ভারত মাতার দিকে যখনই কোন শত্রু দেশ চোখ মেলে তাকিয়েছে তখনই তার চোখ উপরে নিয়েছেন ভারত মাতার বীর সন্তানরা। কখনও গড়ুড় রূপে তো কখনও কোবরা হয়ে আবার কখনও মার্কোসরূপে স্থলপথ,জলপথ এবং আকাশ পথে সারাক্ষণ শত্রু দমনে রক্ষা কবজ হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর বীর জাওয়ানরা। তাঁদের জন্যই বারবার রক্ষা পেয়েছে আমাদের দেশের তিরাঙ্গার গৌরব। ভারতীয় সেনা জাওয়ানরা কঠিন যুদ্ধ জয় করেন বলেই প্রতি রাতে নিশ্চিন্তে দু চোখের পাতা এক করতে পারেন গোটা ভারতবাসী। আসুন জেনে নেওয়া যাক ভারতীয় সেনাবাহিনীর এমনই বেশ কিছু শক্তিশালী ফোর্স-এর তালিকা।
মার্কোস : এটি একটি বিশেষ বাহিনীর ইউনিট। যা মেরিন কমান্ডো নামে পরিচিত। ১৯৮৭ সালে ভারতীয় নৌবাহিনী সরাসরি সন্ত্রাস দমনের পাশাপাশি উভচর যুদ্ধ, কর্ম, এবং বিশেষ পুনর্নবীকরণের জন্য উত্থাপিত হয়েছিল। গোটা বিশ্বে মার্কোসের প্রশিক্ষণ সবচেয়ে কঠোর হয়ে থাকে। ছদ্মবেশ ধারণের জন্য এঁরা ‘দাড়িওয়ালা ফৌজ’ নামেও পরিচিত। যেকোনো ধরনের ভূখণ্ডে অপারেশন চালাতেই মারকোসরা ছদ্মবেশ ধারণ করেন। তবে এঁরা মূলত সমুদ্র অভিযানেই পারদর্শী।
প্যারা কমান্ডোস : প্যারা কমান্ডোরা ভারতীয় সেনাবাহিনীর উচ্চ প্রশিক্ষিত প্যারাসুট রেজিমেন্টের অংশ এবং ভারতের বিশেষ বাহিনীর সবচেয়ে বড় অংশ। ১৯৬৬ সালে এই বাহিনী গঠন করা হয়েছিল। ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধের সময় ভারতীয় এই সেনাবাহিনী বিরাট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্যারাশুট ইউনিটগুলি বিশ্বের প্রাচীনতম বায়ুবাহিত ইউনিটগুলির মধ্যে একটি।
ঘাতক ফোর্স : ব্যাটেলিয়নের সামনে থেকে বর্শাঘাত করার জন্য বিশেষ দক্ষতার পরিচয় দেয় এই ঘাতক ফোর্স। ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রত্যেক পদাতিক ব্যাটালিয়নে একটি প্লাটুন থাকে। শুধুমাত্র শারীরিকভাবে ফিট এবং অনুপ্রাণিত সৈন্যরাই ঘটক প্লাটুনের দিকে যায়। এই ঘাতক সৈন্যরা যে কোনো সময়, যে কোনো পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সক্ষম।
কোবরা : এই বাহিনীর পুরো নাম কমান্ডো ব্যাটালিয়ন ফর রেজোলিউট অ্যাকশন। এরা আসলে সিআরপিএফ (সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স) এর একটি বিশেষ ইউনিট৷ ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ভারতে মাওবাদী দমনে গুরুত্বপূর্ণ পালন করে চলেছে এই বাহিনী। এরা একচেটিয়াভাবে গেরিলা যুদ্ধে প্রশিক্ষিত।
ফোর্স ওয়ান: ২০০৮ সালে মুম্বইয়ের ২৬/১১ সন্ত্রাসী হামলার পর ২০১০ সালে এই ফোর্স ওয়ান গঠন করা হয়েছিল। মুম্বই শহরকে সন্ত্রাসী হামলা থেকে রক্ষা করার জন্যই এই ফোর্স গঠন করা হয়েছিল। ১৫ মিনিটেরও কম সময়ে সন্ত্রাস হামলার মোকাবিলা করতে সক্ষম এই বাহিনী৷
জাতীয় নিরাপত্তারক্ষী: ভারতের প্রধান সন্ত্রাসবিরোধী এই বাহিনী ভিআইপিদের নিরাপত্তায় মুড়ে রাখে। সন্ত্রাসী হুমকি মোকাবিলা করার পাশাপাশি নাশকতা বিরোধী চেক পরিচালনা করেন এই ভারতীয় সেনাবাহিনী ৷
গড়ুড় কমান্ডো ফোর্স: এটি ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিশেষ বাহিনী ইউনিট। ২০০৪ সালে এই বাহিনী গঠন করা হয়েছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অন্যান্য সমস্ত প্রশিক্ষণ গুলির তুলনায় গড়ুড় হওয়ার প্রশিক্ষণটি সবচেয়ে দীর্ঘতম হয়ে থাকে। একজন প্রশিক্ষণার্থীর সম্পূর্ণরূপে কর্মক্ষম গড়ুড় হয়ে উঠতে সময় লাগে প্রায় তিন বছর।
Leave a Reply