পৃথিবীতে স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক মানেই অত্যন্ত পবিত্র একটি বন্ধন। যদিও এখনকার দিনে বৈবাহিক সম্পর্কগুলোই অত্যন্ত ক্ষণস্থায়ী। সাধারণ মানুষ হোক কিংবা সেলিব্রেটি প্রত্যেকের জীবনেই এখন ঘরেই এখন সংসার ভাঙার ছবি। প্রসঙ্গত একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে এখনকার দিনের বেশিরভাগ দম্পতিদের মধ্যেই সমস্যার সূত্রপাত ঘটে একই কারণে। তা হলো তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশ, অর্থাৎপরকীয়া।
এখনকার দিনের বেশিরভাগ দাম্পত্য জীবন নষ্টের মূল কারণ এটাই। অনেক সময় দেখা যায় বিয়ের পরে অধিকাংশ পুরুষ অন্য নারীর প্রতি আকর্ষিত হয় একই ঘটনা দেখা যায় বিবাহিত স্ত্রীদের ক্ষেত্রেও। যার ফলে বিয়েটা এখনকার দিনে অনেকের কাছেই একটা ছেলে খেলায় পরিণত হয়েছে। তাই এই বিচ্ছেদ যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তি পেতেই এক অদ্ভুত প্রথার প্রচলন রয়েছে বেশকিছু উপজাতির মধ্যে। দীর্ঘদিন ধরে একই মানুষের সাথে জীবন কাটাতে কাটাতে অনেক সময় হাঁপিয়ে ওঠে অনেক নারী-পুরুষ। তাই সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেই তারা বেছে নেন স্ত্রী-আদল বদলের প্রথা।
শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও বাস্তবেই স্ত্রী অদলবদল করেন বিশ্বের কয়েকটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির মানুষজন। তাঁদের প্রচলিত বিশ্বাস এই রীতির মাধ্যমে পরকীয়া রোধ হয় এমনকি নারী-পুরুষের মধ্যে বন্ধুত্ব হওয়ার পাশাপাশি ঘটে সামাজিক মেলবন্ধন। যার ফলে সম্পর্ক আরও মজবুত হয়।
প্রসঙ্গত এমন প্রথা শুধু ভারতবর্ষের ব্রোকপা উপজাতিদের মধ্যেই নয় প্রচলিত রয়েছে বিশ্বের আরও একাধিক অঞ্চলে। যারা এই প্রথা মেনে অদলবদল করেন স্ত্রী। তাঁরা বিশ্বাস করেন বিবাহিত দম্পতিদের পরকীয়া সমস্যার সমাধান করে এই রীতি। শুধু তাই নয় এই প্রথা মেনে যারা স্ত্রী অদলবদল করেন তাঁরা অবলীলায় একাধিক সঙ্গীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কেও লিপ্ত হতে পারেন। আর এটা নাকি তাদের কাছে খুবই সাধারণ একটি বিষয়। তবে শুধু পুরুষরাই নন এই একই প্রথার মাধ্যমে নারীরাও তাদের পছন্দের পুরুষ বেছে নিতে পারেন। আসুন জানা যাক এমনই কয়েকটি উপজাতি এবং তাঁদের বাসস্থান সম্পর্কে।
ভারতের অতন্দ্র প্রহরী হিমালয়ের পাদদেশে অর্থাৎ উত্তর ভারতে সিন্ধু নদীর তীরে বসবাস করেনর এই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি। এরাই নাকি আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের বীর সৈন্যদের বংশধর বলে পরিচিত। দুনিয়া তাঁদের ব্রোকপা নামেই চেনে। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সুন্দরীদের কাছে এই উপজাতির পুরুষদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আর এই সম্প্রদায়ের পুরুষরাও পুরনো প্রথা এবংসংস্কৃতি মেনে স্ত্রী বদল করেন। এদের মোট জনসংখ্যায় ৩ হাজার জন।
এই উপজাতিদের সংস্কৃতি অনেক আলাদা। সভ্য সমাজের কোনো নিয়মেরই এরা তোয়াক্কা করেন না।তবে এরা একে অপরের প্রতি খুবই বন্ধুসুলভ এবং স্নেহশীল। ব্রোকপারা ছাড়াও স্ত্রী অদলবদলের এই রীতি মেনে চলেন এস্কিমো,হিম্বা উপজাতি,ওডাবি গোত্র, চেওয়া গোত্রের উপজাতি।
Leave a Reply