ভারতের দিন মজুরের ঘরে বেড়ে ওঠা এক রাজকুমারীকে চেনেন? যিনি আজ দুবাইয়ের কোটিপতি, তার কাছে চুনোপুঁটি আম্বানি থেকে আদানি
ভারতের দিন মজুরের ঘরে
বেড়ে ওঠা এক রাজকুমারীকে চেনেন?
যিনি আজ দুবাইয়ের কোটিপতি!
তার কাছে চুনোপুঁটি আম্বানি থেকে আদানি!
পাত্তাও পায় না টাটার মতন কোম্পানি!
এই রাজকুমারীকে দেবীরুপে পূজো করেন
দুবাইয়ের বাসিন্দারা!
যার হাত ধরেই পৃথিবীর আলো দেখে
হাজার হাজার প্রাণ!
কে এই রাজকুমারী?
কি করেন তিনি?
কিই বা তার পরিচয়?
এই গল্প ৮৪ বছর বয়সী ডা: জুলেখা দাউদের। যিনি পরিচিত দুবাইয়ের অন্যতম ধনী ভারতীয় মহিলা হিসেবে। মহীয়সী এই নারীর জন্ম মহারাষ্ট্রের নাগপুরে, এক দরিদ্র পরিবারে। তার বাবা করতেন দিনমজুরের কাজ। তাই ছোট থেকেই সংগ্রাম করে বেড়ে ওঠা। প্রতিমুহূর্তে সম্মুখীন হয়েছেন নানান বাঁধার। তবে সবকিছুর মাঝেও চালিয়ে গেছেন পড়াশোনা। পূরণ করেন নিজের ডাক্তার হবার স্বপ্ন। ডাক্তারি পড়া শেষ হলে, ১৯৬৪ সালে তিনি চলে যান সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে। নজির গড়েন প্রথম ভারতীয় ডাক্তার হিসেবে দুবাইয়ে ডাক্তারি করার।
এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাননি জুলেখা। ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত করেন নিজের ‘জুলেখা হাসপাতাল গ্রুপ’। মূলত সাধারণ মানুষকে উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের জন্যেই এই হাসপাতাল তৈরি তার। আজ এই ‘জুলেখা হাসপাতাল গ্রুপ’ দুবাইয়ের এক বড় চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। হাসপাতাল গ্রুপের বার্ষিক আয় ৪৪০ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ প্রায় ৩,৬৬২ কোটি টাকা ।দুবাইতে তিনি প্রায় ১০ হাজারের অধিক শিশুর ডেলিভারি করেছেন ।বর্তমানে জুলেখা দেবী এই গ্রুপের চেয়ারম্যান।
৮৪ বছর বয়সী, এই কিংবদন্তি নারী জীবনে পেয়েছেন একাধিক স্বীকৃতি এবং সম্মান। ২০১৯ সালে তিনি প্রবাসী ভারতীয় সম্মান পুরস্কারে ভূষিত হন। এছাড়াও ফোর্বসের মধ্যপ্রাচ্যের শীর্ষ ১০০ জন ধনী ব্যক্তির তালিকায়ও স্থান পেয়েছেন তিনি। শুধু, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতেই নয় ভারতেও সাশ্রয় মূল্য এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করছে তার সংস্থা। ইতিমধ্যেই, বিশ্ব ব্যাংকের সাহায্য নিয়ে নাগপুরে একটি টপ মেডিকেল সেন্টার খুলতে চলছে চলেছে জুলেখা দেবীর সংস্থা। এভাবেই বেঁচে থাকুক জুলেখা দেবীর মতন মানুষেরা। অনুপ্রেরণা দিতে থাকুক হাজারও ভেঙ্গে পরা মানুষকে। তার এই সংগ্রামকে শ্রদ্ধা জানায় টিম বাংলা হান্ট।
Leave a Reply