ভারতও পারল না এবার আমেরিকা তৈরি করে ফেলল
বিশ্বের ২য় বৃহত্তম মন্দির! যা নির্মাণে লেগেছে ১২ বছর
ভারতও পারল না
এবার আমেরিকা তৈরি করে ফেলল
বিশ্বের ২য় বৃহত্তম মন্দির!
যা নির্মাণে লেগেছে ১২ বছর!
বিশ্বের সমস্ত পবিত্র জিনিস
রাখা হয়েছে মন্দিরটিতে!
মন্দিরটির আদল দেখলে
ভিমড়ি খাবেন!
কি নেই?
সাদা চকচকে শ্বেত পাথরের কারুকার্য
বিশাল বড় বড় জায়গা!
কোটি কোটি টাকার উপর দাঁড়িয়ে
বিলেতি মন্দিরটি!
যার কাছে চুনোপুঁটি
রাম মন্দির থেকে মায়াপুর
বিশ্বের প্রাচীনতম ধর্ম সনাতন ধর্ম। এই ধর্ম ছড়িয়ে রয়েছে বিশ্বের নানান প্রান্তরে। কথায় বলা হয়, এই ধর্মের সংস্কৃতি সর্বাপেক্ষা উত্তম। তাইতো গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছে এই ধর্ম। আর এবারে আমেরিকার বুকেও ফের একবার স্থাপন হল এই ধর্মের মন্দির।
দীর্ঘ ১২ বছর সময় ধরে চলেছিল এই মন্দিরের নির্মান কাজ। আগামী মাসে অর্থাৎ অক্টোবরের ৮ তারিখেই এই মন্দির খুলে যাবে সর্বসাধারণের উদ্দেশ্য। নিউজার্সিতে টাইম স্কোয়ারের ৯০ কিমি দক্ষিণে তৈরি হয়েছে এই মন্দির। এই মন্দির পরিচিত ‘বিএপিএস স্বামীনারায়ণ অক্ষরধাম’ নামে। বিরাট এই মন্দির তৈরি হয়েছে ১৮৩ একর জমির উপর। নিউ জার্সির রবিন্সভিল টাউনশিপে দাঁড়িয়ে থাকা এই মন্দিরকে বলা হচ্ছে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মন্দির৷ কারণ, প্রথম স্থানে রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম মন্দির কম্বোডিয়ার আঙ্কোরভাট৷ এই মন্দিরটি অবস্থিত ৫০০ একর জমি জুড়ে। ইতিমধ্যেই বিস্তৃত ঐতিহাসিক এই স্মারকটি ইউনেস্কো-র হেরিটেজ সাইটের তালিকায় স্থান পেয়েছে৷ এ ছাড়াও দিল্লিতে অবস্থিত অক্ষরধাম মন্দিরটিও নির্মিত হয়েছে ১০০ একরের বেশি জমির উপর৷
তবে, এই মন্দিরটি আলাদা সবকিছু থেকে। আমেরিকার এই স্বামীনারায়ণ মন্দিরটি শুধু আকৃতিতেই নয় বৈশিষ্ট্যর দিক থেকেও রয়েছে এর বিশেষত্ব। নকশা থেকে সাজসজ্জা সবেতেই রয়েছে বিশেষত্ব। স্থাপত্যের নকশা করা হয়েছে সনাতনী রীতিনীতি অনুসরণ করে৷ ভারতীয় সঙ্গীতকলার বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের ১০ হাজারের বেশি ভাস্কর্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সেখানে।
মন্দিরটি নির্মাণের জন্য দরকার হয়েছ চুনাপাথর, গ্রানাইট, গোলাপি বেলেপাথর, মার্বেল মিলিয়ে প্রায় ২ মিলিয়ন ঘন ফুট পাথর। ভারত, তুরস্ক, গ্রিস, ইতালি, চিন-সহ বিশ্বের নানা দেশ থেকে পাথর নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেখানে৷ ভারতীয় রীতি অনুযায়ী বিশেষ ধাপকুয়োও তৈরি করা হয়েছে এই মন্দিরে৷ নাম দেওয়া হয়েছে ‘ব্রহ্ম কুণ্ড’৷ বিশেষ এই ব্রহ্ম কুণ্ড এক পবিত্র স্থান। বিশ্বের তিন শতাধিক পুণ্যস্থান থেকে জল সংগ্রহ করে তৈরি করা হয় এই কুণ্ডকে ৷
Leave a Reply