বর্তমানে ভারতবর্ষের সবচেয়ে বড় টেলিকম সংস্থা হল মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স জিও। এই মুহূর্তে যাকে টেক্কা দেওয়ার মতো টেলিকম সংস্থা আর দুটো নেই এদেশে। এখন প্রত্যেক দেশবাসীর হাতে হাতে স্মার্টফোন, আর প্রত্যেকের কাছেই রয়েছে জিওর সিম। এছাড়া এখন প্রায় অধিকাংশ বাড়িতেই রয়েছে জিও ফাইবারের ব্রডব্যান্ড পরিষেবা। জিও-র মতো টেলিকম সংস্থার হাত ধরে বিগত কয়েক বছরে বেশ ফুলে ফেঁপে উঠেছে রিলায়েন্স গোষ্ঠীর কর্ণধার মুকেশ আম্বানির ব্যবসা।
এরই মধ্যে খবর আগামীদিনে মুকেশ আম্বানির ব্যবসায় থাবা বসাতে আসছে বিশ্বের এক নম্বর ধনকুবের এলন মাস্কের টেলিকম সংস্থা স্টারলিংক। যা মূলত একটি ইন্টারনেট প্রদানকারী সংস্থা। স্টারলিংক বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কমার্শিয়াল ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করে থাকে। প্রসঙ্গত এলন মাস্কের এই সংস্থা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করে থাকে।
তবে এই টেলিকম সংস্থার ইন্টারনেট পরিষেবা ক্রয় করা একজন উপভোক্তার পক্ষে অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তাই এই পরিষেবার দ্বারা ভারতীয়রা কতখানি উপকৃত হবেন তা নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট সন্দেহ। কেননা তারা যখন ২০২১ সালে প্রি বুকিং শুরু করেছিল তখন তাদের তরফ থেকে কানেকশন প্রতি ধার্য করা হয়েছিল ৯৯ মার্কিন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৮ হাজার টাকার বেশি। তাছাড়া সরঞ্জামের খরচ ছিল আলাদা।
যদিও বর্তমান পরিস্থিতিতে এক্ষেত্রে আসতে পারে বিরাট পরিবর্তন। কারণ এখন এই প্রতিযোগিতায় সামিল হয়েছে ওয়ানওয়েব এবং জিওর মত দুটি সংস্থা। অন্যদিকে এলন মাস্কের এই সংস্থার লাইসেন্স পাওয়ার খবর চাউর হতেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আর যাই হোক এলন মাস্ক ভারতে স্টারলিংকের পরিষেবা প্রদানের জন্য লাইসেন্স পেলে অন্যান্য সংস্থাগুলির দাপট কমে যাবে।
তবে একথা ঠিক বিশ্বের যে জায়গাতেই এই সংস্থার ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছেছে সেখানেই যথেষ্ট সুনাম রয়েছে এই সংস্থাটির। এবার ভারতেও খুব তাড়াতাড়ি ব্যবসা করতে আসছে এই সংস্থা। দিন কয়েকের মধ্যেই ভারতবর্ষে লাইসেন্স হাতে পাওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে স্টার লিংকের।
সূত্রের খবর paceX সংস্থাটির ভারতে স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড পরিষেবা প্রদান করার জন্য প্রয়োজন গ্লোবাল মোবাইল পার্সোনাল কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট সার্ভিস লাইসেন্স। যা ইতিমধ্যেই পেয়ে গিয়েছে ওয়ানওয়েব এবং জিও স্যাটেলাইট কমিউনিকেশনস লিমিটেড। তবে মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী খবর, চলতি মাসের শেষের দিকেই এই লাইসেন্স পাওয়ার জন্য উচ্চ পর্যায়ের একটি আলোচনায় বসবে স্টারলিংক। সেখানেই সম্মতি মিললে তবে সংস্থাটি লাইসেন্স পেয়ে যাবে।
Leave a Reply