দিনে দিনে বাড়ছে দেশের জনসংখ্যা। তাই জনসংখ্যার বৃদ্ধির সাথে সাথেই দেশবাসীকে সঠিক পরিষেবা পাইয়ে দিতে মাঝেমধ্যেই নিত্যনতুন নিয়ম আনছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার আগামী মাস থেকেই আসতে চলেছে এমনই একটি নতুন নিয়ম। যার মাধ্যমে সরকারি চাকরির নিয়োগ থেকে শুরু করে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, বিয়ের নথিভুক্ত করণের আবেদন কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্স যে কোন সরকারি সুবিধা পেতে গেলে প্রয়োজন হবে একটি মাত্র নথি। সেটি হল বার্থ সার্টিফিকেট।
এই বার্থ সার্টিফিকেটের সাহায্যেই এবার থেকে যে কোন ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে। তাই সব ক্ষেত্রে আর আধার কার্ড কিংবা ভোটার কার্ডের প্রয়োজন হবে না। শুধুমাত্র বার্থ সার্টিফিকেট থাকলেই যেকোনো সরকারি পরিষেবা মিলবে সহজেই। এমনকি ভোটার কার্ডের তালিকা প্রস্তুতি কিংবা আধার নম্বর পাওয়ার ক্ষেত্রেও জন্ম শংসা পত্রের গুরুত্ব বাড়তে চলেছে ১ লা অক্টোবর থেকেই।
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন (সংশোধনী) আইন ২০২৩ কার্যকর করার তারিখ ঘোষণা করে বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে সরকারের এই নতুন উদ্যোগ দেশবাসীকে আরও স্বচ্ছভাবে সরকারি পরিষেবা পেতে সাহায্য করবে। সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে ‘‘জন্ম এবং মৃত্যু নিবন্ধন (সংশোধন) আইন, ২০২৩-এর ধারা প্রয়োগ করে কেন্দ্রীয় সরকার ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর তারিখ থেকে এই নিয়ম কার্যকর করছে।’’
চলতি বছরের বাদল অধিবেশন চলাকালীন সংসদের উভয় কক্ষে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন (সংশোধনী) বিল, ২০২৩ পাশ করানো হয়েছে। গত ১১ আগস্ট রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু পাশ হওয়া বিলে সই করে তা আইনে পরিণত করার সম্মতি দিয়ে দিয়েছেন। এছাড়াও নতুন নিয়ম অনুসারে জন্ম এবং মৃত্যু দুই রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।এই নতুন নিয়মের ফলে এবার থেকে যে কোনো সরকারি কাজে আধার কার্ড না হলেও চলবে। কিন্তু বাধ্যতামূলক করা হবে বার্থ সার্টিফিকেট।
নতুন আইন অনুসারে এবার থেকে কোনও শিশুকে দত্তক নেওয়া বাবা-মা, সারোগেসি পদ্ধতিতে জন্মের ক্ষেত্রে বাবা-মা এবং অবিবাহিত মায়ের নামও রেজিষ্টারের কাছে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যদি কেউ রেজিস্ট্রার বা জেলা রেজিস্ট্রারের কোনো আদেশে সম্মত না হন তাহলে সেই ব্যক্তি জেলা রেজিস্ট্রার বা মুখ্য রেজিস্ট্রারের কাছে আবেদন করতে পারবেন। তবে এই ধরনের আবেদন আদেশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যেই করতে হয়। আর আবেদন পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যেই জেলা রেজিস্ট্রার বা মুখ্য রেজিস্ট্রারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
Leave a Reply