স্যান্ডউইচ, ম্যাগি, পিৎজা হোক কিংবা পাস্তা যে-কোনো মুখরোচক খাবার খাওয়ার সময় মুখে চিজ পড়লে স্বাদটা যেন দ্বিগুণ বেড়ে যায়। বিদেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে ভারতবর্ষে চিজ ঢুকে পড়েছে বহুদিন। তাই এখন আট থেকে আশি কম বেশি সকলেই চিজ খেতে দারুন পছন্দ করেন।
এমনিতে চিজ দামি হলেও এবার বিশ্বের সবথেকে দামি চিজ হিসেবে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা করে নিয়েছে স্পেনের ক্যাব্রেলেস ব্লু চিজ। যার দামে কেনা যাবে সোনার গয়না কিংবা দামি ফ্ল্যাট । হাতে তৈরি বিশ্বের এই দামি চিজের দাম শুনলে চোখ কপালে উঠবে যে কারও।সম্প্রতি স্পেনের এই ব্লু চিজ নিলামে উঠেছিল। সেই চিজের দাম দিয়েই কেনা যাবে
প্রত্যেক বছর স্পেনের লাস অ্যারোনাস ডি ক্যাবরেলেস নামের একটি জায়গায় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সেখানে নিলামে ওঠে হাতে তৈরি সেরা চিজ।আগস্ট মাসেই সেখানে মাত্র ২.২ কেজি চিজ নিলামে ওঠে। যা ৩০ হাজার ইউরো অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ২৭ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়। তাই সেইসব অনুযায়ী এই ধরনের এক কেজি চিজের দাম হবে ১৩ লক্ষ টাকা।
তাই যদি ৪ কেজি এই চিজের দাম এক করে হয় তাহলে তা এসে দাঁড়াবে প্রায় ৫২ লক্ষ টাকায়। যা দিয়ে সোনা গয়না তো বটেই দেশের রাজধানী দিল্লীতেও কেনা যাবে একটি দু-কামরার ফ্ল্যাট। Lager di Colato নামের একটি রেস্তোরাঁয় তৈরি এই চিজের বিশেষত্ব হল এটি মূলত হাতে তৈরি। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন এই চিজটি তৈরী করতে গরুর দুধ, ছাগলের দুধ এবং ভেড়ার দুধ ব্যবহার করা হয়েছে।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী এই চিজটি সামান্য শক্ত এবং টেস্ট খুবই স্ট্রং হয়ে থাকে। যা চিজ মুখে দিলেই মিলিয়ে যায়। এই চিজ খাওয়ার পর বিচার বিবেচনা করে জুরিরা একে সেরা চিজের খেতাব দিয়েছে। জানলে অবাক হবেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি এই চিজ তৈরি করতে সময় লেগে গিয়েছিল প্রায় আট মাস। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী খবর ১৪০০ মিটার উচ্চতার একটি গুহার মধ্যে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখা হয়েছিল এই চিজটি। যা তৈরী করেছেন অস্ট্রিয়ার এক কৃষক পরিবার। বিশ্বের দামি এই চিজটি কিনেছেন একটি রেস্তোরাঁর মালিক ইভান সুয়ারেজ।
Leave a Reply