বিশ্বজুড়ে এক ভয়ংকর মহামারী আসছে! করোনার চেয়েও ২০ গুণ খতরনাক ও শক্তিশালী, নষ্ট করে দেবে গোটা শরীর
বিশ্বজুড়ে এক ভয়ংকর
মহামারী আসছে!
শীঘ্রই হানা দেবে মানব শরীরে!
বিকল করে দেবে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ!
করোনার চেয়েও
২০ গুণ খতরনাক ও শক্তিশালী!
একে দমন করা
এক কথায় দুঃসাধ্য ব্যাপার!
লকডাউন দিয়েও আটকানো যাবে
এই অতিমারি!
ভয়ে কাঁপছে বিজ্ঞানীরা!
কি নাম এই ভাইরাসটির?
কেন এত ভয়ংকর?
কোভিড, এই নামটি শুনলে আতঙ্কিত হবেন না এমন খুব কম মানুষই আছেন। লকডাউন থেকে লোকের অর্থাভাব। অগণিত মৃত্যু থেকে চূড়ান্ত অব্যবস্থা। সেই সময়টি ছিল মানুষের কাছে সত্যি দুঃস্বপ্ন। তবে, এবারে আরও বড় বিপদের কথা শোনালো স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই, ব্রিটেনের এক স্বাস্থ্য আধিকারিক এই বিষয়ে দিয়েছেন বড় সাবধানবাণী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ( হু)ও এই বিষয়ে দিয়েছে কড়া বার্তা। নতুন এই রোগটির নাম হল এক্স (x) । এই ডিজিজ এক্স বদলে দিতে পারে বর্তমান সময়ের সমস্ত চালচিত্র।
‘কাটে বিংগহাম’ নামের ওই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আরও বলেছেন, “১৯১৯-২০ সাল নাগাদ স্প্যানিশ ফ্লু যেমন মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল, আসন্ন এই অতিমারি প্রায় সেইরকম প্রভাবই ফেলবে।” যদিও বা এই বিষয়ে আগে থেকেই সর্তকতা জারি করেছে ‘হু’ও। তারা জানায় করোনার থেকেও ভয়ংকর হতে পারে এই রোগ। ‘এক্স’ নামের এই রোগ ছড়াবে দ্রুতগতিতে। সংক্রমণের নিরিখে এটি হার মানাবে কোভিডকেও। এই প্রসঙ্গে হু প্রধান ‘ট্রেডস অধানম গেব্রেয়েসুস’ বলেন “কোভিডের থেকেও মারাত্মক সব ভাইরাস মোকাবিলার জন্য এবার প্রস্তুতি নেওয়া উচিত বিশ্বের। কোভিড থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে বিশ্বকে আরও মারাত্মক সব রোগ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।”
এই নিয়ে, আগামী দিনে কি কি রোগ অতিমারী হিসেবে দেখা দিতে পারে। সেই বিষয়ে একটি লিস্টও তৈরি করেছে বিজ্ঞানীরা। সেই লিস্টে রয়েছে – ইবোলা, সার্স, জিকা, মার্বার্গ ভাইরাস, ক্রিমিয়ান-কঙ্গো হেমারেজিক ফিভার, লাসা ফিভার, নিপা, রিফট ভ্যালি ফিভার, মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোমের মতো রোগ। এই তালিকাতেই ছিল ‘ডিজিজ এক্স’ও!
এর আগেই, হু প্রধান টেড্রস অধানম গেব্রেয়েসুস সাবধান করে বলেছিলেন, কোভিড-১৯-এর সমাপ্তি কোনও খারাপ স্বপ্নের শেষ নয় যে, ঘুম ভেঙে গেলেই সেটা শেষ হয়ে যাবে, আর আমরা আগের মতো উদাসীন হয়ে চলব। ওই দিন আর নেই। এখনও কোভিডের থেকেও মারাত্মক সব রোগজীবাণুর উত্থানের আশঙ্কা রয়েছে। কোভিডের নতুন কোনও রূপভেদ উদ্ভূত হতেই পারে। কোভিডের থেকেও আরও মারাত্মক মারণক্ষমতা সম্পন্ন রোগজীবাণু উদ্ভূত হলে মানুষের জীবনযাপন পদ্ধতিও বদলে নিতে হবে।
Leave a Reply