও, ছেলে রবিউলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল কেরামতের। বাবা যখনই ডাকত তখনই রবিউল হাজির বাবার কাছে। বাবা দূরে থেকেও কাছে ছিল তার । মা-র থেকে হয়তো বাবাকে একটু বেশিই ভালবাসতেন রবিউল। তাই বাবার ডাকলেই ছুটে যেতেন, নানা বাধা-নিষেধ পেরিয়ে।

 

 

জানা যায় ঘটনার দিন কেরামত ই রবিউলকে ডেকে পাঠায় কারখানায় । সমস্ত কিছু ছেড়েছুড়ে রবিউল যায় বাবার কাছে। তখন ও মা জানতেন রবিউলকে বাধা দিয়ে কোন লাভ নেই । সেই শেষ দেখা মা রুবি বিবির সঙ্গে। হঠাৎই দশটা নাগাদ বিস্ফোরণের তীব্র শব্দ গিয়ে পৌঁছয়ে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে কেরামত আলীর প্রথম পক্ষের স্ত্রীর বাড়িতে। দুর্ঘটনার কথা শুনে ছুটে এসে ছেলেকে দেখে রীতিমতো আঁতকে ওঠেন মা। চারিদিকে ধ্বংসস্তূপ ,কারো শুধু খোঁজ মিলেছে হাতের অংশ তো কারো মিলেছে মাথা। তার মাঝেই বিস্ফোরণে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গিয়েছে তার স্বামী এবং ছেলে । হাসপাতালে নিয়ে গেলেও চিকিৎসকের শত চেষ্টার পরও বাঁচানো যায়নি বছর ২১ এর রবিউল আলীকে। বাবা কেরামত আলীর সঙ্গেই প্রাণ গেল ছেলে রবিউল আলীরও।

2:00-2;27

অন্যদিকে দাদা রবিউল কে হারিয়ে সর্বহারা হয়েছে বোন ও এখন মা-মেয়েতে কোথায় যাবে কি করবে তা ভেবেই হয়রান তারা। তারা।

 

Bon 0;8-0;21


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *