বার্থ সার্টিফিকেট

আগামী পয়লা অক্টোবর থেকে আসছে বেশ কিছু নতুন নিয়ম। এই নিয়ম অনুযায়ী এবার থেকে গুরুত্ব বাড়তে চলেছে বার্থ সার্টিফিকেটের। এই নিয়মের ফলে এবার থেকে যে কোন নাগরিকের কাছেই তার বার্থ সার্টিফিকেটটিই  হয়ে উঠবে একমাত্র প্রধান প্রমাণপত্র। তাই সার্টিফিকেট না থাকলে এবার থেকে একাধিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবেন দেশবাসী। যার ফলে এবার থেকে আধার কার্ড এবং ভোটার কার্ডের থেকেও বেশী গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে জন্ম শংসাপত্র।

তাই সরকারি হোক কিংবা বেসরকারি যে কোনও ক্ষেত্রেই এবার থেকে একমাত্র গ্রহণযোগ্য হবে বার্থ সার্টিফিকেট। সম্প্রতি এমনই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে।

বার্থ সার্টিফিকেট না থাকলে মিলবে না কোন  পরিষেবা?

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি থেকে সরকারি চাকরির নিয়োগ কিংবা বিয়ের রেজিস্ট্রির আবেদন, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভোটার তালিকা তৈরি থেকে শুরু করে আধার কার্ডের আবেদন যে কোনও সরকারি সুবিধা পেতেই এবার থেকে এই নথি দেখানো আবশ্যক হতে চলেছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সব ক্ষেত্রেই এবার থেকে বার্থ সার্টিফিকেটকেই একমাত্র নথি হিসেবে গণ্য করা হবে। সূত্রের খবর, আগামী ১ অক্টোবর থেকেই জন্ম ও মৃত্যু সংক্রান্ত জাতীয় ও রাজ্যস্তরে তথ্য ভাণ্ডার তৈরির করার কাজ কার্যকর হবে।

সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘জন্ম এবং মৃত্যু নিবন্ধন (সংশোধন) আইন, ২০২৩-এর ধারা প্রয়োগ করে কেন্দ্রীয় সরকার ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর তারিখ থেকে এই নিয়ম কার্যকর করছে।’

কী ভাবে বার্থ সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হয়?

নিয়ম অনুযায়ী যে কোনো  সদ্যোজাতের জন্মের ১৫-২১ দিনের মধ্যেই বার্থ সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হয়। শহরের মিউনিসিপ্যালিটি বা কর্পোরেশন থেকে এই শংসাপত্র সংগ্রহ করা যায়। আর গ্রাম অঞ্চলের ক্ষেত্রে, পঞ্চায়েত থেকে এই সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা যায়। তবে বার্থ সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য সর্বনিম্ন ২০ টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হয় সরকারকে।

গত বাদল অধিবেশনেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই বিলটি পাশ করানো হয়েছে। যা আগামী মাস থেকেই  কার্যকর হতে চলেছে। এই সংশোধনীর ফলে দেশবাসীর জন্ম-মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য আরও নিখুঁত হতে চলেছে ৷ যার ফলে সরকারি কাজকর্মে আরও স্বচ্ছতা আসবে। লোকসভায় বিলটি পেশ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছিলেন, ‘জন্ম-মৃত্যু নথিভুক্তিকরণ আইন তৈরির পর  এতদিন কোনও সংশোধন করা হয়নি ৷ তবে  সামাজিক এবং প্রযুক্তিগত বদলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আইনটিকে সাধারণ মানুষের আরও উপযোগী করে তোলার জন্যই প্রয়োজন ছিল সংশোধনী বিল।’


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *