বেরিয়ে এলো পৃথিবীর সবথেকে ধনী মহিলার নাম! যার কাছে চুনোপুঁটি বিল গেটস থেকে আম্বানি, অসৎ পথে বড়লোক এই নারী
বেরিয়ে এলো পৃথিবীর
সবথেকে ধনী মহিলার নাম!
যার কাছে চুনোপুঁটি
বিল গেটস থেকে *এলন মাস্ক*!
এই মহিলার সম্পত্তির
পরিমাণ বলতে গেলেই দাঁত ভেঙে যাবে!
তবে সততার দিক থেকে
ডাহা ফেইল এই নারী!
অসৎ পথে কামিয়েছেন
অগাদ টাকা!
তার প্রতিটা সম্পত্তির পিছনে
রয়েছে কালো সত্য !
কে এই নারী?
কোথায় থাকেন?
এই দুনিয়ায় ধনকুবেরদের সংখা নেহাত কম নয়। আমাদের দেশ থেকে শুরু করে বিদেশ সর্বত্র রয়েছেন একাধিক ধনকুবের। প্রতিমুহূর্তেই তারা টেক্কা দেন একে অপরকে। এই মুহূর্তে পৃথীবির ১ নম্বর ধনকুবের হলেন ইলন মাস্ক। যার সম্পত্তির পরিমান ২২৯ বিলিয়ন ডলার। এছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে ‘জেফ বেজোস’, ‘বিল গেটস’, ‘মার্ক জাকারবার্গরা’। রয়েছে আমাদের দেশের ‘মুকেশ আম্বানি’, ‘গৌতম আদানিরাও’।
কিন্তু, জানেন কি! এরা কেউই পৃথিবীর সর্বকালের সেরা ধনী নয়। পৃথিবীর সর্বকালের সেরা ধনী হলেন এক মহিলা। তিনি হলেন ‘উ জেতিয়ান’। এই জেতিয়ান ছিলেন চিনের তাং রাজবংশের সম্রাজ্ঞী। তার মোট সম্পত্তির পরিমান ছিল ১৬ ট্রিলিয়ান মার্কিন ডলার। যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৪ কোটি টাকার সমান। অর্থাৎ আজকের মূল্যে দাড়িয়ে তার সম্পত্তির পরিমান হবে বিপুল। এই সম্পত্তি ছাড়িয়ে যাবে যে কোন ধনকুবেরের সম্পত্তিকে। জানা যায়, ৬৯০ খ্রিস্টাব্দের ১৬ই অক্টোবর সিংহাসনে বসেন তাং রাজবংশের মেয়ে ‘উ জেতিয়ান’। ক্ষমতা হাতে পেয়েই সীমানা বিস্তারে মন দেন তিনি। তার আমলেই প্রথম বাড়তে থাকে চিনের সাম্রাজ্য। এছাড়াও, এই রানি চা আর রেশমের ব্যাবসাও বৃদ্ধি করেন।
তবে, রানি হিসেবে তার রয়েছে এক কালো ইতিহাস। তিনি ছিলেন একজন *হৃদয়হীন শাসক*। *ক্ষমতার লালসায় নিজের সন্তানকেও পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেন*। এছাড়াও স্বৈরাচারীর প্রতীক ছিলেন এই রানি। ছিল নিজস্ব গুপ্ত বাহিনী। কেউ বিরুদ্ধ মত পোষণ করলেই তাকে সরিয়ে দিতেন দুনিয়া থেকে।
তবে অনেক ঐতিহাসিকের মতে, “উ” ছিলেন উচ্চশিক্ষিতা। তাই তার বুদ্ধির কাছে হার মানতে হত সকলকে। ৭০৫ খ্রিস্টাব্দের ২১ ফেব্রুয়ারি মৃত্যু হয় এই চিনা শাসকের। কুয়োংলিং এলকায় সমধিস্থ করা হয় তাকে। জানা যায়, মৃত্যুর পর আর বেশিদিন টেকেনি তার সাম্রাজ্য। খড়ের ঘরের মতন উড়ে যায় তার সাম্রাজ্য। এছাড়াও চিনের এই রানিকে নিয়ে রয়েছে নানান রহস্য। ইতিমধ্যে জেতিয়ানের জীবন নিয়ে তৈরি হয়েছে একাধিক ছবি ও টিভি শো। যার মধ্যে অন্যতম হল ‘দ্য এমপ্রেস অফ চায়না’।
Leave a Reply