পৃথিবীতে আজও আছে শ্রী কৃষ্ণের ১টি প্রিয় গাছ! যা স্বর্গের শ্রেষ্ঠ গাছ, কি নাম গাছটির?

পৃথিবীতে আজও আছে শ্রী কৃষ্ণের ১টি প্রিয় গাছ! যা স্বর্গের শ্রেষ্ঠ গাছ, কি নাম গাছটির?

পৃথিবীতে আজও আছে
শ্রী কৃষ্ণের ১টি প্রিয় গাছ!
যা স্বর্গের শ্রেষ্ঠ গাছ!

এই গাছ বাড়িতে লাগালেই
দূর হয় অভাব অনটন, রোগ ব্যাধি!

পকেটে আসে অঢেল টাকা!
বাড়িতে আসে সুখ সমৃদ্ধি!
এই গাছে বাস করে স্বয়ং মা লক্ষ্মী!

কি নাম গাছটির?
কোথায় পাবেন এই গাছটি?
কিভাবে লাগাবেন ?

হিন্দু ধর্মে রয়েছে নানান রীতিনীতি। রয়েছে নানান বিশ্বাস। তেমনই এই হিন্দু ধর্মের পূজার্চনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল ফুল। যেকোনো শুভ কাজে ব্যবহৃত হয় ফুল। ফুলকে মানা হয় পুণ্যের প্রতীক। তেমনই এক ফুলের সন্ধান আজ আমরা দেব। এই ফুল ছিল স্বয়ং ভগবান কৃষ্ণের প্রিয়। যার উৎপত্তি ঘটে স্বর্গতে। এই ফুলটি আমাদের পরিচিত শিউলি ফুল। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, একে কল্পবৃক্ষ বা হরসিঙ্গার গাছও বলা হয়। ধনসম্পদ সমৃদ্ধির প্রতীক বলা হয় এই ফুলকে।

এই ফুলের স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে আসার পেছনেও রয়েছে অলৌকিক কাহিনী। জানা যায়, ভগবান কৃষ্ণের প্রিয় ফুল ছিল এই শিউলি। পুরাণ মতে, একবার ভগবান কৃষ্ণের স্ত্রী সত্যভামা তার কাছে শিউলি গাছের আবদার করেন। আসলে নারদ থেকে প্রাপ্ত সব শিউলি ফুল কৃষ্ণ আরেক স্ত্রী রুক্মিণীকে দিয়ে দেন। সেই রাগেই এই আবদার করেন সত্যভামা। সেই মুহূর্ত কৃষ্ণ তার দূতের মাধ্যমে ইন্দ্রকে বার্তা পাঠান যে, গাছটি সত্যভামা দেবীর বাগানে প্রতিষ্ঠা করতে। কিন্তু ইন্দ্র তা দিতে অস্বীকার করে। এই খবর পেয়েই ক্রুদ্ধ কৃষ্ণ পরাজিত করেন ইন্দ্রকে। ছিনিয়ে আনেন শিউলি গাছকে। এরপর সেই গাছ রোপণ করেন পৃথিবীর মাটিতে। এভাবেই তার হাত ধরে মর্তে আগমন ঘটে শিউলি গাছের।

এছাড়াও, মা লক্ষ্মীর সাথেও জড়িয়ে রয়েছে এই ফুল। জানা যায়, সমুদ্র মন্থনের সময় মা লক্ষ্মীর সাথেই মন্থন হয়েছিল এই শিউলি গাছের। উৎপত্তিস্থল একই হওয়ায় দেবী লক্ষ্মীরও এই ফুল খুব পছন্দের। মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পেতে বাড়িতে লাগাতে পারেন এই গাছ। সুখ – শান্তি থেকে ধন সম্পদ বৃদ্ধি পাবে সবকিছুই।

মা দূর্গার সঙ্গেও যোগ রয়েছে এই ফুলের। পবিত্রতার প্রতীক এই ফুল বাড়িতে লাগালে সঞ্চার ঘটে ইতিবাচক শক্তির। শাস্ত্র মতে, বাড়িতে সপ্তাহের সোমবার বা বৃহস্পতিবার উত্তর বা পূর্ব দিকে এই গাছ লাগালে মেলে সুফল। গৃহে প্রবেশ ঘটে মা লক্ষ্মীর। তার কৃপাদৃষ্টি পরে সংসারের ওপর। কেটে যায় সকল অভাব – অনটন, দুঃখ – দুর্দশা।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *