সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত এখনকার দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেট অত্যন্ত অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। ইন্টারনেট ছাড়া এককথায় অচল সকলেই। অফিস কিংবা ব্যবসার কাজে তো বটেই এছাড়া স্কুল কলেজ পড়ুয়াদের পড়াশোনার কাজেও ইন্টারনেট প্রয়োজনীয়। এছাড়াও অবসর যাপন কিংবা বিনোদনের ক্ষেত্রেও ইন্টারনেট ছাড়া চলে না এক মুহূর্ত। তাই ৮ থেকে ৮০ সকলেই এখন ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছেন এই ইন্টারনেট পরিষেবার সাথে।
তবে জানলে অবাক হবেন বিশ্বে এমন অনেক দেশ রয়েছে যেখানে ইন্টারনেটের গতিবেগ আলোর থেকেও দ্রুত হয়ে থাকে। জানেন তালিকায় কোন দেশের নাম রয়েছে সবার প্রথমে? এই তালিকায় ভারতের স্থানই বা কত নাম্বারে?
পৃথিবীতে এমন ১০টি দেশ আছে যেখানে ইন্টারনেটের পরিষেবা অত্যন্ত উন্নত। এই সমস্ত দেশগুলিতে ইন্টারনেটের গতিবেগও হয় রীতিমতো অবাক করে দেওয়ার মত।এই তালিকার একেবারে পয়লা নম্বরে যে দেশ রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। এখানকার ইন্টারনেটের গতিবেগ হলো 238.06 Mbps। তারপরেই দ্বিতীয় স্থানে জ্বলজ্বল করছে দক্ষিণ কোরিয়ার নাম। প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে ব্যাপক উন্নত এই দেশে ইন্টারনেট স্পীড হলো 202.61 Mbps।
মোবাইল ইন্টারনেট স্পিডের জন্য গোটা বিশ্বে তৃতীয় স্থানে রয়েছে নরওয়ে। এখানকার ইন্টারনেট স্পিড 177.72 Mbps কেও বেশি ছাপিয়ে যায়। বিশ্ববাসীকে অবাক করে দিয়ে কাতারে ইন্টারনেট স্পিড স্পিড হল 172.18 Mbps। যা গোটা বিশ্বের নিরিখে চতুর্থ স্থান দখল করেছে। এরপর পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারতের প্রতিবেশী দেশ চীন। এইদেশের ইন্টারনেটের স্পিড হলো 165.38 Mbps। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে জনপ্রিয় দেশ কুয়েত। এখানকার ইন্টারনেট স্পিড হলো 157.18Mbps।
পিছিয়ে নেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোও। তাই এই তালিকায় সপ্তম স্থান অধিকার করেছে মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব।এই দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের স্পিড 155.97 Mbps। এই তালিকার অষ্টম স্থানে রয়েছে সাইপ্রাস। এই দেশের মানুষ 144.64 Mbps স্পিডে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। একেবারে শেষে অর্থাৎ নবম এবং দশম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে বুলগেরিয়া আর সুইজারল্যান্ড। সেদিক এই তালিকায় সেরা দশে নেই ভারত। বর্তমানে ৫৯ তম স্থান থেকে এগিয়ে হয়েছে ৫৬ তম স্থানে জায়গা পেয়েছে ভারত। তাই এদিক কিন্তু বেশ পিছিয়েই রয়েছে আমাদের দেশ।
Leave a Reply